বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবছরই অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে লহরিয়ার আতসবাজির প্রদর্শনী ঘিরে সাধারণ মানুষের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। এদিন দুপুরে লহরিয়া শিব মন্দির সংলগ্ন মাঠে ফুটবল প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে দুর্গাপুজো কমিটি। ফুটবল খেলা দেখতে দুপুর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা লহরিয়ায় ভিড় জমাতে শুরু করেন। যদিও সন্ধ্যার পর ভিড় আরও বাড়ে।
এবিষয়ে লহরিয়া দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণচন্দ্র মাহাত বলেন, একাদশীর দিনে ফুটবল প্রতিযোগিতা ছাড়াও প্রতিবছরই ধুমধামের সঙ্গে রাবণ পোড়ানো অনুষ্ঠান হয়। আতসবাজির মাধ্যমেই প্রায় ৫০ ফুটের রাবণ পোড়ানো হয়। এছাড়াও আতসবাজির প্রদর্শনী ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। এদিন বাঘমুণ্ডি এবং পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু মানুষ লহরিয়া শিবমন্দির সংলগ্ন মাঠে আতসবাজির প্রদর্শনী দেখতে আসেন।
এদিন পুরুলিয়া থেকে লহরিয়ায় রাবণ বধ ও আতসবাজির প্রদর্শনী দেখতে আসা উজ্জ্বল মাহাত বলেন, পাহাড়ের কোলে হওয়ার জন্যই লহরিয়া এলাকায় আতবাজির প্রদর্শনী দেখার মজাটাই আলদা। আগেও একবার এই এলাকায় একাদশীর দিনে এসেছিলাম। এদিন বিকেল থেকেই লহরিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিলাম। পরে রাবণ পোড়া অনুষ্ঠান দেখলাম।
ঝাড়খণ্ডের টাটার বাসিন্দা গুরুপদ মাহাত, কৃষ্ণপদ রায় বলেন, দুর্গাপুজোর সময় আসার সময় না হলেও একাদশীর দিন লহরিয়ায় প্রায় প্রতিবছরই আসি। আতসবাজি পোড়ানোর শব্দ পাহাড়ের কোলে ইকো হয়। সেই শব্দ এবং হরেকরকম বাজি দেখার মজাটাই আলাদা। প্রতিবছরই কিছু না কিছু নতুন ধরনের বাজি থাকে। বাঘমুণ্ডি এলাকায় আত্মীয়ের বাড়ি থাকায় সুবিধা হয়।
লহরিয়া শিবমন্দির এলাকাতেই দোকান থাকা ছোট ব্যবসায়ী হরিপদ মাহাত বলেন, দুর্গা পুজোর চারদিনের তুলনায় একাদশীতেই ভিড় সবচেয়ে বেশি হয়। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিনের বিক্রিও ভালো।
অন্যদিকে, লহরিয়া ছাড়াও পুরুলিয়া শহরের জেলে পাড়াতেও আসতবাজি প্রদর্শনী দেখতে পুরুলিয়া শহর এবং শহর সংলগ্ন বাসিন্দারা ভিড় জমান। জেলার অন্যান্য প্রান্তেও এদিন রাবণ বধের অনুষ্ঠান ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। পুরুলিয়ার আনাড়া সেন্ট্রাল দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় রেলওয়ে ময়দানে বিজয়া দশমী উপলক্ষে দশেরা (রাবণ পোড়া) উৎসব পালিত হয়। ওই দিন পুরুলিয়া লোকসভার সংসদ সদস্য জ্যোতির্ময় সিং মাহাত রাবণের শরীরে তির নিক্ষেপ করে উৎসবের সূচনা করেন। ওই দিন বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে রেল কলোনি সহ স্থানীয় বিভিন্ন গ্রামের প্রচুর মানুষ দশেরা উৎসবে শামিল হয়েছিলেন। পুজো কমিটির সম্পাদক মহাদেব মাণ্ডি বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রচুর মানুষ উৎসবে শামিল হয়েছিলেন।
সংসদ সদস্য জ্যোতির্ময় মাহাত বলেন, কমিটির ডাকে এখানকার উৎসবে শামিল হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। বিজয়ার দিন রাবণ দহনের মধ্য দিয়ে শুভ শক্তির আর্বিভাব ও সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ করা হয়।