সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এদেশে এত বেকারত্বের মূল কারণ দুটি। প্রথম কারণ হল দেশনেতাদের চিন্তার দীনতা ও সীমাহীন সঙ্কীর্ণতা এবং সরকারি পর্যায়ে ব্যাপক দুর্নীতি। দ্বিতীয় কারণ হল সাধারণ মানুষের মধ্যে চেতনার অভাব। তার ফলে জনসংখ্যায় লাগাম পড়ছে না। দেশে মানুষ বাড়ছে রোজ এবং প্রতি মুহূর্তে। কিন্তু সেইমতো পুষ্টি, চিকিৎসা এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। এই জনসংখ্যার একটি বড় অংশ অশিক্ষিত অদক্ষ বেকারের দল ভারী করছে। তারা ব্যবহৃত হচ্ছে নানাভাবে। একদিকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছে রাজনৈতিক দলগুলি, অন্যদিকে ব্যবহার করছে প্রতারকরা। আবার বিশ্ব অর্থনীতিতে পরিবর্তনের নিয়মে ভারতেও কিছু স্বাভাবিক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। তার ফলে, মন্থর গতিতে হলেও শিক্ষার হার বেড়েছে। গত কয়েক দশকে শিক্ষিত এবং উচ্চ-শিক্ষিতের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু, সেই অনুযায়ী চাকরি বা কাজের সুযোগ বাড়েনি। বরং গত কয়েক বছরে সব ক্ষেত্রেই কাজের সুযোগ কমেছে। চাকরি বা কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য এখন প্রয়োজন পর্যাপ্ত পুঁজি। সরকারের পক্ষে এত পুঁজির জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অভ্যন্তরীণ বেসরকারি পুঁজি এবং বৈদেশিক লগ্নি জোগাড়ের উপর জোর দিতে হবে। ক্যাপিটাল ইনটেনসিভ টেকনোলজিরও অভাবে ভুগছে ভারত। অভাব রয়েছে জমি এবং পরিকাঠামোর। সুতরাং পুঁজি আর সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সংস্থানই শেষ কথা নয়, সেসব কাজে লাগাবার জন্য সুচিন্তিত পরিকল্পনাও রচনা করা দরকার। জনসংখ্যা দৃঢ়তার সঙ্গে কমাতে হবে। নিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যার সবার জন্য আধুনিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। দেশবাসী সুশিক্ষিত এবং প্রশিক্ষিত না-হলে তাকে যথার্থ মানবসম্পদ বলা যাবে না। উন্নত মানবসম্পদ সৃষ্টি ছাড়া ভারতকে বেকারত্ব ও দারিদ্র্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা অসম্ভব। জাতিকে ধান্দাবাজ রাজনীতি আর প্রতারকদের কবল থেকে মুক্ত করার পথ এটাই।