বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
নবদ্বীপ ব্লকের মায়াপুর-বামনপুকুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইদ্রাকপুরের নিদয়া গ্রাম। সেখানে কয়েকশো পরিবারের বসবাস। ভাগীরথীর তীরবর্তী হওয়ায়, ভাঙন কবলিত গ্রাম বলে এই এলাকা চিহ্নিত। গত তিনমাস আগে ভাঙনের কবলে পড়ে এই গ্রাম। ভাঙন আটকাতে নদীয়া জেলার সেচ দপ্তর বোল্ডার ফেলে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে ভাগীরথীর পাড় বাঁধানোর কাজ করে। কিন্তু, ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। পাড় বাঁধানোর তিনমাস যেতে না যেতেই পুনরায় ভাঙন শুরু হয়। ফলে সেচ দপ্তরের কাজ নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে। পুনরায় ভাঙনের ফলে পুজোর মধ্যে ভিটেছাড়া হওয়ার আতঙ্ক রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামজুড়ে রয়েছে ব্যাপক আতঙ্ক। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির মায়াপুর-বামনপুকুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ইদ্রাকপুর ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। ভাগীরথীর ভাঙন এলাকার ৫০ ফুট দূরত্বে রয়েছে। ইদ্রাকপুরের প্রাথমিক স্কুল, জুনিয়র হাইস্কুল সবই ভাগীরথীর ভাঙন এলাকার কাছাকাছি রয়েছে। পুজোর মধ্যে ভাঙন চলায় আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে গ্রামবাসীরা আতঙ্কে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা নিতাই ঘোষ বলেন, কয়েকদিন আগেই ইদ্রাকপুরের সঙ্গে নবদ্বীপের সরাসরি যোগাযোগের রাস্তাটি ভাগীরথীর জলস্ফীতির কারণে ভেঙে গিয়েছে। একমাত্র অস্থায়ী নৌকায় যাতায়াত করতে হয়েছে। ভাগীরথীর জলবৃদ্ধি ও আগ্রাসনের ফলে পাড় ভাঙায় চরম আতঙ্কে নিদয়া, ইদ্রাকপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা।
ইদ্রাকপুরের বাসিন্দা ও নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তাপস ঘোষ বলেন, ইদ্রাকপুরের নিদয়া গ্রামে ভাগীরথীর ভাঙন ঠেকাতে গত তিনমাস আগে বোল্ডার ফেলে মেরামত করে সেচদপ্তর। পুজোর আগে ঝাড়খণ্ড ও বিহারে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে নদী বাঁধগুলি থেকে জল ছাড়ে। ফলে রাজ্যের প্রধান নদী গঙ্গায় জলস্ফীতি হয়। ফলে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়। জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে ইদ্রাকপুরের নিদয়া গ্রামে ভাগীরথীর ভাঙন শুরু হয়। এদিকে, সেচদপ্তরের ভাঙন মেরামতির কাজ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নতুন করে ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পুজোর মধ্যেই কয়েক বস্তা বালি ফেলে কাজ শুরু করে সেচদপ্তর।
নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হরিদাস দেবনাথ বলেন, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছি। নবদ্বীপের বিডিও বরুণাশিস সরকার বলেন, আমরা ইদ্রাকপুরের নিদয়া গ্রামে ভাগীরথীর ভাঙনের খবর পেয়েই জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, পূর্ত দপ্তর সহ জেলা সেচ দপ্তরকে জানিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আজ থেকে তিনমাস আগে ইদ্রাকপুরের নিদয়ার ভাগীরথীর ভাঙনে বোল্ডার ফেলে প্রতিরোধের কাজ করেছিল সেচদপ্তর। পুজোর মধ্যে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায়, ভাগীরথীতে জলস্ফীতি হয়। ফলে নতুন করে এই গ্রামে ভাঙন শুরু হয়। ইতিমধ্যে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু হয়েছে।