সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এদিকে এই অবরোধকে পুরোপুরি সমর্থন জানান ৭ এবং ৮ নম্বর দু’টি ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার রঞ্জিত মণ্ডল ও কার্তিক বিশ্বাস। উভয়ে জানান, নাগরিকদের এই সমস্যা নিয়ে বার বার পুর অধিবেশনে বলা হয়। কিন্তু কিছু হচ্ছে না। আমাদের গালিগালাজ খেতে হচ্ছে নাগরিকদের কাছে। স্বাভাবিকভাবে নাগরিকরা যা করেছেন, তা সমর্থনযোগ্য। সোনারপুর স্টেশন থেকে কামালগাজি যাওয়ার রাস্তা অনেকদিন ধরে বেহাল। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এই রাস্তার যত্রতত্র খানাখন্দ। পিচ উঠে গিয়েছে অনেকদিন আগেই। ফলে নাগরিকদের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণের জেরে বিভিন্ন জায়গাতে জল জমে যাওয়াতে নাগরিকদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। বিশেষ করে বেহাল রাস্তা ও জমা জলে জেরবার হন ৬, ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েক হাজার বাসিন্দা।
এদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ হাতে প্লাকার্ড নিয়ে তেঘড়িয়ার কাছে রাস্তার উপর বসে পড়েন। মাইক নিয়ে পুরসভার সমালোচনা শুরু করেন। কেন গড়িয়ার কাছে কালভার্ট সংস্কার হল না? ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের জল কেন ৬, ৭, ৮, ৯ নম্বরে এসে জমা হচ্ছে, কেন অলিগলিতে জল প্রকল্পের নামে রাস্তা খুঁড়ে অর্ধেক ফেলে রাখা হয়েছে, কেন নরেন্দ্রপুরের কাছে ভূর্গভস্থ নিকাশির কাজ থমকে রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। উন্নয়নের নামে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পালন করা হচ্ছে না বলে বিধায়ক ও পুর চেয়ারম্যানের জবাব চাওয়া হয়। তাঁদের ঘটনাস্থলে এসে নাগরিকদের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিক্ষোভকারীদের একজন সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, এমনিতে অম্রুত প্রকল্পে ধীর গতিতে কাজে মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। তা মেনে নিলেও বাস্তবে কামালগাজি রাস্তা সংস্কারে কোনও উদ্যোগ নেই পুরসভার। কত দিন মানুষ তা সহ্য করবে। উন্নয়নের জন্য ভোট দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলকে। বাস্তবে তার ছিটেফোঁটা দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, এই এলাকার সব জায়গাতে অলিগলিতে এখনও হাঁটু সমান জল জমে। ১৪ আগস্ট বৃষ্টি হয়েছে। সেই জল জমে রয়েছে। পুরসভার কোনও হেলদোল নেই। অবরোধ চলার সময় সাড়ে ৯ টায় সোনারপুর থানা থেকে পুলিসের উর্দি গায়ে সিভিক কর্মীরা আসে। লাঠি উঁচিয়ে অবরোধকারীদের সরাতে গেলে গোলমাল বাধে। শেষ পর্যন্ত সিভিক কর্মীরা তাড়া খেয়ে পালায়। দুপুর ১২ টার সময় পুরসভার এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা মেরামতের আশ্বাস দেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। বরং সংশ্লিষ্ট বাস্তুকারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান নাগরিকরা। তিনি কথা বলতে গেলে বার বার বাধা দেওয়া হয়। সাড়ে ১২ টায় সময় পুর চেয়ারম্যান গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার পর অবরোধ ওঠে।