উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এদিকে, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে রাতে জানা গিয়েছে, এদিনই ফিরদৌসের ভিসা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে বিদেশমন্ত্রকে। সেখানে বাংলাদেশি এই অভিনেতার বিরুদ্ধে ভিসা আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ফলস্বরূপ ভারত সরকার ফিরদৌস আহমেদের বিজনেস ভিসা বাতিল করেছে। পাশাপাশি তাঁকে অবিলম্বে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিদেশ থেকে আগত নাগরিকদের কালো তালিকায় বাংলদেশি এই অভিনেতার নাম যুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি সংবাদ সংস্থার।
সূত্রের দাবি, ফিরদৌস আহমেদ রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে বাংলদেশ সীমান্ত লাগোয়া হেমতাবাদ-করণদিঘিতে প্রচারে অংশ নিয়েছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার অভিযোগ, ফিরদৌস এবং গাজিনুর ‘বিজনেস ভিসা’য় ভারতে এসেছিলেন। যার অন্যতম শর্ত বাণিজ্যিক কাজ ছাড়া তাঁরা কোনওরকম কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়াতে পারবেন না। কিন্তু ভারত সরকার গঠনের এই ভোটে দুই বাংলাদেশি যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে প্রচার করছেন, তাতে তৃণমূল এবং ওই বিদেশি অভিনেতাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন রাহুলবাবু। একই সঙ্গে বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু কমিশনে বসে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন।
অন্যদিকে, রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু ফিরদৌস বিতর্কে জানিয়েছেন, বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। অভিযোগের আইনি সারবত্তা রয়েছে কি না, তা জানতে গোটাটাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে সঞ্জয়বাবু বলেন, আমি নিরপেক্ষভাবেই কাজ করছি। যা করছি তা সম্পূর্ণ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে। তা সত্ত্বেও আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগপত্রও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যদিও বিজেপির এই অভিযোগকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই বাতাসে ভেসে থাকতে এ ধরনের অভিযোগ তুলে জলঘোলা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের মানুষ বিজেপির এই সারবত্তাহীন বক্তব্যকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের পতন আসন্ন বুঝে দিকভ্রান্তের মতো আচরণ করছেন বিজেপির নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেস দেশের অখণ্ডতা-একতার পক্ষে সর্বদা কাজ করে এসেছে এবং করবে।