বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশে কতটা প্রভাব পড়বে সেটা আওয়ামি লিগ সরকারের কাছে জানতে চাইছে খালেদা জিয়ার বিএনপি। খালেদা জেলবন্দি হলেও তাঁর দল লাগাতার অভিযোগ করে চলেছে, শেখ হাসিনা ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাই হাসিনার কাছে এই ভারত সফর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির উত্তরণের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাঁকে প্রশ্ন করা হবে ভারত সফর থেকে তিনি কী নিয়ে ফিরলেন। প্রধান প্রশ্ন হবে তিস্তা জলবন্টন। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। সেখানে তিস্তা এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলি নিয়ে আলোচনাই অন্যতম প্রধান ইস্যু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। ভারতে আসার আগেই শেখ হাসিনা ঢাকায় বলে এসেছেন এবার তিস্তা নিয়ে ইতিবাচক কোনও বার্তা নিয়ে ফিরতে চাই। আর সেক্ষেত্রে আগামীকাল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পাশাপাশি তিস্তা জলবন্টন নিয়ে ভারত শেষ পর্যন্ত কী অবস্থান নিচ্ছে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে আগ্রহী ঢাকা।
উল্লেখ! তিস্তার জলবন্টন চুক্তিতে বাংলাদেশকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী জল দিতে সবথেকে বেশি আপত্তি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি একাধিকবার জানিয়েছেন,উত্তরবঙ্গের কৃষকদের বঞ্চিত করে তিস্তার জল বাংলাদেশকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তিনি অন্তত চাইবেন না কোনও ভাবেই। আগামীকাল মোদির সঙ্গে বৈঠকে হাসিনা তিস্তা প্রসঙ্গ উত্থাপন করবেন। কিন্তু তার থেকেও বেশি আগ্রহ তৈরি হয়েছে এনআরসি নিয়ে আলোচনা হবে কি না। দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সন্ত্রাসবাদ, নৌপরিবহণ, বাংলা-ভূটান-ভারত-নেপাল একটি উপ-আঞ্চলিক জোট, অভিন্ন নদীর জলবন্টন সংক্রান্ত স্থায়ী কাঠামো চুক্তি, রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। এখনও পর্যন্ত স্থির হয়েছে ১২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে আগামীকাল। বাংলাদেশে প্রবল চর্চা শুরু হয়েছে ভারতের এনআরসি নিয়ে। এনআরসির তালিকায় যারা বেআইনি নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হবে, তাদের ভারত কি বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে? সেক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনদিকে বাঁক নেবে? এই প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে বিরোধী দলগুলি। সেই কারণেই গতকালই হাসিনা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার নিউইয়র্কে আলোচনা হয়েছে। মোদি বলেছেন, এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।