উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
পুলিসের মুখপাত্র রুয়ান গুণশেখর বলেন, সকালে ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলছিল। ৮টা ৪৫ মিনিট নাগাদ একযোগে বিস্ফোরণ হয় তিনটি চার্চে। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কলম্বোর সেন্ট অ্যান্টনি’স চার্চ, পশ্চিমের সমুদ্রঘেঁষা শহর নেগোম্বোর সেন্ট সেবাস্তিয়ান’স চার্চ ও পশ্চিমের বাত্তিকালোয়া শহরের অন্য একটি চার্চ। বিস্ফোরণ ঘটে কলম্বোর সাংগ্রি-লা, সিন্নামোন গ্র্যান্ড ও কিংসবেরির মতো পাঁচতারা হোটেলেও। এর ফলে স্থানীয়দের পাশাপাশি বহু বিদেশি পর্যটক হতাহত হন। ধারাবাহিক বিস্ফোরণের জেরে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। পাশাপাশি ভুয়ো তথ্য ও গুজব ঠেকাতে ফেসবুক, হোয়াটঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলির পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, বিস্ফোরণে জড়িতদের শনাক্ত করা গিয়েছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। পুলিস ও সেনাবাহিনী একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে। সাতজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। দেশবাসীকে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপাল সিরিসেনা। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে নিন্দা করেছেন। হামলার প্রেক্ষিতে জরুরি বৈঠক করা হয় শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফে। দ্বীপভূমিতে নাশকতার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারত সরকারের তরফে শ্রীলঙ্কাকে প্রয়োজনীয় সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। নিন্দায় সরব হয়েছেন গোটা বিশ্বের রাষ্ট্রনেতারা। কলম্বোয় ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলা হচ্ছে। ভারতীয় নাগরিকদের সাহায্যের জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। সেগুলি হল +৯৪৭৭৭৯০৩০৮২, +৯৪১১২৪২২৭৮৮, +৯৪১১২৪২২৭৮৯।
এদিন সকালে বিস্ফোরণের প্রথম খবর মেলে কলম্বোর সেন্ট অ্যান্টনি’স চার্চ ও শহরের কাছেই নেগোম্বোর সেন্ট সেবাস্তিয়ান’স চার্চ থেকে। এরপর বাত্তিকালোয়ার চার্চ ও কলম্বোর একের পর এক হোটেলে বিস্ফোরণ ঘটতে শুরু করে। বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ে সেন্ট সেবাস্তিয়ান’স চার্চের ছাদ। প্রার্থনাস্থলের বেঞ্চগুলিতে চাপ চাপ রক্ত। চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে মাংসপিণ্ড। এমনকী দেওয়ালেও। শ্রীলঙ্কার আর্থিক সংস্কার ও গণবণ্টনমন্ত্রী হর্ষ ডি সিলভা বলেন, ভয়াবহ দৃশ্য। সর্বত্র দেহাংশ ছড়িয়ে থাকতে দেখেছি। আপৎকালীন কর্মীরা জোর কদমে কাজ করছেন সর্বত্র।
ধারাবাহিক বিস্ফোরণের জেরে কলম্বোর বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোতায়েন করা হয় বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী। রাস্তায় নামানো হয় রায়ট পুলিস, স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। সব পুলিসকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ছুটিতে থাকা ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সোম ও মঙ্গলবার সরকারি স্কুলগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে।