বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রশ্মি কমল, মেদিনীপুরের ডিআইজি সুকেশ জৈন, পুলিস সুপার দীনেশ কুমার, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি, পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার প্রমুখ। ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষও। যদিও ওই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেও তৃণমূলের গোষ্ঠী বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে। শুভেন্দুবাবু দায়িত্ব নেওয়ার পর শহরের সব নেতাকেই এক মঞ্চে দেখা যায়। এমনকী, পুজো উদ্বোধনেও শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে সব নেতাকে শামিল হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, মঙ্গলবার ওইরকম একটা জনসমাগমে তৃণমূলের শহর সভাপতি তথা কাউন্সিলার রবিশঙ্কর পাণ্ডে ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা কাউন্সিলার দেবাশিস চৌধুরীকে দেখা যায়নি।
শুভেন্দুবাবু বলেন, মিনি ইন্ডিয়ায় সবাই মিলে মিশে একেকার হয়ে গিয়েছেন। সুন্দর অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দু থেকে আড়াই লক্ষ মানুষ এসেছেন। এটা খড়্গপুরের মানুষের প্রাণের উৎসব। যেদিকে তাকাই শুধু কালো মাথা। রাবণ বধ করে তিনি বলেন, আজ অশুভ শক্তির বিনাস হল। শুভ শক্তির উত্তোরণ হল। সমাজে যা কিছু অশুভ তার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। অশুভকে ধ্বংস করতে হবে। সব শুভ হোক। মানুষের মঙ্গল হোক। তিনি এদিন হিন্দিতেই ছোট বক্তব্য পেশ করেন। তিনি বলেন, আগামী বছর আরও ভালো ভাবে এই অনুষ্ঠান হবে।
বিজেপি এই অনুষ্ঠানকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে। দলের নেতা তথা জেলা সহ সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, খড়্গপুরের এই দশেরা উৎসব তৃণমূল ‘হাইজ্যাক’ করেছে। রাজনীতি করণ করা হয়েছে। সমস্ত কিছুর মধ্যে তৃণমূল রং লাগাতে চাইছে। খড়্গপুরবাসীর উৎসব তৃণমূলের অনুষ্ঠানে পরিণত হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের কেউ অনুষ্ঠানে যাননি। তবে রাবণে অগ্নি সংযোগের পর যেভাবে সবাই ’জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়েছেন তাতে প্রমাণ হয়, অনুষ্ঠান ‘হাইজ্যাক’ করলেও তৃণমূল মানুষকে হাইজ্যাক করতে পারেনি। তাঁরা আমাদের সঙ্গেই আছেন।
প্রসঙ্গত, এক সময় খড়্গপুর শহরে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এই দশেরা উৎসব পালিত হতো। তখন এই উৎসবে কোনও রাজনীতির রং ছিল না। যে-কেউ উৎসবে অংশগ্রহণ করতেন। অতিথি তালিকাও ছিল অরাজনৈতিক। এলাকার সংসদ সদস্য, বিধায়ক, রেল ও রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিক সহ বিশিষ্টজনেরা এই উৎসবে ডাক পেতেন। সবাই আসতেনও। কিন্তু, ছন্দপতন ঘটে পুলিস সুপার ভারতী ঘোষের আমলে। সেবার মেদিনীপুরের সংসদ সদস্য প্রয়াত প্রবোধ পণ্ডা মঞ্চে থাকায় ভারতী ঘোষ আসেননি। তা বুঝতে পেরে প্রবোধবাবু মঞ্চ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, পরবর্তীকালে এই উৎসব রাজনীতিকদের হাতে চলে যায়।