বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
চিঠিতে বলা হয়েছিল, জয় শ্রীরাম আগে নিছকই একটি হিন্দু ধর্মের প্রার্থনাধ্বনি ছিল। কিন্তু সেটা এখন গোটা দেশে একটি যেন যুদ্ধের স্লোগানে পরিণত হয়েছে। মানুষে হত্যা করা হচ্ছে ওই ধ্বনি দিয়ে। ৫০ জন তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে খোলা চিঠিতে লিখেছিলেন, গণতন্ত্রে বিরোধী মতামতকে অগ্রাহ্য করা হলে কিংবা বিরোধী কন্ঠকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হলে, সেটা আর গণতন্ত্র থাকে না। স্বৈরাচারের পদধ্বনি শোনা যায়। এই চিঠি লেখার অপরাধে মুজফফরপুরের আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুর্যকান্ত তিওয়ারির এজলাসে আবেদন করেন এই চিঠি দেশদ্রোহিতার সামিল। কারণ, এই চিঠির বক্তব্য বহু মানুষের ধর্মীয় আবেগকে ধাক্কা দিয়েছে। তাই এই চিঠি যাঁরা লিখেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আজ ওই আইনজীবী বলেছেন, আগস্ট মাসে ওই আবেদন শুনে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশিকার ভিত্তিতেই মুজফফরপুরের সদর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এফআইআরে বলা হয়েছে, এই চিঠির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে কলঙ্কিত করা হয়েছে এভাবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই দায়ী করে। তাই এটা একপ্রকার দেশদ্রোহিতা। এই কারণেই দেশবিরোধী আইনের ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। এভাবে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখার জন্য এফআইআর করে দেশের ৫০ জন খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীকে দেশদ্রোহীর তকমা দেওয়া নিয়ে জাতীয় রাজনৈতিক মহলে আজ রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, গোটা দেশ তো বটেই, গোটা দুনিয়াই এখন জানে যে ভারত ক্রমেই একনায়ক শাসনে চলে যাচ্ছে। এখানে প্রতিদিনই গণতন্ত্রকে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কোনও সমালোচনা করা হলেই তাদের জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগামী বছরে বিহারে নির্বাচন। এই সেলেব্রিটিদের বিরুদ্ধে নীতীশ কুমার সরকারের পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয় সেটা নিয়ে সেই কারণেই প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে।