উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
তবে রেশন ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মধ্যে নানা ইস্যুতে টানাপোড়েন অনেক দিন ধরে চলছে। এফসিআই-এর ভূমিকা নিয়ে রাজ্য সরকার খুশি নয়। রাজ্যের চাষিদের কাছ থেকে সংগৃহীত ধান থেকে উৎপাদিত চালের একটা বড় অংশ এফসিআই নিক, এটা রাজ্য চাইছে। কিন্তু রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ী চাল এফসিআই নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। দিল্লিতে এফসিআই-এর সদর দপ্তরে গিয়ে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন রাজ্য খাদ্য দপ্তরের শীর্ষকর্তারা। কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব কলকাতায় এসে দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সেখানে এফসিআই-এর চাল নেওয়ার প্রসঙ্গটি উঠবে।
রেশন ব্যবস্থায় সংস্কার করে তা পুরোপুরি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত করতে চাইছে কেন্দ্র। এর জন্য ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস (ইপিওএস) যন্ত্র রেশন দোকানগুলিতে বসাতে বলা হয়েছে। এই কাজ পশ্চিমবঙ্গে কতটা এগিয়েছে, তা খতিয়ে দেখবেন খাদ্য সচিব। কয়েকটি রেশন দোকান ঘুরে দেখার কথা আছে তাঁর। কেন্দ্রীয় সরকার রেশন দোকানে যে সব নোটিস লাগানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে, সেগুলি এ রাজ্যে মানা হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে পারেন কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের কর্তা। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, ডিলারদের কমিশন পাওয়ার ক্ষেত্রে যে বঞ্চনা হচ্ছে, সেটা খাদ্য সচিবকে জানাবেন তাঁরা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কেউই ডিলারদের কমিশন বাড়াতে আগ্রহী নয়। এই কারণে ই-পিওএস মেশিন ব্যবহার করায় ডিলারদের একটা বড় অংশকে রাজি করানো যাচ্ছে না। সরকার থেকে মেশিন দেওয়া হলেও তা এখনও চালু করেননি অধিকাংশ ডিলার। খাদ্য সচিব এসে পুরো পরিস্থিতি দেখে যাবেন।
রেশনে সরবরাহ করা চালের জন্য ভর্তুকি বাবদ এক হাজার কোটি টাকার বেশি এখনও রাজ্যের বকেয়া আছে। ওই টাকা পাওয়ার বিষয়টিও রাজ্যে আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় সচিবের কাছে তুলবেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের বাইরে প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষকে এখানে রাজ্য সরকারের খরচে সস্তায় চাল-দেওয়া হয়। বকেয়া টাকা না পাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সমস্যা হচ্ছে, এটা কেন্দ্রীয় সচিবকে জানাবে রাজ্য খাদ্য দপ্তর।