সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
রাজ্যের অন্যন্য প্রান্তের মতো শিলিগুড়ি মহকুমার শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। তাঁদের পুরসভার কাউন্সিলার, দলের টাউন কমিটির নেতারা, মহকুমা পরিষদের সদস্য ও দলের ব্লক নেতারা ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির নির্দেশিকা মেনে মানুষের কাছে যাচ্ছেন। তাঁরা পাড়া বৈঠক, গ্রামসভার মাধ্যমে বাসিন্দাদের বক্তব্য শোনার পাশাপাশি এলাকায় পদযাত্রা করছেন। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে রাতও কাটাচ্ছেন।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের কাজল ঘোষ বলেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির মাধ্যমে মহকুমায় দল ফের চাঙা হয়ে উঠেছে। এতে জনসংযোগ নিবিড় হচ্ছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ও পুরভোটে দলের ফলাফল ভালো হবে।
তৃণমূলের পালে হাওয়া লাগতেই মহকুমায় একরকম জোট বাঁধার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিপিএম ও কংগ্রেস। ১৯ আগস্ট শিলিগুড়ি শহরের নাগরিক পরিষেবার মান উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নাগরিক কনভেনশন করে বামফ্রন্ট পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভা। দীনবন্ধু মঞ্চে আয়োজিত ওই সভায় হাজির ছিলেন কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভাপতি তথা বিধায়ক শঙ্কর মালাকার ও প্রাক্তন মেয়র গঙ্গত্রী দত্ত। সভায় তাঁরা ও সিপিএমের জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। আগামী ২৮ আগস্ট নকশালবাড়িতে নাগরিক কনভেনশন ডেকেছেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার। ওই সভাতেও শঙ্করবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, মহকুমা পরিষদের ওই নাগরিক কনভেনশনে যোগ দেব। তারপর আমিও সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে একটি কনভেনশন করব। মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপসবাবু বলেন, বিধায়ক কনভেনশন ডাকলে অবশ্যই যাব।
আসন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেস কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে শঙ্করবাবু সরাসরি বলেন, এই মুহূর্তে রাজ্যে এককভাবে লড়াই করার ক্ষমতা আমাদের নেই। সিপিএমেরও একই অবস্থা। কাজেই, উভয় দল জোট করলে রাজ্য রাজনীতির মানচিত্রে বিকল্প শক্তি হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যে কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর ও কৃষ্ণগঞ্জ এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোট করে লড়াই করা হচ্ছে। তাই শিলিগুড়িতে আসন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএমের সঙ্গে জোট করে লড়াই করার পরিকল্পনা নিয়েই গা ঘামাতে শুরু করেছি। শীঘ্রই সিপিএমের সঙ্গে যৌথভাবে আরও কিছু কর্মসূচি নেওয়া হবে।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের কাজলবাবু অবশ্য বলেন, রাজনীতির ময়দানে ওরা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। ওদের পায়ের তলার জমিও আলগা হয়ে গিয়েছে। তাই ওরা নীতি, আদর্শ বিসর্জন দিয়ে গাঁটছড়া বাঁধছে। এতে ওরা ফোঁসফাঁস করলেও আমাদের কিছু করতে পারবে না।