বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
ভাটপাড়া পুরসভা আগেই বিজেপি দখল করেছে। নৈহাটি, হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়াতেও শাসক তৃণমূল সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল। তার মধ্যে নৈহাটিতে প্রশাসক বসিয়ে সামাল দিয়েছে রাজ্য সরকার। হালিশহর দখল করেছিল বলে বিজেপি কিছুদিন উদ্বাহু নৃত্য করে নিল। মাস কাটতে না-কাটতেই মঙ্গলবার একদল কাউন্সিলার জানিয়ে দিলেন তাঁদের আর বিজেপি ভালো লাগছে না। তাঁরা ফের তৃণমূলে ফিরলেন। তাই দেখে তৃণমূল দাবি করছে, হালিশহর অতএব তারাই পুনর্দখল করল। শোনা যাচ্ছে, কাঁচরাপাড়াতেও প্রাক্তন কিছু তৃণমূল কাউন্সিলারের ‘ঘরওয়াপসি’ শুধু সময়ের অপেক্ষা। চাপান-উতোর যেটাই হোক না কেন, মানুষ এই দু’দলের দাবি পাল্টা দাবি অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ—কোনোটিকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মনে হয় না। কারণ, বাংলার রাজনীতি অনেকদিন হল এই গুরুত্ব নিজ দায়িত্বে খুইয়েছে। আমার সামনে কোনও বিরোধী থাকবে না। হ্যাঁ হ্যাঁ বলা সঙ ছাড়া কাউকেই ত্রিসীমানায় দেখতে চাই না আমি। ‘আমি একাই সব খাব’ মার্কা রাজনীতিই আত্মস্থ করে নিয়েছে বাংলা। যা দেখে বেশিরভাগ মানুষ অত্যন্ত বিরক্ত, রাজনীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ। মানুষের এই হতাশার প্রমাণ পাওয়ার জন্য কোনও গবেষণার প্রয়োজন নেই, বাজারে ট্রেনে বাসে কান খোলা রাখলেই যথেষ্ট। ‘নোটা’ সিম্বলের প্রতি নতুন জেনারেশনের আসক্তি বৃদ্ধিকেও এই পঙ্ক্তিতে রাখতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলি সত্যটা কবে বুঝবে যে মানুষকে বাদ দিয়ে রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলির কোনও অস্তিত্ব থাকতে পারে না। আমাদের দেশের লোকাল গভর্নমেন্ট থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রের সরকার সবই তৈরি হয় দেশবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে। মানুষই নির্দিষ্ট করে দেয় তারা কাকে ক্ষমতায় আর বিরোধী আসনে তারা চায়। আজ যে বিরোধী আসনে কাল সে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতেই পারে। কিন্তু তার জন্য মানুষের রায়টা তাকে নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মানুষের প্রত্যাশা হল—মানুষের সেই ইচ্ছের প্রতি শ্রদ্ধা, সামান্য ধৈর্য ও সৌজন্য দলগুলির থাকবে। কিন্তু, বারাকপুরে এখন যা চলছে তা থেকে রাজনীতির প্রতি ঘৃণা ছাড়া আর কিছুরই উদ্রেক মানুষের হচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলি এটা যত দ্রুত উপলব্ধি করে ততই গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গল।