উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এসটিএফ সূত্রের খবর, মালদহ থেকে জাল নোট নিয়ে এসে কলকাতায় এক এজেন্টের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল সাহাবুলের। সে কোন ট্রেনে আসছে এবং কোন স্টেশনে নামবে, সেই তথ্য জোগাড় করা হয়। এরপরই এসটিএফের একটি টিম শিয়ালদহ স্টেশনে হাজির হয়। সেখানে তারা নজরদারি চালাচ্ছিল। সাহাবুল স্টেশন চত্বর থেকে বেরনো মাত্রই তাকে আটক করেন অফিসাররা। তার ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে আড়াই লক্ষ টাকার নকল নোট উদ্ধার হয় বলে দাবি এসটিএফের। সমস্ত নোটই দু’হাজার টাকার বলে জানা গিয়েছে। ধৃতকে জেরা করে জানা গিয়েছে, কলকাতার এজেন্টের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই জাল নোট ছড়ানো হতো। একটা অংশ বাইরের রাজ্যেও পাঠানো হতো বলে খবর। এর আগেও ধৃত ব্যক্তি কলকাতায় এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে ভোটের সময় যেভাবে জাল নোট আসা বেড়ে গিয়েছে, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন অফিসাররা। এখন ভোটপর্বে পুলিস-প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যস্ত। জেলায় জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। সেই কারণে জাল নোটের বিরুদ্ধে অভিযানে কিছুটা ভাটা পড়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া সহ সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন থানা এলাকায়। আর এরই সুযোগ নিয়েছে জাল নোটের কারবারিরা। সাহাবুল জেরায় জানিয়েছে, জাল নোট কারবারে জড়িত শীর্ষমাথারা তাদের নির্দেশ দিয়েছে, এই সময়ে যতটা বেশি সম্ভব জাল নোট এ রাজ্য সহ দেশের অন্যান্য প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে হবে। এখন ধরা পড়ার সম্ভাবনা অনেক কম। সেইমতো একাধিক এজেন্ট কাজ শুরু করেছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সমস্ত নোটই আসছে বাংলাদেশ থেকে। এই সময় সীমান্ত পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কীভাবে বিপুল অঙ্কের জাল নোট ঢুকছে সীমান্ত দিয়ে, তা ভেবে উঠতে পারছেন না অফিসাররা। সেই কারণে সীমান্তে কড়া নজরদারি চাইছেন গোয়েন্দারা।