খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের দিকটাও ভাবতে হবে, আবার স্বাস্থ্য সম্পর্কেও তাদের সচেতন করতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে তিনি জানান। যাবতীয় পরিচ্ছন্নতা এবং সতর্কতা বিধি মানতে বলা হয়েছে। ছাত্রছাত্রী তো বটেই, পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত সবাইকে এর আওতায় আনতে হবে। মহুয়াদেবী পার্থবাবুকে আশ্বাস দেন, এ বিষয়ে ডিআইদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ডিআইরাও এই সংক্রান্ত নির্দেশ দিতে শুরু করেছেন। কলকাতার ডিআই অফিস থেকে যেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বার বার বলা সত্ত্বেও যেসব স্কুল হ্যান্ড ওয়াশ এবং স্যানিটাইজার ছাড়াই পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে দিচ্ছে, তারা যেন সেগুলি আবশ্যিকভাবে রাখতে শুরু করে। সেন্টার ইনচার্জদের এই বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। এর জন্য যাবতীয় বিল ডিআই অফিসে পাঠিয়ে দিতেও বলা হয়েছে।
এদিকে, শিক্ষক সংগঠন এসটিইএ-র সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র ইতিমধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিক পিছিয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দাবি রেখেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ও শিক্ষাবিষয়ক কর্মচারী সমিতির সভানেত্রী সঙ্ঘমিত্রা ভট্টাচার্য বলেন, অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে সবরকম সতর্কতা মানা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত। এতে পরীক্ষার্থীদের উপর যে মানসিক চাপ পড়ছে, তা নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দেওয়া যায় না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, সব পরীক্ষা পিছিয়ে গেল, ইউজিসি খাতা দেখা পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে বলল। এই অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক যেনতেন প্রকারেণ সাতদিন টেনে দেওয়ার যে মনোভাব সরকার দেখাচ্ছে, তা বিপজ্জনক। পরীক্ষার উত্তরপত্র বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে। সেটার সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের তিন ঘণ্টারও বেশি সময় কাটাতে হয়। হ্যান্ড স্যানিটাইজার আর ক’বার দেওয়া যাবে? অনেক শিক্ষকও হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যাচ্ছেন। উচ্চ মাধ্যমিকের মতো পরীক্ষার নম্বর সারা জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষা এত চাপ নিয়ে না দেওয়ার অধিকার ছাত্রছাত্রীদের রয়েছে।