সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কাশ্মীর নিয়ে ব্রিটেনের অবস্থানও স্পষ্ট করে দেন তিনি। মোদিকে জনসন জানান, কাশ্মীর ইস্যুটি ভারত ও পাকিস্তানকেন্দ্রিক। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যে দিয়েই এই জটিলতার সমাধান করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যেকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়েও দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়। চলতি সপ্তাহে ফ্রান্সে জি-৭ সম্মেলনের আগে টেলিফোনিক কথোপকথনে ব্রিটেন ভারতের পাশে দাঁড়ানোর ফলে কাশ্মীর ইস্যুতে নয়াদিল্লির অবস্থান আরও জোরদার হল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পাশে থেকে পাকিস্তানকে বার্তা দিয়েছে ফ্রান্সও। ফরাসি সরকারের এক মুখপাত্র এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ফ্রান্সের ইউরোপ ও বিদেশ বিষয়কমন্ত্রী জিন-ইয়েভস লে দ্রিয়ান। আলোচনায় উঠে আসে কাশ্মীর প্রসঙ্গও। তখনই ফরাসি বিদেশমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। আলোচনার মধ্যে দিয়েই দুই দেশকে এই জটিলতার নিরসন করতে হবে। এরপরেই ফ্রান্সের তরফে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানকে সংযত হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়। একদিন আগেই পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় একই বার্তা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনিক কথোপকথনের পর কাশ্মীর ইস্যুতে সংযত হয়ে সুর নরম করে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাশ্মীর অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমন করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য ইমরান খানকে পরামর্শ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চলতি মাসের ৫ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারত। এরপরেই বিষয়টি ঘিরে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। কাশ্মীরকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়ে দেয় ভারত। পাল্টা কাশ্মীরের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমর্থন চান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যদিও প্রথম থেকেই কাশ্মীরকে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে জানিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন সহ একাধিক দেশ। পাকিস্তানের আর্জিতে বিষয়টি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ওঠে। কিন্তু সেখানেও ‘বন্ধু’ চীন ছাড়া অন্য কোনও দেশের সমর্থন পায়নি পাকিস্তান।