উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
ইটাহারের সভায় মমতা বলেন, এবার জনগণের দরকার নতুন সরকার। জনগণের দরকার তৃণমূলের নেতৃত্বে সরকার। এরপরই তিনি বলেন, বাংলা আর ইউপি (উত্তরপ্রদেশ) মিলে ঠিক করবে, কেন্দ্রের আগামী সরকার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এই কেন্দ্রে কিছুটা প্রভাব রয়েছে কংগ্রেসের। গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণের সঙ্গেই সেই বিষয়টি মাথায় রেখে জনতা-জনার্দনের কাছে মমতার নিবেদন, কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে লাভ নেই। বরং এখানে বহরমপুর, জঙ্গিপুর সহ আরও কয়েকটি কেন্দ্রে বিজেপির সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করেছে ওরা (কংগ্রেস)। তৃণমূল সুপ্রিমোর আগাম ঘোষণা, এবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ফ্রন্ট। মমতার ভবিষ্যতবাণীকে করতালি আর হর্ষধ্বনিতে স্বাগত জানিয়েছে মানুষ।
তাঁর সরকারের অভিমুখ যে সাধারণ মানুষ এবং তা জন্ম, শিক্ষা, বিবাহ এবং মৃত্যুর সময় পর্যন্ত সবুজশ্রী, সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, রূপশ্রী আর সমব্যথীর মতো প্রকল্পগুলির মধ্যে দিয়ে বিস্তৃত, তার বিস্তারিত বিবরণ দেন মমতা। একইসঙ্গে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই জেলার জন্য তিনি কী কী করেছেন, তাও জানিয়ে দেন। তাঁর পরিকল্পিত বেশ কয়েকটি রেলপথ (মমতার কথায়, যা উত্তরবঙ্গের সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার পক্ষে সহায়ক হতো) এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়াগান তৈরির প্রস্তাবিত কারখানাকে কীভাবে বিজেপি সরকার ঝুলিয়ে রেখেছে, তারও ব্যাখ্যা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জনতার দরবারে এসব কর্মকাণ্ডের বিবরণ পেশ করে মমতার প্রশ্ন, গত পাঁচ বছরে মোদিবাবুর কাজ দেখেছেন? জবাবও নিজেই দিয়েছেন তিনি। সাধারণের রোটি, কাপড়া, মকান এবং গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য কোনও কাজই করেননি মোদি। দেওয়া তো দূরের কথা, শুধুমাত্র ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে খেয়ে নিয়েছেন দু’কোটি মানুষের চাকরি। ভোট মিটলেই, বিএসএনএল-এর হাজার হাজার কর্মীর চাকরি খাবেন বলে বসে আছেন।
মমতার কথায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম কম থাকা সত্ত্বেও এখানে পেট্রপণ্য অগ্নিমূল্য। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, ইরান থেকে আগে অপেক্ষাকৃত কম দামে তেল কিনত ভারত। কিন্তু এখন তা কেনা বন্ধ করা হয়েছে। বাড়তি খরচা করে বিশ্বের অন্য দেশ থেকে তেল আনতে হচ্ছে দিল্লিকে। তার জেরেই বাড়ছে পেট্রপণ্যের দাম। পুরো বিষয়টিকেই কেন্দ্রের ভ্রান্তনীতি বলে জনতার সামনে উপস্থাপন করেছেন মমতা।
নাম না করে এদিন ফের গেরুয়া শিবিরের পোস্টার বয় নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর আস্থাভাজন সেনাপতি অমিত শাহকে কটাক্ষবাণে বিঁধেছেন মমতা। বলেছেন, দুই ভাই, জগাই-মাধাই। এঁরা দেশের উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করেননি। করেছেন শুধু ভাগাভাগি। মমতার স্পষ্টবার্তা, নিজের জীবন বাজি রাখতে রাজি, তবুও ভাগাভাগির রাজনীতি করতে দেব না, কিছুতেই না।