Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মন্বন্তর ২৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

রিচার্ড ক্লাইভ ছেলেকে পাঠালেন এক বন্ধুর কাছে। লন্ডনে। সেই বন্ধু একটি কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর। বেশ প্রভাবশালী। চিঠি লিখে রিচার্ড বললেন, আমার ছেলেকে পাঠাচ্ছি। যদি সম্ভব হয় কোনও একটি কাজ দেওয়া যায় নাকি দেখ। রিচার্ড লন্ডন থেকে দূরে থাকেন। একটি গ্রামীণ জনপদ, শ্রপশায়ার। রিচার্ড ছেলেকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। চূড়ান্ত দুর্বিনীত, অসহিষ্ণু। দলবল জুটিয়ে স্থানীয় গ্রামের দোকানগুলিকে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করে। দ্রুত একটা কাজে ঢুকিয়ে দেওয়া ভালো। রিচার্ডের ছেলের বয়স মাত্র ১৭। ১৭৪২ সালের ১৫ ডিসেম্বর সেই ছেলেটি লন্ডনে এসে সেই কোম্পানির দপ্তরে প্রথমবার ঢুকল একজন চাকরিপ্রার্থী হিসেবে। তাকে যে পদে নেওয়া হল, সেই পদের নাম ‘রাইটার।’ সবথেকে নিচুতলার কাজ বলা যায়। সামান্য বেতন। তবে যেতে হবে অন্য দেশে। কোম্পানির কাজকর্ম ওই দেশেই বেশি। কোন দেশে যেতে হবে? জানতে চাইল ছেলেটি। বলা হয় ইন্ডিয়া। সে বলল, আমি রাজি। কবে যেতে হবে? তিন মাস পর। রিচার্ড ক্লাইভের ১৭ বছরের সেই ছেলেটির নাম রবার্ট ক্লাইভ। আর যে কোম্পানির সবথেকে কম বেতনের ‘রাইটার’ পদে সে চাকরি পেল, সেই সংস্থার নাম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ১০ মার্চ ১৭৪৩। রবার্ট ক্লাইভ নামে ১৭ বছরের তরুণ ইন্ডিয়াগামী জাহাজে চেপে বসল।
মাদ্রাজে জাহাজ থেকে নেমে প্রথম দর্শনেই এই দেশটাকে সে অপছন্দ করল। কাজে যোগ দেওয়ার পর ক্লাইভের ডিপ্রেশন এতটাই বেড়ে যায় যে, এক বছরের মধ্যে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে একদিন। রবার্টের একটি গুণ আচমকা প্রকাশ পেল। এতদিন তাকে কেউ সিরিয়াসলি নেয়নি। কিন্তু আচমকা ১৭৫১ সালে ফ্রেঞ্চ বাহিনীর বিরুদ্ধে অ্যাটাকে যাওয়া হবে বলে জনিয়ে রবার্ট সকলকে অবাক করে দিল। একাই নেতৃত্ব দিল প্রায় ৩০০ সেপাইয়ের। আর যুদ্ধটা জিতেও গেল। আবার পরের বছর আরও বড় একটা জয়। রবার্টের কৃতিত্বে ফ্রেঞ্চ বাহিনী সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত ত্রিচিনোপল্লিতে। এই বিপুল সাফল্যের জন্য রবার্ট ক্লাইভকে কোম্পানি কমিশনারির কোয়ার্টার মাস্টারি পদে প্রোমোশন দিল। যা সাংঘাতিক উচ্চপদই শুধু নয়, পুরস্কার ও ভাতা হিসেবে তার আয় হল ৪০ হাজার পাউন্ড (আজকের দিকে ৪০ লক্ষ পাউন্ড)। মাত্র ১০ বছরের মধ্যে একটি সাফল্যময় জীবন। বয়স ২৭। অ্যাস্ট্রোনমাল রয়্যালের বোন মার্গারেট ম্যাসকেলিনকে বিয়ে করলেন ক্লাইভ। এবার ভারতকে বিদায় জানানোর পালা। বিপুল সম্পত্তি। সফল জীবন। আর কী চাই! ২৩ মার্চ ১৭৫৩। বম্বে ক্যাসল নামের একটি জাহাজে চেপে রবার্ট আর মার্গারিট ফিরে গেলেন লন্ডন।
