উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের দিনই বিরোধী সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস এক সুরে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ আনে। লোকসভা কেন্দ্রজুড়ে বুথ দখল, ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। বিজেপি অবশ্য ওই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানায়, উৎসবের মেজাজে ত্রিপুরার মানুষ ভোট দিয়েছেন। তৃণমূল রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিং ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার আগেই ১৬৭৯টি বুথের সবকটিতেই পুনরায় ভোটের দাবি করেন। প্রথম দিকে সব বুথে ভোট না চাইলেও এখন অন্য দুই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিএম পুরো পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে পুনরায় ভোট চাইছে। রাজ্যর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর ভিডিও ফুটেজ, প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি প্রভৃতি খতিয়ে দেখে কয়েকদিন ধরে স্ক্রুটিনি চালিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্তকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে ল’ নির্বাচন কমিশন। এখনও পর্যন্ত পুনরায় ভোট নেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত অবশ্য হয়নি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগামী মঙ্গলবার পূর্ব ত্রিপুরার ভোটগ্রহণ হয়ে যাওয়ার পর পশ্চিম ত্রিপুরায় পুনরায় ভোট নেওয়া হতে পারে। কারণ হাতে এখনও অনেক সময় আছে। দেশে ভোট দান প্রক্রিয়া চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।
এখন নির্বাচন কমিশন পূর্ব ত্রিপুরা কেন্দ্রের ভোট নির্বিঘ্নে করা নিয়ে ব্যস্ত। অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে মঙ্গলবারের ভোটের জন্য। পূর্ব ত্রিপুরা কেন্দ্রের বড় অংশ পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা প্রত্যন্ত এলাকা। ধর্মনগর, খোয়াই সহ কয়েকটি শহরও আছে এই কেন্দ্রের মধ্যে। রাজধানী আগরতলা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূর থেকে এই কেন্দ্রের এলাকা শুরু হচ্ছে। জনজাতি ভোটার এখানে তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় এটি বেশি স্পর্শকাতর এলাকা। ইতিমধ্যেই এখানকার ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আসা শুরু হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে।