উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
মমতা বলেন, একসময়ের লালপার্টির হার্মাদরাই এখন বিজেপির ওস্তাদ হয়েছে। এই ওস্তাদদের ভরসাতেই বাংলায় এসে উঁকিঝুঁকি মারছে গেরুয়া শিবির। একরাশ বিরক্তি উগরে দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, পাঁচ বছর ধরে শুধুই বঞ্চনা। নায্য নানা পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলাকে। বাংলা খেল কি না, বাংলা পরল কি না খোঁজ নেয়নি। বন্যায় আসেনি, খরায়ও আসেনি। এক পয়সা সাহায্য করেনি। মোদি-শাহ জুটির নাম না করে মমতার কটাক্ষ, এখন ভোট এসেছে, তাই বসন্তের কোকিলের মতো এসে কুহু কুহু করছে। দুই সাইনবোর্ডবাবু টাকার থলি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বলছে, ভোট দাও, ভোট দাও। তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশ্ন, কেন ভোট দেবে? বিপদে যাদের দেখা পাওয়া যায় না, তাদের কেন ভোট দেবে মানুষ? প্রত্যয়ী মমতার কথায়, ৩৬৫ দিন যারা পাশে থাকে, তারাই ভোট পাবে।
পাঁচ বছরে কী করেছে বিজেপি? প্রশ্নের সঙ্গে জবাবও দিয়েছেন মমতা। বলেন, জনগণের স্বার্থে ব্যবহার হয়েছে, এমন একটা কাজও করেননি মোদিবাবু। নিজে মুখেও তা বলতে পারছেন না। তাহলে করেছেনটা কী? শুধু বিদেশ ঘুরে বেড়ানো, নিজের নামে কোটের দোকান, সিনেমা, ওয়েবসিরিজ আর চ্যানেল। আত্মপ্রচার! বরং বছরভর কীভাবে নানা প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মানুষের সঙ্গে তাঁর এবং তাঁর সরকারের নিত্য যোগাযোগ, জনতার হর্ষধ্বনি আর করতালির মধ্যে এরপর তার বিবরণ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জনতার মুডকে যেন প্রশ্রয় দিলেন নিজের ভাষণে। বললেন, বাংলা নেবে? ছাই পাবে। এরপরই ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টা আর উলুধ্বনির মাঝে মমতার স্লোগান—মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও। গলা মেলাল গোটা সভাস্থল।