বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
ইতিমধ্যে ভাইস চ্যান্সেলরের ২৩ টি এবং রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের ২২ টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। আগামী ১৪ তারিখ লটারির ভিত্তিতে প্রাথমিক সদস্য বাছা হবে। তারপর তাঁদের রেকর্ড পরীক্ষা করা হবে। এমসিআই বা মেডিকেল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তা ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্র। বদলে সংসদে বিল পাশ করে আইন মোতাবেক তৈরি হচ্ছে এনএমসি বা ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন। মেডিকেল শিক্ষার পাশাপাশি মেডিকেল কলেজের পরিকাঠামো সহ যাবতীয় বিষয় দেখবে এই কমিশন। নতুন আইন মোতাবেক প্রতি বছর মেডিকেল কলেজগুলির রিনিউয়ালের প্রয়োজন নেই। পাঁচ বছর অন্তর হবে। তবে কোনও কলেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে বা সন্দেহজনক কিছু মনে হলে এনএমসি আচমকা পরিদর্শনে যেতে পারবে বলেই জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয়টিতে যেভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করছে, একইভাবে মেডিকেল শিক্ষাতেও রাজ্যগুলিকে সঙ্গে নিয়েই আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গেই নীতি তৈরি করেছি। সরকারি মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি গোটা দেশে যে ২৬৫ টি বেসরকারি কলেজ রয়েছে, সেখানেও যাতে উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকে তার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেডিকেল পড়ার খরচ সংক্রান্ত যে বিতর্ক তোলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। বেসরকারি কলেজে পড়ার খরচ কী হবে, নতুন আইনবলে রাজ্যগুলি চাইলে সে ব্যাপারে ঠিক করতে পারবে। কেন্দ্রীয় সরকার কলেজগুলির নিত্য কাজে কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না। কেবল নজরদারি চালাবে।
মেডিকেল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পাশাপাশি সিবিআই তদন্তও হয়। তারপর থেকেই দেশে মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন বাড়তে থাকে। তাই পুরনো ব্যবস্থা বদলে দিয়ে নতুন করে কমিশন তৈরি করতেই সংসদে বিল পাশ করেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান বলেন, বিল পাশ হওয়ার পর কমিশন গড়তে ন’ মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা তার আগেই তা করতে উদ্যোগী। সেই মতো সদস্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কমিশন তৈরির বিরোধিতা করে কেউ কেউ আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু সেখানে সরকারেরই জয় হয়েছে বলে জানান তিনি।