খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
ধর্ষিতার দাদা সন্দীপ ঘোষ বিচার ব্যবস্থায় বিলম্ব হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, কামদুনি মামলায় বিশেষ আইনজ্ঞ আইনজীবী দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ আইনজ্ঞ আইনজীবী না থাকার কারণে একের পর এক এজলাস বদল হয়েছে। কিন্তু, দোষীদের ফাঁসির ঘোষণা হচ্ছে না। আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছুক। এবং চাই, মামলায় রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করুক।
সাত বছর গড়িয়ে গেল। আজও কামদুনি কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের ফাঁসি হল না। নির্ভয়া কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি হওয়ার পর বারবার আক্ষেপ ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রী মায়ের। কামদুনি প্রতিবাদি মঞ্চও বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের জুন মাসে রাজারহাট খড়িবাড়ি রাস্তার কামদুনি মোড় থেকে গ্রামে যাওয়ার পথে একটি ঘরের মধ্যে গণধর্ষিতা হন কলেজ ছাত্রী। গণধর্ষণের পর খুন করে ফেলে দেওয়া হয় একটি জলাজমিতে। তারপর উত্তাল হয়ে ওঠে কামদুনি। কামদুনি আন্দোলনে শমিল হন বিশিষ্টজনেরাও। আন্দোলনের প্রধান মুখ হয়ে ওঠেন টুম্পা বিশ্বাস, মৌসুমী কয়াল। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে নির্যাতিতার পরিবারকে ৬টি চাকরি দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই পরিবার কামদুনি গ্রামে থাকেন না। তাঁরা সকলে চলে গিয়েছেন দত্তপুকুরে।
তবে কামদুনির প্রতিবাদ এখনও থামেনি। কামদুনি মঞ্চের প্রতিবাদ প্রায়শই গর্জে ওঠে। প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল বলেন, নির্ভয়া কাণ্ডের তুলনায় নৃশংসতায় কোনও অংশে কম নয় কামদুনি কাণ্ড। পাশবিক ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। আমাদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, প্রতিবাদ থামাইনি। এখনও লড়ে যাচ্ছি। যেতে আসতে জুতোর সুখতলা ক্ষয়ে গিয়েছে। আক্ষেপ একটাই, আজও দোষীদের ফাঁসি হল না।
২০১৪ সালেই কলকাতা ব্যাঙ্কশাল কোর্ট অভিযুক্ত আনসার আলি, সইফুল আলি, আমিনুর আলি, ভুতো মোল্লা, ইনামুল মোল্লা, আমিন আলি, গোপাল নস্কর, ভোলানাথ নস্করকে দোষী সাব্যস্ত করে। প্রথম তিন জনকে ফাঁসির নির্দেশ দেয় আদালত। বাকিদের আমৃত্যু যাবজ্জীবনের নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে জেলে থাকাকালীন গোপাল নস্করের মৃত্যু হয়েছে।
কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি ভাস্কর মণ্ডল বলেন, পরিবারটির পাশে থাকতে আমরা আন্দোলন করলাম। অথচ পরিবারটি ছয়টি চাকরি নেওয়ার পর গ্রাম ছেড়ে চলে গেল। সকলের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত লড়াই আমরা থামাচ্ছি না।
দেশে উল্লেখ্যযোগ্য ধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের সাজা ঘোষিত হলেই কামদুনির প্রসঙ্গ উঠে আসে। এখনও কামদুনির বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কেঁদে যাচ্ছে!