উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
প্রথমত, ২০১৪ সালের পর থেকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অনেক বিধায়ক, নেতা এবং কর্মী। ২০১৪ সালে যাঁরা ‘জান কবুল’ করে ভোট লড়েছিলেন ডালুবাবুর হয়ে তাঁরাই এবার অন্য শিবিরে। এবার ‘মান কবুল’ করে তাঁরা কী করেন সেটা একটা ফ্যাক্টর। তালিকায় রয়েছেন, মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন,জেলা পরিষদের সদস্য আসাদুল আহমেদ, ইংলিশবাজার পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও অন্যান্যরা।
দ্বিতীয়ত, ডালুবাবুর বিরুদ্ধে এবারও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করছেন তৃণমূলের মোয়াজ্জেম হোসেন। ২০১৪ সালে রাজনীতির ময়দানে প্রায় নবাগত ছিলেন মোয়াজ্জেম সাহেব। দক্ষিণ মালদহের রাজনীতির অলিগলি চেনার আগেই তাঁকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল নির্বাচনের। ফলে হেরে যান তিনি। কিন্তু এই পাঁচ বছরে রাজনীতিতে যথেষ্ট পরিণত রেলের এই প্রাক্তন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি জেলা তৃণমূলের সভাপতিও বটে। পাঁচ বছর ধরে মাটি কামড়ে রাজনীতি করেছেন মালদহে। সুতরাং, এহেন পরিণত তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ডালুবাবুর লড়াইটা ২০১৪ সালের মত সহজ হবে না বলে অনেকে মনে করছেন।
তৃতীয়ত, মালদহের রাজনীতিতে ইতিমধ্যে থাবা বসিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের মাত্র তিনজন বিজেপি বিধায়কের মধ্যে একজন বৈষ্ণবনগরের। এই বিধানসভা কেন্দ্রটি দক্ষিণ মালদহেই পড়ে। স্বাভাবিকভাবে বিজেপি’র এই প্রবল উত্থান ডালুবাবুর পক্ষে নতুন চ্যালেঞ্জ। এবারের রাজনৈতিক রসায়নে বিজেপি অনেকটা হোম ওয়ার্ক করে অন্তত একজন বিধায়কের শক্তি নিয়ে ময়দানে নেমেছে। ফলে বিজেপি’ও ডালুবাবুর কাছে অন্যতম বড় বিরোধী ফ্যাক্টর।
চতুর্থত, এবার মালদহ জেলা পরিষদ হাতে নেই কংগ্রেসের। জেলা পরিষদের মতো গ্রামীণ উন্নয়নের মূল স্তম্ভ হাতে থাকার সুবিধা বিগত দিনে পুরোপুরি পেয়েছিলেন ডালুবাবু। কিন্তু সেই জেলা পরিষদ এখন তৃণমূলের নিরঙ্কুশ দখলে। সেখানে কংগ্রেসের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। জেলা পরিষদের সদস্যদের সাহায্য ছাড়া ভোটে লড়াও এবার ডালুবাবুর নতুন চ্যালেঞ্জ। পঞ্চমত, পাঁচ বছরে ডালুবাবুর বয়েস বেড়েছে। প্রায় ৮০ ছুঁইছুঁই ডালুবাবুকে বয়সের থাবা বসিয়েছে। ফলে পাঁচ বছর আগে যতটা দাপিয়ে ভোট করতে পেরেছিলেন এবার কিছুটা হলেও তাতে ভাটা পড়েছে বলে ধারণা কংগ্রেস কর্মীদেরও।
এরকম অনেকগুলি নতুন বিরোধী ফ্যাক্টরের মুখোমুখি হয়েও ডালুবাবুর ভরসা সেই এক এবং অদ্বিতীয় গনিখান। এই অবস্থায় রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে আছে, এবারও গনির ভাই ডালু এই পরিচয়ই নির্বাচনী বৈতরণী পার করে দেয় কি না তা দেখতে।