খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
করোনা মোকাবিলায় সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিধানসভার অধিবেশন। বন্ধ রাখা হয়েছে বিধানসভার বিভিন্ন কমিটির মিটিং। এই অবস্থায় বিধায়ক আবাসনের ক্ষেত্রেও একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত গেস্ট হাউসের ঘর ভাড়া দেওয়া হবে না। বিধায়কদের থাকার জন্য কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেল রয়েছে। যেখানে বিধায়কদের জন্য বরাদ্দ ২০০টি ঘর। এছাড়াও এমএলএ হস্টেলে রয়েছে গেস্ট হাউস। তাতে আটটি স্যুট, ১৬টি এসি ঘর এবং ১৬টি নন এসি ঘর রয়েছে। এই ঘরগুলি বছরভর ভাড়া দেওয়া হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মন্ত্রী- বিধায়কদের পরিচিতরা ভাড়া নিয়ে থাকেন। এখন থেকে স্যুট, এসি, নন এসি কোনও ঘরই ভাড়া দেওয়া হবে না, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশে আরও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কোনও রোগীকে বিধায়ক আবাসনের গেস্ট হাউসের ঘর ভাড়া দেওয়া হবে না। যে সব ঘর আগে থেকে বুকিং ছিল, তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন বিধায়করা চিকিৎসা সংক্রান্ত বা অন্য কোনও প্রয়োজনে কলকাতায় এলে বিধায়ক আবাসনের গেস্ট হাউসের ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন। কিন্তু এই নির্দেশে সেটাও স্পষ্ট করা হয়েছে, প্রাক্তন বিধায়ক রোগী হলেও তিনি থাকতে পারবেন না। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গেস্ট হাউসে নতুন করে কোনও বুকিং আর হবে না। যে বুকিংগুলি আগে ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। এর আগে দেখা গিয়েছে, চিকিৎসার প্রয়োজনে কোনও রোগী এলে হস্টেলের ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার থেকে কোনও রোগীকে ঘর ভাড়া দেওয়া হবে না। করোনা মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে বিধানসভার সচিবালয়। এছাড়াও নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, বিধানসভা ও আবাসনের সমস্ত কর্মীকে মাস্ক দেওয়া হয়েছে। দু’টি জায়গাতেই রয়েছে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার। সব বিধায়ককে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।