উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার (পূর্ব) সুরিন্দর সিং বলেন, এক মহিলার মৃতদহ সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে। তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,সাত বছর আগে জলপাইগুড়ির ছোবরাহাটের বাসিন্দা গোপাল দাসের সঙ্গে লতা দেবীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন বাদেই স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ির ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব আমতলা ক্লাব এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন গোপাল। অভিযোগ, পেশায় দিনমজুর গোপাল পরকীয়া সন্দেহে প্রায় দিনই তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন। এনিয়ে বারকয়েক সালিসি সভার আয়োজন হয়েছিল পরিবারের অন্দরেই। যদিও সমস্যার সমাধান হয়নি কখনই। এরপর ফের একবার ভাড়াবাড়ি ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে জলপাইগুড়িতে নিজের বাড়ি চলে যায় গোপাল। সেখানেও চলত অশান্তি, মারধর। পরিবারের দাবি, লতা দেবীকে বিয়ের পর থেকে নানা ভাবে সন্দেহ করত গোপাল। এই অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে পূর্ব চয়ন পাড়ায় বাপের বাড়ি চলে আসেন লতা দেবী। স্ত্রীর খোঁজ করতে সেদিন সন্ধ্যেবেলা শ্বশুর বাড়ি পৌঁছান গোপালও। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতেও তুমুল অশান্তি হয় দু’জনের মধ্যে। এরপর থেকেই লতার খোঁজ মিলছিল না।
মৃতার বৌদি পিঙ্কি দাস বলেন, শুক্রবার রাতে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছিল। কিছু সময় বাদে ঝামেলা মিটলে আমরা ওদের ঘরে যেতেই দরজা আটকে দেয় গোপাল। আমাদের জানায় লতা একজনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। এরপর আমরা গোপালের কথায় বিশ্বাস করে এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি করি। যদিও কোনও খোঁজ পাইনি। এরপর শনিবার গোপালই আমাদের বলে থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করার বিষয়ে। এভাবে গোপাল আমার ননদকে মেরে আমাদের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কেই ফেলে রেখেছে ভাবতেও পারছি না। মৃতার মা মমতা দাস বলেন, জামাই আমার মেয়ের উপর খুব অত্যাচার করত। কথায় কথায় মারধর করত। শুক্রবার রাতে জামাই আমাদের জানিয়েছিল লতা এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা কোনও কিছু বুঝে উঠতে না পেরে জামাইয়ের পরামর্শ মেনে নিখোঁজ ডায়েরি করি। তখনও বুঝতে পারিনি যে আমার মেয়েকে খুন করে আমাদের সঙ্গে এভাবে নাটক করছে। আমি ওর কঠিন শাস্তি চাইছি। এদিকে এদিনের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের পরিজনেরা। ঘন ঘন মূর্ছা যাচ্ছিলেন মৃতার মা মমতা দেবী। গোপালের কঠোর শাস্তির দাবিতে প্রতিবেশীরা আওয়াজ তুলছিলেন পুলিস কর্তাদের সামনে।