উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
তবে আগামী দুই-তিনদিন দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি আছে। বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। পূর্ব ঝাড়খণ্ড থেকে ওড়িশা হয়ে ছত্তিশগড় পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হতে পারে। ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার নির্দিষ্ট পূর্বাভাস কয়েক ঘণ্টা আগে আবহাওয়া দপ্তর জারি করে। মঙ্গলবার রাতের দিকে পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদে ভালো বৃষ্টি হয়। কলকাতার কিছু এলাকাতে হালকা বৃষ্টি হয় মঙ্গলবার রাতে।
এদিকে নিয়মিত ঝড়-বৃষ্টির জন্য রাজ্যে সার্বিকভাবে মার্চ ও এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি পেয়েছে। মার্চ মাসে কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির কিছুটা ঘাটতি ছিল। কিন্তু এপ্রিল মাসে সব জেলায় স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি বৃষ্টি হয়েছে। রাজ্য কৃষি দপ্তর সূত্রে পাওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, পয়লা এপ্রিল থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহারের মতো জেলায় স্বাভাবিকের থেকে তিন গুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বাকি জেলাগুলির মধ্যে তিনটি ছাড়া অন্য সব জায়গাতেই স্বাভাবিকের দ্বিগুণ বৃষ্টি হয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গে সার্বিকভাবে স্বাভাবিকের থেকে দ্বিগুণের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কৃষি দপ্তরের মুখ্য আবহাওয়াবিদ মৃণাল বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই সময় স্বাভাবিক বৃষ্টির মাত্রা খুব একটা বেশি থাকে না। দ্বিগুণ বা বেশি বৃষ্টি হলেও তা পরিমাণগত হিসেবে প্রচুর নয়। তবে এত বেশি বৃষ্টি সাধারণত এই সময়ে হয় না। তবে কৃষির উপর এই বৃষ্টির ইতিবাচক ও নেতিবাচক- দুই প্রভাবই পড়েছে। রাজ্যের অনেকগুলি জেলাতে এই সময় পাট চাষ শুরু হয়। পাটের চারা রোপণের জন্য মাঠে জল থাকা প্রয়োজন। এই বৃষ্টি সেই জলের প্রয়োজন মিটিয়েছে। বোরো ধান চাষের পক্ষেও বৃষ্টি ভালো হয়েছে। বোরো চাষ মূলত সেচের উপর নির্ভর করে হয়। ভূগর্ভস্থ জল পাম্পের সাহায্যে তুলে সেচের চাহিদার বেশিরভাগটা পূরণ করা হয়। এবার নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় সেচের জল অনেক কম লেগেছে। এতে ভূগর্ভস্থ জলস্তর ভালো থাকবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। কিন্তু অসময়ের বেশি বৃষ্টি গরমে চাষ হওয়া বিভিন্ন সব্জি– পটল, ঢেঁড়শ, ঝিঙে, বেগুন, উচ্ছে প্রভৃতির বেশ ক্ষতি করেছে। বাজারে যার প্রভাবও পড়ছে।