উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
দার্জিলিং আসনে মোট ১৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। প্রার্থীতালিকা দীর্ঘ হওয়ায় দার্জিলিংয়ে ১৮৯৯টি বুথে দু’টি করে ইভিএম থাকবে। পাহাড়-সমতল মিলিয়ে এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৬ লক্ষ ৫৬৪ জন। মোট ভোটকর্মী ৭০৬৫ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটকর্মী ৩০০ জন। দার্জিলিং কেন্দ্রে ৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। ৮০ শতাংশ বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বছর দুয়েক আগে পাহাড়ের উত্তপ্ত পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই কেন্দ্রের উপর নির্বাচন কমিশনের আলাদা নজর রয়েছে। তবে বিমল গুরুং এলাকায় ঢুকতে না পারায় বিজেপি এই কেন্দ্র কতটা দখলে রাখতে পারে, সেটাই দেখার। ভৌগোলিক কারণেও দার্জিলিংয়ের উপর বিশেষ নজর রয়েছে কমিশনের।
পাশের জলপাইগুড়িতে বুধবার ভোটের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপি সেখানে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এই কেন্দ্রে রয়েছে মোট ৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ১৮৬৮টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ৩৫৪টি স্পর্শকাতর বুথ। মোট ১২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এই কেন্দ্রে মোট ১৭ লক্ষ ৩১ হাজার ৮৩৪ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সবথেকে বেশি নির্বাচনী উত্তাপ রয়েছে রায়গঞ্জে। এই কেন্দ্রে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে লড়াই হচ্ছে। সিপিএমের মহম্মদ সেলিম তাঁর আসন ধরে রাখতে যেমন মরিয়া, তেমনি কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সি আসন পুনরুদ্ধার করতে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নন। সে কারণেই এই নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোট হয়নি। একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে। এরই মধ্যে তৃণমূল আসনটি নিজেদের দখলে আনতে কোমর বেঁধে নেমেছে। আগের থেকে বেশি শক্তি নিয়ে তারা লড়াইয়ে শামিল হয়েছে। তাদের প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে জেতাতে মরিয়া তৃণমূল। বিজেপিও দাড়িভিটের ইস্যুতে নির্বাচনে এগিয়ে থাকতে চাইছে। চারটি দলের এই রাজনৈতিক লড়াইয়ে জমজমাট রায়গঞ্জ। এদিন বিকেলে একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ দেখাতে থাকেন। রায়গঞ্জে থাকছে মোট ৬৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিন কেন্দ্রের যেসব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না, সেখানে ওয়েবকাস্টিং, সিসিটিভি, ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা থাকছে এবং মাইক্রো অবজারভার থাকবেন। রায়গঞ্জ কেন্দ্রে মোট প্রার্থী ১৪ জন। মোট ভোটার ১৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৪৮ জন। ৭৭০৯ জন ভোটকর্মী ১৬২৩টি বুথে ভোটগ্রহণের কাজে নিযুক্ত থাকবেন। রয়েছে ১৭টি মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। থাকছে ২১২৯টি ইভিএম এবং ২১৪৩টি ভিভিপ্যাট।