উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রটি বর্তমানে তৃণমূলের দখলে আছে। এখানকার বিধায়ক উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অমল আচার্য। গত লোকসভা ভোটে ইটাহার থেকে অর্পিতা ঘোষ প্রায় ৩০ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলেন। এবার তৃণমূল অর্পিতাদেবীকে ৫০ হাজার ভোটে লিড দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সেই লক্ষ্যেই শাসকদল দিনরাত এক করে প্রচার চালিয়েছে। রবিবার শেষ প্রচারেও এখানে পাড়ায় পাড়ায় তৃণমূল ঝাণ্ডা নিয়ে বেরয়। এখানে মূলত বাড়ি বাড়ি প্রচার ও ছোট সভার ওপরে জোর দিয়েছিল তারা। প্রার্থী অর্পিতা ঘোষও কয়েকদফায় প্রচার সেরে যান।
অমলবাবু বলেন, আমরা সাংগঠনিকভাবে লড়াই করি। তৃণমূল স্তরে আমাদের সংগঠন রয়েছে। যা অন্যদের ক্ষেত্রে নেই। অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের দখলে আছে। প্রার্থীর সমর্থনে আগে বড়মাপের সভা হয়েছে। আমরা ছোট সভা, বাড়ি বাড়ি প্রচারের উপরেও জোর দিয়েছিলাম। এখানে ভালো প্রচার হয়েছে। সাড়াও পেয়েছি।
এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনিও ইটাহারে এসে কয়েক দফায় প্রচার সেরেছেন। পাশাপাশি দলীয় সংগঠনও প্রচার করেছে। ইটাহারের ১২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০টি তৃণমূলের দখলে। বাকি দু’টি বিজেপির দখলে আছে। ফলে কিছুটা হলেও ইটাহারে তারা শক্তিবৃদ্ধি করেছে। রায়গঞ্জ কেন্দ্রের ভোট শেষ হতেই দলের জেলা সভাপতি নির্মল দাম সহ অন্য কয়েকজন নেতা ইটাহারে গিয়ে প্রচারে নামেন। নির্মলবাবু বলেন, ইটাহারে দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচার আগে থেকেই চলেছে। আমি রবিবার সেখানে প্রচার করেছি। এখানে আমাদের ফল ভালো হবে।
একসময় ইটাহারে বামেদের যথেষ্ট ভালো সংগঠন ছিল। কিন্তু সেই সংগঠন আজ অনেকটাই ক্ষয়েছে। এই কেন্দ্রের বামপ্রার্থী রণেন বর্মন। তিনিও এলাকায় প্রচার করেছেন। তাঁর হয়ে দক্ষিণ দিনাজপুররের বাম নেতারাও প্রচারে অংশ নিয়ে ছিলেন। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলা সিপিএমের সম্পাদক অর্পূব পাল ইটাহারে যান। অপূর্ববাবু বলেন, ওই জেলার নেতা নারায়ণ বিশ্বাস, গৌতম বিশ্বাসের মতো নেতারা সেখানে দায়িত্বে রয়েছেন। আমিও সেখানে প্রচারে করেছি।
বালুরঘাট কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুস সাদেক সরকার ইটাহারে গিয়ে প্রচার সেরেছেন। কংগ্রেসের দাবি, এখানে তাদের ভালো সংগঠন রয়েছে। তাই ব্লকের সংগঠনই প্রচারের বিষয়টি দেখেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, আমি কলকাতায় যাচ্ছি। ফলে ইটাহারের প্রচারে যোগ দিতে পারছি না। তবে ইটাহারে আমাদের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। তারা প্রচারের বিষয়টি দেখেছে।