খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এদিকে, তানিয়ার সহযোগী মনাজিরুল ইসলাম নামে এক কলেজ ছাত্রকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে। সে পাকিস্তানে বিভিন্ন সময়ে ফোন করেছে বলে জানা গিয়েছে। তার কাছ থেকে মিলেছে দুটি মোবাইল ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। এদিকে তানিয়ার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল থেকে শুরু করে সমস্ত ইলেকট্রনিক সামগ্রী ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
তানিয়ার মূল লক্ষ্য ছিল আইএসের ধাঁচে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সে মনে করত লস্করের পক্ষেই যা করা সম্ভব। পাকিস্তান থেকে তার কাছে জেহাদি কার্যকলাপ সম্বন্ধীয় একাধিক বই এসে পৌঁছয়। এগুলি পড়েই সে জেহাদি ভাবধারার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। জানা যাচ্ছে, বছর তিনেক ধরে সে লস্করের সঙ্গে যুক্ত। পুলওয়ামাকাণ্ডের সময় এই নিয়ে পাকিস্তানে থাকা একাধিক লস্কর জঙ্গির সঙ্গে সে কথা বলেছে। হামলার ছবি নিজের গ্রুপে পোস্ট করে জেহাদিদের প্রশংসাও করে। প্রথমে তাকে জেহাদি ভাবধারা প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে লস্করের ভেঙে পড়া স্লিপার সেলকে নতুন করে তৈরির জন্য কাজ করতে নির্দেশ আসে পাকিস্তান থেকে।
নিজেদের মতাদর্শ প্রচার ও স্লিপার সেল তৈরির জন্যই সে একাধিক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলেছিল। জানা যাচ্ছে, এক একটি গ্রপে ৬০ থেকে ৭০ জন ছিল। যার মধ্যে পাকিস্তানে বসে লস্করের হয়ে কাজ করা কয়েকজন কট্টর জঙ্গিও ছিল। স্কুলকলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের যাতে জঙ্গি মনোভাবাপন্ন করে গড়ে তোলা যায়, তার জন্য এই জায়গাগুলি থেকে ছেলেমেয়ে খুঁজে বের করে গ্রুপে আনা হয়। সেই সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত লাগোয়া অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলিতে তানিয়া ঘুরে বেড়াত। এখানে জঙ্গি ভাষণ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন ছেলেমেয়েকে নিয়োগ করার কাজ চলত।
তদন্তকারী অফিসারদের কাছে আসা খবর অনুযায়ী, মালদহ ও মুর্শিদাবাদেও সে একাধিক শিবির করেছে। যেখানে জঙ্গি ভাষণ ও কীভাবে এই ধরনের কার্যকলাপ চালাতে হবে তা নিয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছে। তদন্তে উঠে আসছে পাকিস্তানে গিয়ে তার উন্নত ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা ছিল। এই নিয়ে হাফিজের দুই সহযোগীর সঙ্গে তার চূড়ান্ত কথা হয়ে যায়। বাংলাদেশ হয়েই সে পাকিস্তানে যেত। সেখানে গিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কয়েকজন শীর্ষ কর্তার সঙ্গেও তার দেখা করার কথা ছিল। সেই সঙ্গে সংগঠনের জন্য টাকা নিয়ে আসার কথা ছিল, যা দিয়ে সীমান্ত এলাকায় বড়সড় জঙ্গি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হত বলে জানতে পারছেন বেঙ্গল এসটিএফের অফিসাররা।