কিন্তু নিয়তি অন্যরকম এক চিত্রনাট্য তৈরি করেছিল ক্লাইভের জন্য। ভারতের জন্যও। ঠিক ১৮ মাস পর আবার তাকে ফিরতে হল। কারণ, ফরাসিরা আবার মারাত্মক আগ্রাসী হয়ে উঠেছে সেখানে। কোম্পানির কাজকর্ম ধ্বংস হয়ে যাবে ফরাসিদের অত্যাচারে। অতএব ক্লাইভ ছাড়া আর কে যাবে? যে ছেলেটি সামান্য রাইটারের চাকরি নিয়ে ভারত গিয়েছিল ১৭৪৩ সালে, এবার তাঁকেই পাঠানো হচ্ছে মাদ্রাজের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে। ১৭৫৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ক্লাইভ যখন ভারতে দ্বিতীয়বার এলেন, তখন মাদ্রাজ নয়, অন্য একটি শহর হয়ে উঠেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সবথেকে বড় বাণিজ্যকেন্দ্র। ২ লক্ষ জনসংখ্যার ওই শহরটির নাম কলকাতা। ইংল্যান্ডের ৬৫ শতাংশ টেক্সটাইল আমদানি হতো এই বেঙ্গল নামক প্রদেশ থেকে। বছরে যে শহর পেত ১ লক্ষ ৮০ হাজার পাউন্ড। আর্মেনিয়ানদের ন্যাজারাথ, ফোর্ট উইলিয়ম নামের কেল্লার উচ্চ মিনার, গভর্নর রজার্স ড্রেকের আবাস অট্টালিকা, হাসপাতাল, বিরাট এক জলের ট্যাঙ্ক। এ এক উজ্জ্বল শহর হয়ে ওঠার লক্ষণ দেখাচ্ছে। শান্তিপুর, কাটোয়া, গলাগোড়, হরিপাল, ক্ষীরপাই, মালদহ, সোনামুখী, ধনেখালি ইত্যাদি বিস্তীর্ণ জনপদে ছড়িয়ে থাকা রেশম আর সুতোর ব্যবসায় বছরে ১৩ লক্ষ টাকা টার্নওভার ছিল। গ্লাস, সিন্দুক, নারিকেল দড়ি, তামাকু, আতসবাজি, শাল ও সেগুন কাঠ, মেটেসিন্দুর, তুঁতে, পুরনো লোহা ইত্যাদির দোকান এবং কারখানা ছিল বৃহত্তর কলকাতা জুড়ে। প্রতি বৃহস্পতিবার এবং রবিবার সুতানটি আর শোভাবাজারে বসত বিপুল এক আর্থিক লেনদেনের বাজার।
এহেন সম্পদশালী একটি রাজ্যের শাসক অবশ্য থাকতেন কলকাতা থেকে দূরে। মুর্শিদাবাদে। নাম আলিবর্দি খাঁ। বস্তুত যাঁর আমলে শেষবার বাংলা দেখেছিল অর্থনৈতিক উন্নতির একটি উল্লেখযোগ্য রূপরেখা। মারাঠি শাসক রঘুজি ভোঁসলের লেঠেলবাহিনী ভাস্কর পণ্ডিতদের মতো নির্মম ডাকাত... সেই বর্গিদের চরম ১৭৪১ থেকে ১০ বছর ধরে অত্যাচারে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঙালি। মৃত্যু হয় ৪ লক্ষাধিক মানুষের। কতটা নিষ্ঠুরতা? গোটা গ্রাম ঘিরে টাকাপয়সা লুট করাতেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রাণভয়ে পালানো গ্রামবাসীদের তাড়া করে গলায় ঘোড়ার পা তুলে চাপ দিয়ে দিয়ে মেরে ফেলা। বাঙালির দুর্ভাগ্য তাড়া করে বেরিয়েছে বারংবার। চৌথ হিসেবে বর্গিদের অগাধ অর্থ প্রদান করে নিষ্কৃতি মিলেছিল। কিন্তু মারাঠা তথা বর্গিদের এই লুটতরাজ বস্তুত বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছিল। সেই অত্যাচার