উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
(এমবাপে-হ্যাটট্রিক) (গোলোভিন)
প্যারিস, ২২ এপ্রিল: চোটমুক্ত হয়ে প্রায় তিনমাস পরে মাঠে ফিরলেন নেইমার। রবিবার ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে মোনাকোকে হারিয়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দিন নায়ক অবশ্য তারকা কিলিয়ান এমবাপে। তাঁর দুরন্ত হ্যাটট্রিকই মোনাকোকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কুরজাওয়ার পরিবর্তে নামেন নেইমার। তাঁকে ঘিরে পিএসজি সমর্থকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। গরিষ্ঠ অংশ মনে করে, বার্সেলোনা থেকে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিয়ে নেইমারকে প্যারিসে নিয়ে আসা কর্তাদের ভুল সিদ্ধান্ত। তাঁদের যুক্তি, গত দু’টি মরশুমই চোটের জন্য প্রত্যাশিত সার্ভিস দিতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান তারকাটি। পাশাপাশি নেইমারের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অপেক্ষাকৃত কম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফরাসি লিগে খেলার জন্য তিনি নাকি নিজেকে মোটিভেট করতে পারছেন না। সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পিএসজি’র এক সমর্থক লিখেছেন, ‘নেইমারের চোট লাগলেই ব্রাজিলের জাতীয় দলের চিকিৎসক রডরিগো লাসমার প্যারিসে উড়ে আসেন। তারপর বিশ্রামের পরামর্শ দেন দুই থেকে তিন মাস! বিশ্বের অন্য কোনও ক্লাবের ফুটবলাররা চোট পেলে কি তাঁদের জাতীয় দলের চিকিৎসক উড়ে আসেন? আসলে চোটের বাহানায় মাঠ থেকে দূরে থাকতেই ইদানীং পছন্দ করছেন নেইমার।’
ঘটনা হল, গত দুই মরশুমে বার্সেলোনা ছাড়ার পর থেকেই নেইমারের কেরিয়ার গ্রাফ নিম্নমুখী। তবে প্যারিসের ক্লাবটির অনেক সমর্থক এখনও তাঁর উপর আস্থা রাখছেন। তাঁদের কাছে পরপর দু’মরশুম চোট পাওয়ার ঘটনা নিছকই দুর্ভাগ্যজনক।
এবার ফেরা যাক মোনাকোর বিরুদ্ধে ম্যাচে। গতিশীল এমবাপেকে রুখতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কালঘাম ছুটেছে বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের। ম্যাচের ১৫ মিনিটে ডিয়াবির বুদ্ধিদীপ্ত পাস ধরে প্রথম লক্ষ্যভেদ ফরাসি তারকাটির (১-০)। এরপর আর থামানো যায়নি পিএসজি’কে। মাঝমাঠে আধিপত্য বিস্তার করে টমাস টুচেল-ব্রিগেড একের পর এক আক্রমণ শানায়। ৩৮ মিনিটে এমবাপের দ্বিতীয় গোল (২-০)। তাঁকে বল বাড়িয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান উইং ব্যাক ড্যানি আলভেস। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচে সংশয়াতীত প্রাধান্য ছিল পিএসজি’র। ৫৩ মিনিটে এমবাপের প্রয়াস পোস্টে প্রতিহত হয়। তবে হ্যাটট্রিকের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে। মিনিট দুয়েক পরেই আলভেসের পাস থেকে তাঁর তৃতীয় লক্ষ্যভেদ (৩-০)। ৮০ মিনিটে মোনাকোর গোলোভিন ব্যবধান কমান (৩-১)।
এই নিয়ে মোট আটবার লিগ জিতল পিএসজি। ম্যাচের পর মাঠেই জয়োল্লাসে মাতেন নেইমার-এমবাপেরা। কোচ টমাস টুচেল বলেন, ‘লিগ জিততে পেরে ভালো লাগছে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেওয়ার যন্ত্রণা কিছুটা হলেও লাঘব হল। এই প্রতিযোগিতায় আরও পরিকল্পিত ফুটবল খেলা প্রয়োজন। চেষ্টা করব, এবারের ভুল আগামী মরশুমে শুধরে নিতে।’ উল্লেখ্য, ৩৩ ম্যাচে ৮৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পাঁচ রাউন্ড আগেই খেতাব জিতল পিএসজি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিলি সমসংখ্যক ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট পেয়েছে।