উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ভোট ঘোষণার পর আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যাওয়ার জন্য ধান কেনার কাজে এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের কাছে ছাড় চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও কোনও সাড়া মেলেনি। এখন সরকারি ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে দিনে গড়ে মাত্র হাজার দুয়েক কুইন্টাল ধান কেনা হচ্ছে। ডিসেম্বর মাসে ধান কেনা শুরু হওয়ার পর প্রথম দিকে দিনে ৪০ হাজার কুইন্টাল ধানও কেনা হয়েছে। এজেন্সি মারফত কেনা চালাতে পারলে দিনে অন্তত ১০ হাজার কুইন্টাল ধান কেনা সম্ভব হতো বলে মনে করেন খাদ্যমন্ত্রী।
শুধু সিপিসি চালু থাকার জন্য সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার পরিমাণ ভোট ঘোষণার পর অনেকটা থমকে গিয়েছে। ভোট ঘোষণার আগে ধান কেনার পরিমাণ ৩১ লক্ষ টন ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এখন তা ৩৩ লক্ষ টন ছাড়িয়েছে। তবে নির্বাচনী বিধিনিষেধ ছাড়াও চাষিদের ধান বিক্রি এই সময় কমে যায়। ডিসেম্বর মাসে আমন ধান ওঠার পর চাষিরা ব্যাপক হারে ধান বিক্রি করেন। তারপর বিক্রি পর্যায়ক্রমে কমতে থাকে। বোরো ধান ওঠার পর মে মাস থেকে আবার বিক্রি কিছুটা বাড়ে। তখন নির্বাচনী বিধিনিষেধ থাকবে না। তাই বোরো ধান বিক্রি তখন বাড়বে বলে আশা করছে খাদ্য দপ্তর।
তবে ৫২ লক্ষ টনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভবত এবারও হবে না বলে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন। সরকারের কাছে যে মোটা ধান বিক্রি করা হয় বোরো মরশুমে তার ফলন কম হয়। ফলে আমন ধান ওঠার পর যে হারে ধান সরকারের কাছে বিক্রি হয়, ততটা বোরোর ক্ষেত্রে হয় না। তাহলেও বোরো উঠলে বিক্রির ক্ষেত্রে কিছুটা জোর আসবে। অনেক চাষি আমন ধান ধরে রেখেছেন পরে বেশি দাম পাওয়ার আশায়। তাঁরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পরেন। এখন খোলাবাজারে থেকে সরকারি নির্ধারিত দাম অনেকটা বেশি। মোটা ধান খোলাবাজারে ১৫৫০ টাকা কুইন্টাল দরের আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে সরকারের কাছে বিক্রি করলে ১৭৫০ টাকা মিলবে।
তবে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও যে পরিমাণ ধান সংগৃহীত হতে চলেছে, তা দিয়ে রেশন ব্যবস্থা, মিড ডে মিল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চাহিদা মেটাতে কোনও সমস্যা হবে না। গত মরশুমে ৩৫ লক্ষ টনের কিছু বেশি ধান সংগ্রহ করা হয়েছিল সরকারি উদ্যেগে। এতে চাহিদার থেকে বেশি চাল পাওয়া গিয়েছিল। এবার ধান সংগ্রহ ৩৫ লক্ষ টন যে ছাড়াবে, সেব্যাপারে নিশ্চিত খাদ্য দপ্তর। খুব বেশি ধান সংগ্রহ হলেই তা ব্যবহার করা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতো।