সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
সম্প্রতি ডুয়ার্সের সমস্ত নদী ঝোরা থেকে নির্মাণ কার্যের উপাদান বালি ও পাথর সংগ্রহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। জুলাই মাস থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। এই নির্দেশের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নদীতে বালি পাথর সংগ্রহের কাজে লিপ্ত থাকা কয়েক হাজার শ্রমিক, কর্মী এবং ট্রাক চালকরা। ডুয়ার্সের একাধিক চা বাগান বর্তমানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেইসব বাগানগুলির কাজহারানো শ্রমিকদের এখন সংসার চলে ডুয়ার্সের এই নদী ও ঝোরাগুলির উপর ভরসা করেই। বিভিন্ন নদীর বুক থেকে বালি-পাথর সংগ্রহ করে জীবিকার সংস্থান করেন তাঁরা। এই কাজ বন্ধ থাকায় এইসব শ্রমিক ও গাড়ির চালকরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। এদিক ওদিক আবেদন করেও কোনও ফল হয়নি।
এদিন অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মেটেলি থানার পুলিস। তারাই অবরোধকারীদের শান্ত করে। পরে বেলা ২টা নাগাদ অবরোধকারীরা পথ অবরোধ তুলে নেন। অবরোধকারীরা জানান, নেওড়া, মাল সহ বিভিন্ন নদী থেকে বালি-পাথর সংগ্রহ করে এই এলাকার কয়েক হাজার শ্রমিক জীবনধারণ করেন। এর উপরেই নির্ভর করেন বহু ট্রাকের চালক ও খালাসি। সরকারি নিষেধাজ্ঞায় সবাই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বিকল্প কাজের সংস্থানও নেই। বিক্ষুব্ধদের দাবি, অবিলম্বে নদী থেকে বালি-পাথর সংগ্রহের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।
এলাকার শ্রমিক ফুলে রায় ও তালিমুল হক বলেন, নদী থেকে বালি-পাথর তুলেই আমরা সংসার চালাই। কিন্তু অনেকদিন হয়ে গেল তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। আমাদের আয়ের আর কোনও উৎস নেই। তাই বর্তমানে অর্ধাহার অনাহারে দিন কাটাচ্ছি । এভাবে চলতে থাকলে আমাদের কাছে মৃত্যু ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। আমরা চাই দ্রুত নদী খুলে দেওয়া হোক।
মেটেলি থানার ওসি জানান, সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিন অবরোধকারীদের সমস্যার কথা উপরমহলে জানানোর আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। দুপুরের পর থেকে ওই রাস্তায় আবার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।