উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৭ উইকেটে তুলেছিল ১৬১ রান। বড় রান পাননি অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং এবি ডি’ভিলিয়ার্স। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেলের হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে দেড়শো রানের গণ্ডি অতিক্রম করতে সক্ষম হয় আরসিবি। মনে হচ্ছিল, টার্গেট সহজেই পেরিয়ে যাবে চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শুরুতেই চাপে পড়ে যায় তারা। ২৮ রানে পড়ে যায় ৪ উইকেট। সেখান থেকে হাল ধরেন অধিনায়ক ধোনি। অম্বাতি রায়াডুর সঙ্গে জুটি বেঁধে পরিস্থিতি খানিকটা সামাল দিলেও আস্কিং রেট তরতরিয়ে চড়তে থাকে। ২৯ রান করে রায়াডু ফিরে যাওয়ার পর পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ধোনিই। শেষ তিন ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান। পরের দুটি ওভারে আসে ২৩ রান। ফলে শেষ ওভারে সিএসকে’র জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৬ রান। উমেশ যাদবের প্রথম তিনটি বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন ধোনি। চতুর্থ বলে ২ রান নেওয়ার পর পঞ্চম বলে ফের ছক্কা মারেন মাহি। শেষ বলে ২ রান করলেই ম্যাচ জিতে যেত তাঁর দল। কিন্তু টাইমিং ভুল করে ব্যাটে বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি তিনি। বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষক পার্থিব প্যাটেলের গ্লাভসে। ততক্ষণে সিঙ্গলসের জন্য দৌড় শুরু করে দিয়েছেন ধোনি ও অন্য প্রান্তে থাকা শার্দুল ঠাকুর। কিন্তু শার্দুল ক্রিজে ঢোকার আগেই অব্যর্থ থ্রোয়ে তাঁকে রান আউট করে দেন পার্থিব। এক রানে হেরে ট্র্যাজিক হিরো হয়ে মাঠ ছাড়েন ধোনি। তবে ক্রিকেট অনুরাগীদের মন জয় করে নিয়েছে ৪৮ বলে তাঁর অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস। মারেন ৫টি বাউন্ডারি ও ৭টি বিশাল ছক্কা। যার মধ্যে উমেশ যাদবের বলে ১১১ মিটারের একটি ছক্কা স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে পড়ে।
বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার ধোনির মারমুখী মেজাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিরাট কোহলি। ম্যাচের পর মাহির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় আরসিবি অধিনায়ককে। পরে তিনি বলেন, ‘এমন একটা রুদ্ধশ্বাস জয়ের গুরুত্বই আলাদা। আমরা এক রানে জিতলেও এটা মেনে নিতে হবে যে, ধোনি সবার মন জয় করে নিয়েছে। অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেছে সে। আমাদের মনে তো রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল। ওর এই ইনিংসের জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। তবে ভালো লাগছে যে শেষ বলটা মিস করেছে ধোনি। আর দারুণ তৎপরতায় রান-আউট করেছে পার্থিব। কার্যত হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচে ওটাই আমার শেষ প্রত্যাশা ছিল।’ ভারতীয় দলের হয়ে কোহলি নেতৃত্বে থাকাকালীন বহু ম্যাচ উতরে দিয়েছেন ধোনি। সেই প্রসঙ্গে ভিকে বলেন, ‘আমাদের একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা রয়েছে। তারই প্রতিফলন হয় খেলার মাঠে। ওর ম্যাচ রিডিং অসাধারণ। এক নম্বর বল থেকে ৩০০ নম্বর বল পর্যন্ত খেলাটা খুব ভালো বোঝে। ওর মতো একজন সদস্যকে জাতীয় দলে পাওয়ায় আমি ভাগ্যবান।’
রবিবারের রোমাঞ্চকর লড়াই প্রসঙ্গে কোহলি আরও বলেন, ‘এই ম্যাচে অনেক বেশি আবেগ ছিল। মাঠে শিশির থাকা সত্ত্বেও ১৬০ রান বাঁচানোর দুর্দান্ত প্রয়াস দেখিয়েছে বোলাররা। ১৯ ওভার পর্যন্ত দুর্দান্ত বোলিং করেছি আমরা। শুধুমাত্র শেষ ওভারটা বাদে। পাশাপাশি প্রশংসা করতে হবে নভদীপ সাইনির। আজ আরও একবার মুগ্ধ করেছে সে। ওর বলে দারুণ গতি রয়েছে। সবচেয়ে বড়কথা নিজের সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে সেরাটা উজাড় করে দিতে জানে সাইনি।’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘ব্যাটিং করার সময় আমাদের মাথায় ছিল ১৭৫ রানের লক্ষ্য। কিন্তু আমরা ১৬১ রানেই আটকে যাই। এই কারণে আমাদের মনে হচ্ছিল যে আমরা ১৫ রান পেছনে থেকে গিয়েছি। আপনি বলতে পারেন যে, মঈন আলিকে আমাদের উপরে পাঠানো উচিত ছিল। কিন্তু কখনও কখনও এমনটা সম্ভব হয় না। যদিও সিএসকের মতো শক্তিশালী বোলিং লাইন-আপের বিরুদ্ধে মঈন দুর্দান্ত কয়েকটি হিট নিয়েছে।’