খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
সারদা, রোজভ্যালি কাণ্ডের পর কিছুদিন চিটফান্ড ব্যবসা বন্ধ থাকলেও, নতুন মোড়কে বিভিন্ন কোম্পানি বাজার থেকে আবার টাকা তোলা শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শেয়ারে লগ্নি বা গাছ কেনার টোপ দিয়ে এই সংস্থাগুলি টাকা তুলছে বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, এই সংস্থাটি ২০১২ সালে তৈরি হয়। সল্টলেকে তারা মূল অফিস খোলে। পাশাপাশি বহরমপুরসহ অন্যান্য জায়গায় অফিস খোলা হয়। সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে চারজনকে দেখানো হয়। এই সংস্থা জানায়, সেবির অনুমোদন নিয়ে তারা শেয়ারে টাকা লগ্নি করছে। আমানতকারীদের টাকা শেয়ারে খাটানো হবে এবং শেয়ার তাঁদের নামেই কেনা হবে।
আমানতকারীদের বলা হয়, তাদের সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করার পর তাঁরা প্রতি মাসে টাকা পাবেন। তার অঙ্ক নির্ধারিত হবে কী পরিমাণ টাকা রাখা হচ্ছে তার উপর। এর বাইরে বড় অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে। কেউ টাকা তুলে নিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আমানতকারীকে তিন মাস আগে জানাতে হবে। বাজার থেকে টাকা তোলার জন্য একাধিক এজেন্টও নিয়োগ করা হয়।
পুলিস জানিয়েছে, আশ্বস্ত হয়ে অনেকেই এই সংস্থায় টাকা রাখেন। প্রথম প্রথম প্রতিশ্রুতিমতো টাকা দেওয়া হলেও কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে আমানতকারীদের ঘোরানো হতে থাকে। অনেকেই টাকা তুলে নিতে চান। অভিযোগ তাঁদের কাউকেই টাকা দেওয়া হচ্ছিল না। তখনই আমানতকারীরা বুঝতে পারেন যে, তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। টাকা রেখে প্রতারিত বহরমপুরের বাসিন্দা শুভজিৎ সিনহা বহরমপুর থানায় এই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস কোম্পানির চার ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় কেস রুজু করে।
তদন্তে উঠে এসেছে, আমানতকারীদের সংগৃহীত টাকায় তাঁদের নামে শেয়ার কেনা হয়নি এবং শেয়ারে বিনিয়োগও করা হয়নি। টাকার পুরোটাই কোম্পানির নিজের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর হয়েছে। এই টাকা ঘুরপথে বাইরে বের করে আনা হয়েছে। ডিরেক্টররা আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ নিজেদের নামে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বিনিয়োগ করেছেন। সংস্থায় টাকা রেখে প্রতারিতদের বেশিরভাগই খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষ। বিপুল পরিমাণ টাকা হাপিশ হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। নথি ঘেঁটে জানা যাচ্ছে, শুধু বহরমপুর থেকেই এই সংস্থা ১০০ কোটি টাকা তুলেছে। অন্যান্য জেলা থেকেও তাদের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। যার পরিমাণ সব মিলিয়ে কয়েকশো কোটি টাকা হবে বলেই ধারণা পুলিসের।