উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে চলে আসে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস ও বনদপ্তরের কর্মীরা। বনদপ্তরের কর্মীরাও এলাকায় এসে ভুট্টা ও সব্জির জমিতে তল্লাশি চালায়। কিন্তু বিঘার পর বিঘা ভুট্টার এই জমিতে কোথায় চিতাবাঘ লুকিয়ে আছে তা জানা কারও পক্ষেই সম্ভব হয়নি। এদিন বনদপ্তরের তরফে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতা হয়েছে। এদিকে এদিনের ঘটনার পর বাসিন্দারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ব্যাঙকান্দি গ্রামের বাসিন্দা নীলকান্ত দাস বলেন, রবিবার সকালে আমি লাউয়ের ডোগা কাটতে জমিতে গিয়ে দেখতে পাই একটি চিতাবাঘ শুয়ে আছে। আমি ঘাবড়ে গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে এসে সকলকে জানাই। এরপর পাড়া প্রতিবেশীরা প্রশাসনকে খবর দেয়। বনদপ্তরের রামশাই মোবাইল রেঞ্জের বিট অফিসার ভূপতি শীল বলেন, শুক্রবার রাতে এই এলাকা থেকে আমরা একটি চিতাবাঘ ধরেছি। এরপর রবিবার ফের এলাকার লোকজন এই এলাকায় চিতাবাঘ দেখতে পেয়েছে বলে দাবি করেছে। আমরা এলাকায় চিতাবাঘ ধরার জন্য খাঁচা পেতেছি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকালে মাঠে কাজ করার সময় চিতাবাঘের হামলায় দুই জন জখম হন। জখম দু’জনের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা তাঁদের উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিস ও বনদপ্তরেও খবর দেওয়া হয়। এরপর বনদপ্তরের কর্মীরা বহু খোঁজাখুঁজির পর একটি বটবটি খেতে চিতাবাঘটিকে দেখতে পেয়ে ঘুমপাড়ানি গুলি করে। কিছুক্ষণ পর চিতাবাঘটি নিস্তেজ হয়ে গেলে সেটিকে ধরে নিয়ে যায়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এদিন চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাসিন্দারা বলেন, আমাদের পরিবার আছে, সন্ধ্যার পর বাইরে বের হতে ভয় লাগছে। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে, টিউশনে যেতে ভয় পাচ্ছে। আমাদের দাবি অবিলম্বে বনদপ্তর চিতাবাঘ ধরার ব্যবস্থা করুক।