নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হরিদেবপুর হস্টেল কাণ্ডে পলাতক প্রধান অভিযুক্ত সুপ্রভাত দলুইকে আমেদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিস। রবিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে। ধৃত সুপ্রভাতকে নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন পুলিসের ওই টিম। 
হরিদেবপুর থানার কেওড়াপুকুর এলাকার এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের হস্টেলে নাবালিকা ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এই সুপ্রভাত দলুই। উল্লেখ্য, সুপ্রভাতের স্ত্রী সুপ্রিয়া সিং এই হস্টেলে মহিলা ওয়ার্ডেন হিসেবে ছাত্রীদের দেখভাল করতেন। সেই সুবাদে ওই হস্টেলেই থাকত সুপ্রভাত। 
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিসের দাবি, হস্টেলে থাকার সুযোগ নিয়ে সুপ্রভাত ও কয়েকজন শিক্ষক মিলে নাবালিকা ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহ করত। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে হরিদেবপুর থানা তখনই ওই মহিলা সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। এখন গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার।
যৌন নির্যাতনের কথা ফাঁস হতেই কলকাতা থেকে পালিয়ে গুজরাতে চলে যায় সুপ্রভাত। সেখানে ইন্টিরিয়ার ডেকরেটরের কাজ করছিল সে। নজরদারি চালাতে গিয়ে কলকাতা পুলিস আমেদাবাদে তার অবস্থানের কথা জানতে পারে। এরপরই কলকাতা পুলিসের টিম সুপ্রভাতকে গ্রেপ্তার করতে আমেদাবাদে যায়।
ওই বেসরকারি স্কুলের হস্টেলে মোট ২৭ জন নাবালিকা ছাত্রী থাকত। সুপ্রভাত দলুই, ইংরেজির প্রাইভেট টিচার বিশ্বনাথ শীল ও তার সহযোগী শোভন মণ্ডল একযোগে নাবালিকাদের উপর যৌন নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ। যৌন নির্যাতনের কথা বাইরের কাউকে জানালে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে ছাত্রীদের ভয় দেখাত অভিযুক্তরা। তবে ২৩ সেপ্টেম্বর ঘটনাচক্রে চার ছাত্রীর অভিভাবক মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে এলে যৌন নির্যাতনের কথা জানতে পারেন। তারপর স্কুলের পক্ষ থেকে হরিদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।