সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, এদিন ঘটনার সূত্রপাত সকাল ১০টা ২৪ মিনিট নাগাদ। ওই সময়েই দমদম স্টেশন থেকে ডাউন লাইনে কবি সুভাষমুখী একটি এসি ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সূচি মতোই ট্রেনটি এসে দাঁড়ায় স্টেশনের ডাউন প্ল্যাটফর্মে। মোটরম্যান সুইচ টিপে প্ল্যাটফর্মের দিকের দরজাগুলি খুলে দিলে যাত্রীরাও উঠে যান ট্রেনে। তারপরই বাধে বিপত্তি। সব দরজা বন্ধ হলেও সামনের দিক থেকে পঞ্চম কোচটির একটি দরজা বন্ধ করা যায়নি। বিষয়টি নজরে এলে বন্ধ না হওয়া দরজার কাছে ছুটে আসেন ট্রেনটির চালক-সহকারী চালকরা। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ ধরে চেষ্টা করার পরও দরজাটিকে বন্ধ করা যায়নি। এদিকে, ব্যস্ত সময়ে ভিড় ক্রমেই বাড়তে থাকে ট্রেনে-প্ল্যাটফর্মে। এমন অবস্থায় ট্রেনটিকে নোয়াপাড়ায় ফিরিয়ে না নিয়ে গিয়ে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, বেলা ১০টা ৪১ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি দমদম স্টেশন ছেড়ে যায়। বন্ধ না হওয়া দরজা দিয়ে যাতে যাত্রীরা কেউ পড়ে না যান, তার জন্য একজন আরপিএফ, দু’জন টেকনিক্যাল বিভাগের কর্মী এবং আরও একজন প্রহরায় থাকেন। সেই অবস্থাতেই ট্রেনটি কবি সুভাষ স্টেশন পর্যন্ত চলে। প্রান্তিক স্টেশনে যাত্রীরা নেমে গেলে রেকটিকে আর না চালিয়ে কবি সুভাষ কারশেডে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।
ট্রেনটিতে দমদম থেকেই চড়েছিলেন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত রঞ্জন নিয়োগী। তিনি বলেন, আমি প্রত্যেক দিন দমদম স্টেশনে আসি সকাল সাড়ে ১০টায়। সেই মতো এদিন প্ল্যাটফর্মে এসে দেখি, একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার সব দরজা বন্ধ থাকলেও একটি খোলা। সেই দরজা দিয়ে আমি ট্রেনে উঠে যাই। পরে শুনি, ওই দরজাটিকে বন্ধ করা যাচ্ছে না। বেশ কিছু সময় ব্যয় হওয়ায় ব্যাপক ভিড় ছিল ট্রেনটিতে। সেই অবস্থায় দরজায় কয়েকজনকে দাঁড় করিয়ে দিয়ে ট্রেনটি চালানো হয়। পশেই থার্ড রেল। এতে বিপদের আশঙ্কা ছিল যথেষ্ট। ট্রেনটিকে না চালিয়ে কারশেডে ফেরত পাঠানো যেত। ট্রেনটি যখন চলছিল সেই সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্টেশনের নাম ঘোষণা হচ্ছিল না। চালক অবশ্য ঘোষণা করছিলেন।
ঝুঁকি নিয়ে কেন চালানো হল ট্রেনটিকে? মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসলে ট্রেনটিকে কিছুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রেখে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল। তারপর ট্রেনটিকে কারশেডে পাঠানো হলে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়ত। তাই যাত্রীদের সুরক্ষা পুরোপুরি অটুট রেখে ট্রেনটিকে চালানো হয়। কেন বন্ধ করা যায়নি দরজাটিকে? মেট্রো সূত্রের খবর, কবি সুভাষ কারশেডে নিয়ে যাওয়ার পর দেখা যায়, ওই দরজার রাবার প্যাডে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ভিড়ে যাত্রীদের ওঠা-নামার জেরেও সেই সমস্যা তৈরি হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশের।