উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
দার্জিলিং লোকসভা আসন এবার শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সমতলের চারটি (শিলিগুড়ি, নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, চোপড়া) এবং পাহাড়ের তিনটি (দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং) বিধানসভা কেন্দ্রকে নিয়ে এই লোকসভা কেন্দ্র। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাহাড়ে কংগ্রেস এবং বামেদের কার্যত তেমন কোনও শক্তিই নেই। কিন্তু শিলিগুড়ি, নকশালবাড়ি এবং ফাঁসিদেওয়ায় আবার ওই দুটি দলের রাজনৈতিক জমি পোক্ত। অন্তত গত কয়েকটি লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের পর্যালোচনা করলে সেটাই দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি শক্তি বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসেরও। অন্যদিকে, কালিম্পং আসনে ভোট কাটতে পারেন নির্দল প্রার্থী হরকা বাহাদুর ছেত্রী। সমতলে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী গতবার ভালো ভোটে এগিয়েছিলেন। চোপড়ায় এবারও দল ভালো করবে এ ব্যাপারে আশাবাদী তৃণমূল সুপ্রিমো। এই অবস্থায় দার্জিলিং এবং কার্শিংয়াং বিধানসভা আসনে যে দল বেশি ভোটে লিড নিতে পারবে, তাদের দখলেই থাকবে এই লোকসভা কেন্দ্রটি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এখানকার ভোটাররা দু’ভাগে বিভক্ত। একদল এখনও যারা বিমল গুরুংয়ের পক্ষে থেকে গোর্খাল্যান্ডকে চাইছে। এবারের নির্বাচনেও বিমল পন্থীরা বিজেপিকে সমর্থন করছেন। অন্য দল যারা পাহাড়ে বিনয় তামাং পন্থী বলে পরিচিত, তাদের ভোট যেতে পারে তৃণমূলের দিকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে থাকা দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা ডলি রাইয়ের কথায়, ২০০৯ সাল থেকে এই আসনে গোর্খাদের ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি জিতে আসছে। কিন্তু, তারা পাহাড়ের জন্য কোনও কাজ করেনি। উল্টে মমতাদিদি যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন, তাকে কাজে লাগিয়ে এখানকার রাস্তা থেকে পানীয় জল সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন করেছেন। পর্যটনেও উন্নতি হয়েছে। বন্ধ করে আর কেউ না খেয়ে মরতে চান না। আরেক বাসিন্দা সুজয় থাপা বলেন, প্রথম জিটিএ’র প্রধান ছিলেন বিমল গুরুং। কিন্তু, সেই সময় সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কোনও কাজ হয়নি। এখন হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতলে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ পাওয়া যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার তাঁদেরই একজনকে প্রার্থী করেছেন। তাই তাঁরা খুব খুশি।
অন্যদিকে, দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা বিমলপন্থী প্রশান্ত গুরুংয়ের কথায়, ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন যেভাবে এখানকার মানুষকে খুন করেছে, তা এখনও কেউ ভোলেননি। আরেক বাসিন্দা বিনয় ছেত্রীর কথায়, বিমলজি এই প্রথম পাহাড়ের কোনও বড় ভোটে নেই। তাতে কী হয়েছে? তাঁর দেওয়া একের পর এক আটটি ভিডিও এবং অডিও বার্তা এখানকার সব মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। মমতাদিদির বুলেটের জবাব ব্যালটে দেওয়া হবে। এখানকার মানুষ বিমল গুরুংয়ের পক্ষেই থাকবে।