উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
খেলা শেষ হওয়ার ন’মিনিট আগে কার্ডিফ সিটির ক্যাপ্টেন সিন মরিসন রীতিমতো জাপটে ধরে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে মাটিতে ফেলে দেন মহম্মদ সালাহকে। এরপরেই রেফারির পেনাল্টির বাঁশি বাজে। মো সালাহ নিজেই হাতে বল তুলে নিয়ে স্পটের দিকে এগতে থাকেন। হঠাৎ তাঁর কাছে ছুটে এসে মিশরীয় স্ট্রাইকারটির হাত থেকে বল কেড়ে নিয়ে সদ্য পরিবর্ত রূপে মাঠে নামা জেমস মিলনার পেনাল্টি স্পটে বল বসিয়ে দেন। রীতিমতো অসন্তুষ্ট হয়ে মো সালাহ ডাগ-আউটের দিকে এগনোর ফাঁকে লিভারপুলের কোচ জুরগেন ক্লপের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কিন্তু ততক্ষণে স্পটকিক থেকে জাল কাঁপিয়ে দিয়েছেন মিলনার। ফলে সালাহ’র ক্ষোভ ঢাকা পড়ে যায় লিভারপুল সমর্থকদের উল্লাসে।
ঘটনা হল, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টপ স্কোরারের দৌড়ে মো সালাহ গায়েগায়ে দৌড়াচ্ছেন সের্গিও আগুয়েরো এবং পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াংয়ের সঙ্গে। তিনজনেরই এই মুহূর্তে গোলসংখ্যা ১৯টি। একধাপ পিছনে লিভারপুলের সাদিও মানে (১৮)। তিনি পেনাল্টি নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। এই প্রসঙ্গে ম্যাচের পর জুরগেন ক্লপকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই বিতর্ক হাল্কা করে দিয়ে বলেন, ‘ম্যাচ চলাকালীন স্পটকিক পেলে তা মারার জন্য প্রথম পছন্দ মিলনারই। এটা দলের সিদ্ধান্ত। তাই মিলনার কোনও ভুল করেনি। আমি মো সালাহ’কে ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলব।’
এদিকে, আগামী সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের সেমি-ফাইনালে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে মো সালাহ’র এই অসন্তোষ দূর করার জন্য সচেষ্ট রেডস ম্যানেজমেন্ট। অন্যদিকে, নেইমারের মতোই মো সালাহ’র বিরুদ্ধে কিছু ফুটবল বিশেষজ্ঞ ‘ডাইভ মাস্টার’ তকমা সেঁটে দিচ্ছেন। কারণে-অকারণে সালাহ নাকি বিপক্ষ পেনাল্টি বক্সে পড়ে যান। যেভাবে সিন মরিসন তাঁকে টেনে ফেলেছেন তা ছিল অবশ্যই পেনাল্টি। কিন্তু ঘটনা হল, নেইমারের মতোই পেনাল্টি আদায় করতে মো সালাহ কি প্লে-অ্যাক্টিংয়ের আশ্রয় নিচ্ছেন? এই প্রশ্ন এখন ফুটবল বিশেষজ্ঞদের অন্যতম আলোচনার বিষয়।