বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
শপিং মলের তিনটি বেসমেন্ট তল ছাড়া মোট ন’তলার বিল্ডিং। একাধিক বিপণী রয়েছে। সেখানে কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ ঘটনার সময় হাজির ছিলেন। অন্যদিকে, মলের প্রত্যেকটি তলাতে বিভিন্ন কোম্পানির অফিস রয়েছে। সেখানেও বহু কর্মীরা ঘটনার সময় কাজ করছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। সবমিলিয়ে প্রায় ৫০০-৭০০ মানুষকে নিরাপদে নামিয়ে বার করে আনা হয় বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। এদিকে, ঘটনা প্রসঙ্গে শপিং মলের ম্যানেজার সানি সিং বলেন, বেসমেন্টে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার পরিকাঠামো তৈরির জন্য ওয়েল্ডিং কর্মীরা কাজ করছিলেন। সেখানেই কোনওভাবে আগুন লেগে যায় বলে তাঁরা জানিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে এবং দমকলকেও খবর দেওয়া হয়। যদিও স্থানীয়দের কয়েকজনের দাবি, মল কর্তৃপক্ষ আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে অনেক দেরি করে ফেলে দমকলকে খবর দিতে। সেই সঙ্গে আগুন নেভানোর কোনও জল পাওয়া যায়নি, তাই আগুন এত ভয়াবহ আকার ধারণ করে ফেলে। যদিও জল না পাওয়া প্রসঙ্গে দমকল এদিন কিছু বলতে রাজি হয়নি। ডিজি জগমোহন বলেন, তিনি এখনই এবিষয়ে কিছু বলবেন না। তবে সব খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে, সন্ধ্যার পর বেসমেন্ট-৩’এর মেঝেতে বড় আকৃতির ফুটো করা হয়। সেখান দিয়ে ক্রমাগত ফোম এবং জল দিয়ে বেসমেন্ট-২’এ আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে দমকল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেসমেন্ট-২’তে কোনওভাবে আগুন লেগেছিল। বেসমেন্ট-১’এ আগুন লাগেনি। ধোঁয়াতে ভরে গিয়েছিল ওই তলা। তবে আগুন কীভাবে লেগেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও কয়েকটি সূত্রের দাবি, ওয়েল্ডিংয়ের কাজের সময় আগুনের ফুলকি ছিটকে আগুন ধরে গিয়েছিল। অন্য একটি সূত্রের দাবি, ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলার সময় সিলিন্ডার বা মিটার বক্স ফেটে বিপত্তি হয়েছে। ডিজি (দমকল) জনমোহন বলেন, ঘটনাস্থলের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হবে। এদিকে, সন্ধ্যার পর দমকলের সূত্র থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, বেসমেন্টে সবমিলিয়ে ৫০’টির মতো গাড়ি এবং বাইক ছিল। অন্যদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। অনেকেই বলতে থাকেন, বিল্ডিংটা যেভাবে পুড়ে গিয়েছে। তাতে সেটা বিপজ্জনক হয়ে যাবে। ফলে সেটি ভেঙে পড়ার ভয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। যদিও দমকল এবিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি।