সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
ইনফোসিস দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিল, তাদের স্পেশাল ইকনমিক জোন (এসইজেড)-এর মর্যাদা দেওয়া হোক। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম আমলে এসইজেড-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। তিনি নীতিগত ভাবে এসইজেড তকমা দিতে রাজি ছিলেন না। তবে এসইজেড তকমা পেলে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়, তা দিতে রাজি ছিলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, মূল জমির ৪৯ শতাংশ নির্মাণকারী সংস্থা নিজের মতো করে ব্যবহার করতে পারবে। লিজে জমি দিলে তা তারা করতে পারত না, তাই ইনফোসিসকে ওই সুবিধা দেওয়া হয়। এর ফলে ৫১ শতাংশ জমিতে আইটি ক্যাম্পাস করতে পারবে। বাকি ৪৯ শতাংশ জমিতে অন্য কিছুও করতে পারবে তারা।
উইপ্রোও সেই সুবিধা চেয়েছে বলে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উল্লেখ করা হয়। ভূমি দপ্তরের আপত্তি থাকলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং মুখ্যসচিব মলয় দে ফ্রি হোল্ড দেওয়ার পক্ষেই যুক্তি তোলেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উইপ্রোর এই ক্যাম্পাসে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, তা আমাদের ভাবতে হবে। এরপরেই তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধান সচিবদের নিয়ে একটি কমিটি এবং জমি সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। জমি সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাকি সদস্যরা হলেন অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং স্বাস্থ্য ও আবাসন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁরা খুব শীঘ্রই আলোচনায় বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।