বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ওই তিন বালিকা সহ আরও দু’জন জলঙ্গি নদীর খালের পাশে জমিতে ফসল দেখতে গিয়েছিল। সেখানে খালে নেমে হাঁটু জলে খেলা করতে শুরু করে ওই তিনজন। সেই সময় তাদের মধ্যে একজন হঠাৎ করে বেশি জলে চলে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরও একজন ডুবে যায়। তাদের দু’জনকে দেখে আরও একজন এগিয়ে গেলে তিনজনেই জলে তলিয়ে যায়। সেই সময় পাড়ে বসে থাকা সাথী মণ্ডল নামে মূক ও বধির বালিকা ঘটনাটি দেখতে পায়। সে পাশে মাঠে কাজ করা যুবক বসির ম্যালিতা ওরফে বুলেটকে আকারে ইঙ্গিতে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করে। এরপরই বসির ওই খালের পাশে গিয়ে বুঝতে পারেন, ওই তিনজন বালিকা জলে তলিয়ে গিয়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জলে নেমে ওদের খুঁজতে শুরু করেন। এলাকার লোকজন জানতে পারা মাত্র তাঁরাও জলে নেমে খুঁজতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পরই তিনজনকে জল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় নতিডাঙা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাহিনা ও সঞ্চিতাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সুহানা তার কিছুক্ষণ পর মারা যায়। উদ্ধারকারী বসির অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিস মৃতদেহ তিনটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা রাজিবুল ম্যালিতা বলেন, পাঁচজন মিলে সাহিনার বাবা কাজিম মোল্লার বাড়ি থেকে জমির ফসল দেখতে গিয়েছিল। ওদের বাড়ি থেকে ৪০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে ওই জমি। জমির পাশ দিয়ে দিয়ে রয়ে গিয়েছে জলঙ্গি নদী থেকে বের হওয়া খাল। সারা বছর এই খালে জল থাকে না। কিন্ত, বর্ষার সময় সেটি জলে ভরে যায়। এদিন ওই খালে খেলা করতে গিয়ে তিনজনেই তলিয়ে যায়।
সুহানা খাতুনের বাবা আখতারুল সেখ বলেন, সুহানা বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজিম মোল্লার বাড়ি যায়। সেখানে যাওয়ার আগে সঞ্চিতাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। ওরা কাজিমের মেয়ে সাহিনাকে নিয়ে ওই জমি দেখতে যায়। তারপর আমরা এই দুর্ঘটনার খবর পাই। সঞ্চিতার বাবা হাবিবুর শেখ শুধু কেঁদেই চলেছেন। কাজিম মোল্লা বলেন, একসঙ্গে তিনজন শিশু জলে তলিয়ে গেল। এর থেকে বড় দুঃখের আর কী হতে পারে? প্রতিবেশীরা মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানান। গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।