উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এছাড়াও বিজেপি’র পক্ষ থেকে রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষকরের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করার কথা বলেছেন। তাঁর মন্তব্য নিয়ে নদীয়ার জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানো হবে। দিল্লি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে বলে অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বায়োপিক বাঘিনী’র প্রোমো ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে বলে কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যত অভিযোগ সিইও দপ্তরে জমা পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, অভিযোগের ক্ষেত্রে বিজেপি’কে টপকে গিয়েছে সিপিএম। বিজেপি’র পক্ষ থেকে ১৪৩টি অভিযোগ করা হয়েছে। যার মধ্যে এখনও ৮ অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি। তবে সিপিএম অভিযোগ জানিয়েছে ১৬২টি। এর মধ্যে ৬টি’র নিষ্পত্তি হয়নি। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে ৭৮টি। এর মধ্যেও ছ’টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি। সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লকের চারটি করে অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ হল ৩৬টি। এর মধ্যে দুটি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি। গত ১০ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে মোট ৪২৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৪০৬টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। সেই সব অভিযোগের ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ রাজনৈতিক দলগুলিকে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, বিজেপি’র পক্ষ থেকে রোজই সিইও অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। বিজেপির এক নেতা বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাছে বলেছিলেন, সিইও আরিজ আফতাব থাকলে কথা বলবেন না। প্রথম দফার ভোটের পরে আবার সিইও’র চেম্বারে বসে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এবার তাই বিহারের প্রাক্তন সিইও অজয় নায়েককে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ তিনি কলকাতায় আসেন। আজ, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন তিনি সিইও দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাঁর অন্যতম কাজ হবে, সিইও দপ্তরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখা। এছাড়াও যে পর্যবেক্ষকরা রাজ্যে এসেছেন, তাঁদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখবেন। এর আগে ২০০৪ সালে আফজল আমানুল্লা, ২০০৬ সালে কে জে রাও, ২০১৪ সালে সুধীর রাকেশ এসেছিলেন। এবার এলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। এরাজ্যে ৪৭ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক, ৪৪ জন খরচ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক এবং ২৪ জন পুলিস পর্যবেক্ষক রয়েছেন।