সত্ত্বেও বাংলা আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে ১৭৫২ সাল থেকে। সবেমাত্র আরও একবার মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু হয়েছিল আলিবর্দি খাঁয়ের শাসনসকালে। ১৭২০ সালের তুলনায় তাঁর আমলে বাংলার রাজস্ব বেড়েছিল অন্তত ৪০ শতাংশ। কতটা শস্যসম্পদে পরিপূর্ণ ছিল বাংলা? শুধুমাত্র একটি বাজারের কথা জানা যাক। কাশিমবাজারের নিকটবর্তী ওই বাজারেই বছরে ৭ লক্ষ টন ধানচালের ক্রয়বিক্রয় হতো। চিনি, বস্ত্র, আফিম, তুঁতে বিদেশে রপ্তানির প্রধান কেন্দ্রই ছিল বাংলা। তন্তুবায় এবং মসলিন নির্মাতা অন্তত লক্ষাধিক ছিল বাংলাজুড়ে। যা ব্রিটেন থেকে পশ্চিম এশিয়া... সর্বত্র বিক্রি হত। এহেন এক সম্পদশালী বাংলার সবথেকে বড় ভরসাস্থল ছিলেন আলিবর্দি খাঁ। কিন্তু অলক্ষে সবথেকে বড় সঙ্কটের আশঙ্কা নিয়ে হাজির হচ্ছিলেন ২৪ বছরের এক দুর্বিনীত যুবক। আলিবর্দি খাঁয়ের আদরের নাতি। ওই অল্প বয়সেই তাঁর আচরণ, দৌরাত্ম্যে নবাবী মহল এবং সাধারণ প্রজাবর্গ ছিল চরম বিরক্ত। বস্তুত বহু ইতিহাসবিদ তাঁকে সাইকোপ্যাথ হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন। সমস্যা হল, আলিবর্দি খাঁ এত উন্নত শাসক এবং বুদ্ধিমান হওয়া সত্ত্বেও তাঁর একমাত্র দুর্বলতা ছিলেন ওই নাতি। সিরাজউদ্দৌল্লা।
* * *
১৭৫৬ সালের মার্চ মাসে আলিবর্দি খাঁয়ের হঠাৎ একটা স্ট্রোক হল। প্রথম সাতদিন তিনি গোটা শরীর নাড়াতে পারছিলেন না। সম্পূর্ণ পঙ্গু। ইশারায় কথা বলতে পারলেই যেন ভালো হয়। একটানা চিকিৎসার পরও সম্পূর্ণ সুস্থ হলেন না নবাব। কিছুটা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েই রইলেন। ঠিক সেরকমই সময় তিনি দু’টি খবর পেলেন। প্রথমত, কর্ণাট প্রদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কীভাবে মোগল নবাবদের সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বস্তুত হাতের পুতুল করে ফেলেছে। আর দ্বিতীয় সংবাদ হল, কোম্পানি কলকাতায় কিছু কিছু এলাকায় হঠাৎ নতুন বিল্ডিং তৈরি করছে, কেল্লা রিপেয়ার করছে এবং প্রাচীর নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছে। হঠাৎ কলকাতায় প্রাচীর কেন? এরা তো ব্যবসা করবে? এদের এই অধিকার তো দেওয়া হয়নি! আলিবর্দি খাঁ তাঁর এক কর্মচারী নারায়ণ সিংকে বললেন, গিয়ে গভর্নরকে বল এসব আমরা সহ্য করব না। সব কাজ বন্ধ করতে হবে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর রজার ড্রেককে সেই বার্তা দিতে গেলেন নারায়ণ সিং। আর তিনি ফিরে আসার আগেই ৯ এপ্রিল ১৭৫৬ আলিবর্দি খাঁয়ের জীবনাবসান হল। বিকেলে দাদুর মৃত্যু হয়েছে। সেই রাতেই সিরাজউদ্দৌল্লা মাসি ঘসেটি বেগমের প্রাসাদ আক্রমণ করে সর্বস্ব লুটপাট করলেন। আর পরের মাসে বিপুল সেনাবাহিনী নিয়ে চললেন পূর্ণিয়া। সেখানে তার এক সম্পর্কিত ভাই থাকে। তাকে পরাস্ত ও হত্যা করতে। কারণ সিরাজের লক্ষ্য, সিংহাসন যেন কণ্টকহীন হয়। পুর্ণিয়া যাওয়ার পথেই আচমকা সেই নারায়ন সিং ফিরে এল প্রায় কাঁদতে কাঁদতে। তার অভিযোগ, কোম্পানির গভর্নর রজার্স ড্রেক যাচ্ছেতাই অপমান করেছে তাকে। এমনকী আটকে রেখে দিয়েছিল এতদিন। শুনে সিরাজ এক মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিলেন, গোরাদের শিক্ষা দেওয়া দরকার। তিনি গোটা সেনাবাহিনীর মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। কাশিমবাজারে কোম্পানির ফ্যাক্টরি আক্রমণ করলেন। এবং সেখানে ঢুকে কোম্পানির সেপাইদের কচুকাটা করে সোজা কারখানা, ট্রেজারি, অফিস দখল করে নিলেন। কাশিমবাজার ফ্যাক্টরির দায়িত্বে থাকা উইলিয়ম ওয়াটস হাতজোড় করে নবাবের পায়ের কাছে বসে বলেছিলেন, আমি আপনার গোলাম। আমরা আপনার গোলাম। সেই শুরু হল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে নবাব সিরাজের প্রত্যক্ষ বিরোধ। কোম্পানির কাশিমবাজার কারখানার এই পরাজয় এবং আত্মসমর্পণ দেখে তখন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কাঁপছিলেন এক কর্মী। মাত্র ২৪ বছর বয়স যুবকের। তাঁর নাম ছিল ওয়ারেন হেস্টিংস!
এরপর সিরাজউদ্দৌল্লার কলকাতা আক্রমণ, কলকাতাকে রক্ষা করতে মাদ্রাজ থেকে রবার্ট ক্লাইভের আগমন, ফলতায় এসে ঘুঁটি সাজিয়ে পুনরায় কলকাতা ফোর্ট দখল করা এবং নবাবের বিরুদ্ধে একঝাঁক বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে চক্রান্তকাহিনী, পলাশীর যুদ্ধ, সিরাজের মৃত্যু, মিরজাফর হয়ে মিরকাশিমের হাতে রাজ্যপাট আসা... এসব কাহিনী বহুচর্চিত। সেই বিস্তারিত বিবরণ এই প্রতিবেদনের প্রতিপাদ্য নয়। শুধু মনে রাখা দরকার যে, ১৭৫৪ সালে গোটা মোগল সাম্রাজ্য এবং ব্রিটিশ কোম্পানির কাছে সবথেকে স্বর্ণোজ্জ্বল, সম্পদশালী রাজ্য বেঙ্গল মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে ১৭৬৮ সালে হঠাৎ কীভাবে এক ইতিহাসের অন্ধকারে প্রবেশ করল। সেই অন্ধকারের জন্য শুধু‌ই খরা, অনাবৃষ্টি দায়ী নয়। তার থেকেও বেশি দায়ী অপরিসীম কোষাগার লুণ্ঠন। ১৭৫৭ সালে সিরাজের ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ গোটা শহরে ঘোরানোর পর ৭ জুলাই এই যুদ্ধে কোম্পানির সহায়তার পেমেন্ট হিসেবে ক্লাইভ একাই পেয়েছিলেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার পাউন্ড। প্রথম ইনস্টলমেন্ট হিসেবে ৭৫ লক্ষ। কয়েক কোম্পানি সেনা এবং ২০০ নবাবী বজরা নিয়ে কাটোয়া, চন্দননগর হয়ে কলকাতায় ফিরেছিলেন ক্লাইভের অ্যাসিস্ট্যান্ট লুক স্ক্র্যাফটন। ১০০টি নৌকায় ছিল ৭৫০টি সিন্দুক। শুধুই বাংলার টাকা। এছাড়া পলাশীর যুদ্ধের পর নতুন নবাব মিরজাফর কোম্পানিকে দিয়েছিলেন ১২ লক্ষ ৩৮ হাজার পাউন্ড। যার মধ্যে একা ক্লাইভের তহবিলে গিয়েছিল ১ লক্ষ ৭০ হাজার পাউন্ড। ১৭৫৭ থেকে ১৭৬৫ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের নবাবের কোষাগার থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে গিয়েছিল প্রায় ২২ লক্ষ পাউন্ড। আজকের দিনে হিসেব করলে কত? ক্লাইভ দফায় দফায় ইংল্যান্ড ফিরেছেন আবার এসেছেন। শুধু ক্লাইভ? কলকাতার তাবৎ বাবু, মহতাব রাই নামের জগৎশেঠ, এমনকী কলকাতার বিখ্যাত বাবুদের পালিত গণিকারা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেয়েছিল হাজার হাজার টাকা। বস্তুত বাংলার জেলে, চাষি, তন্তুবায়, রাজমিস্ত্রী, কর্মকার, স্বর্ণকারদের ঘামঝরানো আয়ের টাকা লুটতরাজ হয়ে গিয়েছে বছরের পর বছর। তারপর এল অন্ধকারের কালো মেঘ।
* * *
মুর্শিদাবাদের প্রশাসক মুহম্মদ রেজা খান কলকাতায় চিঠি লিখলেন। নভেম্বর, ১৭৬৮। বললেন, ধানের চাষ মার খেয়েছে জুন মাসে। এখনও তুলো, তুঁতে, চাষ কিছুই সম্ভব হয়নি। লাগাতার অনাবৃষ্টি। এই সময় কোম্পানির খাজনা আর কর আদায় মকুব করা দরকার। কারণ শুরু হয়েছে এক মারাত্মক দুর্ভিক্ষ। প্রতিদিন গড়ে তখনই ৬ হাজার করে মানুষ মারা যাচ্ছে অনাহারে। মুহম্মদ রেজা খানের এই আবেদনে কর্ণপাত করেনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। বরং তারা জানায়, কোনওভাবে রেভিনিউ কম করা যাবে না। যথাযোগ্য খাজনা আদায় করা আমাদের ডিউটি। রেজা খান ডিসেম্বর মাসে আবার চিঠি লিখলেন হেনরি ভার্লেস্টকে। মানুষ প্রতিদিন হাজার হাজার সংখ্যায় মারা যাচ্ছে। সম্ভব হলে কলকাতা, হুগলির শস্যভাণ্ডার থেকে নৌকায় চাল পাঠানো হোক। আমরা নৌকা পাঠাচ্ছি। কোম্পানি এসব বাজে কথায় কান দেয়নি। নামানো হয় ১০ হাজার বাহিনীর সেনা। তাদের কাজ হল, গ্রামে গ্রামে গিয়ে খাজনা ও কর আদায়। অস্বীকার করলে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো। এরকমই সময়ে কলকাতার গভর্নর কখনও হুগলি, কখনও ফলতা, কখনও উলুবেড়িয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ৩টি বজরা আর ৩১টি নৌকা নিয়ে। ২৩০ জন কর্মচারী। ৬৫০ মণ চাল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গুদামে মজুত ছিল সেই সময়। কলকাতায় চালের দর কোম্পানি নির্ধারিত করে দেয় ১ টাকায় এক মণ। তার বেশি যদি চালের দাম ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে, তাহলে কোম্পানির কর্মচারীরা সেই চাল আটক করতে পারে। একদিকে এই নিয়ন্ত্রণ চালু করলেও বোম্বাই আর মাদ্রাজে তিনটি জাহাজ মাঝেমধ্যেই যাতায়াত করতে দেখা যায়। অবশেষে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সেটা আটকানো হয়েছিল।
মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু হওয়া সেই দুর্ভিক্ষ ক্রমেই ছড়িয়ে গেল গোটা বাংলায়। লঙ্গরখানা খোলা হয়েছিল রাজমহল আর মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদে দেখা যায়, বহু মানুষকে গঙ্গার তীরে দাঁড়িয়ে মাঝনদীতে যাওয়া নৌকা ও বজরাকে হাত দেখিয়ে দেখিয়ে নিজেদের ছেলেমেয়েকে উঁচু করে তুলে ধরছে। ছেলেময়েকে বিক্রি করতে চায় তারা। লাইন দিয়ে। ঘাস, গাছের পাতা আর কাঁচা মাছ খেতে হচ্ছে গ্রামে গ্রামে। শুরু হল কলেরা। কলকাতায় এসে পৌঁছয়নি দুর্ভিক্ষ? অবশ্যই। ১৭৭০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—তিন মাসে শুধু কলকাতায় ৭৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হল অনাহারে। চালের দাম ৮ টাকায় পৌঁছেছে। কিন্তু চালই নেই। চরম মজুতদারি শুরু হয়ে গেল। কলকাতার গঙ্গায় দেখা যাচ্ছিল কালো কাঠের মতো অসংখ্য জড়পদার্থ ভেসে যাচ্ছে। লাইন দিয়ে। সেগুলি ছিল মৃতদেহ।
১৭৭০ সালের জুলাই মাসে এর সঙ্গেই শুরু হল স্মল পক্স। মানুষ কীটপতঙ্গের মতো মারা যাচ্ছে। পাটনার শাসক সিতাব রাই বরং অনেকটা সামলে নিলেন। তিনি যখনই আঁচ করলেন যে দুর্ভিক্ষ আসছে, বেনারসে পাঠিয়ে দিলেন একঝাঁক নৌকা। বেনারসের দরেই চাল আমদানি করতে। একসঙ্গে তিনি কিনে নিয়েছিলেন ৩০ হাজার টাকার চাল। ততদিনে নতুন গভর্নর এসেছেন। জন কার্তিয়ের। তিনি এসেই কিন্তু অনেকটা বুঝতে সমর্থ হলেন যে, এই মহাদুর্ভিক্ষ সামাল দিতে না পারলে কোম্পানির ক্ষতি সবথেকে বেশি। আগামী বহু বছর ধরে রাজস্ব আদায় হবে না। শিল্পবাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি চেষ্টা করলেন দিনে ১৫ হাজার মানুষের খাবারের। কিন্তু ওই মহাবিপর্যয়ে ১৫ হাজার মানুষের খাবার যেন কি‌ছু‌ই নয়। বরং তিনি সামাল নিতে পারলেন না তাঁর নিজের সংস্থা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী আর ব্যবসায়ীদের মিলিত দুর্নীতি। কেমন দুর্নীতি? টাকায় ১২০ সের চাল কিনে নিয়ে তারা স্থানীয় ব্যবসায়ীকে বিক্রি করেছিলেন এক টাকায় ১৫ সের। ফলে দ্রুত বাজার থেকে চাল উধাও হয়ে শুধু কতিপয় ব্যবসায়ীর গুদামেই পাওয়া যাচ্ছিল। ১৭৬৯ সালে এরকম এক কর্মচারী ইংল্যান্ডে নিজের বাড়িতে ১ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন। এক বছর পর সেই কর্মচারীই শুধু চালের দুর্নীতি করে পাঠিয়েছিলেন ৬০ হাজার টাকা। যে মন্বন্তরে লক্ষ লক্ষ বঙ্গবাসী মারা গেল, সেই মন্বন্তরের সময়ই কোম্পানির পক্ষ থেকে তাদের লন্ডন হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছিল ১০ লক্ষ ৮৬ হাজার পাউন্ড। চরম অনাহার আর এই আকালে খাজনা আদায় বন্ধ রাখাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু আদতে ১৭৭১ সালে জানা গেল, ১৭৭০ সালে বেঙ্গল থেকে ট্যাক্স বেড়েছে ১০ শতাংশ। চার বছর চাষবাস হল না। গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস... জনবিরল। বহু জনপদ ও চাষের জমি ধীরে ধীরে জঙ্গলে পরিণত হয়েছিল। কমে এসেছিল শহর আর জনপদের আয়তন। বাংলার যে জনপদে একটা সময় মানুষের কাজকর্মের শব্দ, কলতান, যাতায়াতের ভিড়ে পূর্ণ ছিল, সেসব স্থানে ক্রমেই বাঘ, শেয়াল এসে থাকতে শুরু করল। সেগুলো হয়ে গেল ঘোর অরণ্য। সম্পদশালী বাংলার শান্ত এক জনজীবন সম্পূর্ণ ধ্বংস। অন্তত তিন বছর ধরে চলল সেই মন্বন্তর। ১ কোটি? ৫০ লক্ষ? নাকি ২০ লক্ষ? ইতিহাসে গত ২৫০ বছর ধরে নানা চর্চা হয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে।
১৭২০-র দশকে শীতকালে নগ্ন করে ঠান্ডা বরফগলা জলে প্রজাদের চুবিয়ে রাখতেন বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খান। মলমূত্র ভর্তি কুয়োয় পোকামাকড় থিকথিক করছে। তার মধ্যে ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলা হত মানুষকে। দমবন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হতো। কেন? খাজনা দিতে পারেনি বলে। ১৭৪০-এর দশকে মারাঠা শাসক রঘুজি ভোঁসলের বাহিনীর কুখ্যাত ভাস্কর পণ্ডিতের লুটেরাবাহিনী নিরীহ গ্রামবাসীদের মুখে জোর করে জল ভরে গলা চেপে ধরত। যাতে সেই জল খাদ্যনালীতে আটকে যায় এবং মৃত্যু হয়। ধর্ষণের পর হাজার হাজার মেয়ের কান আর নাক কেটে নেওয়া হয়েছিল। গোলাভর্তি শস্যে আগুন ধরিয়ে নিঃস্ব করে দেওয়া হয়েছিল বাঙালি জাতিকে। ১৭৭০-এর দশকে ব্রিটিশ কোম্পানি চরম দুর্ভিক্ষের সময় খাজনা দিতে না পারায় গাছে ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে ফাঁসি দিয়েছে মানুষকে। মুর্শিদকুলি খাঁ ছিলেন মুসলিম। ভাস্কর পণ্ডিতের মতো মারাঠি বর্গিরা বর্ণহিন্দু। ব্রিটিশ শাসকরা ছিল খ্রিস্টান। অত্যাচারীর ধর্ম যাই হোক, বাংলা শুধুই সর্বনাশের শিকার হয়েছে ইতিহাসে। মন্বন্তর থেকে দেশভাগ!
12th  July, 2020
ফিরে দেখা ব্যোমকেশ 

আবীর চট্টোপাধ্যায়: সত্যের প্রতি নিষ্ঠা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা। এই দু’টোর কম্বিনেশনের নাম সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী। এমন কোনও মানুষ সামনে থাকলে ভালো লাগে। নাই বা হলেন তিনি রক্তমাংসের কেউ। তাঁকে দেখে, তাঁকে ‘পড়ে’ মনে হয়, যদি এমনটা হতে পারতাম... যদি এভাবে কেউ গাইড করত! এই আশ্রয়টাই হয়ে উঠেছে ব্যোমকেশ। 
বিশদ

02nd  August, 2020
হাতে খড়ি ধুতি পরায় 

দূরদর্শনে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের সেই সিরিয়ালে যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছিলেন ব্যোমকেশ। সেই বাঙালিয়ানা, সেই সংসারী অথচ ক্ষুরধার মস্তিষ্কের ছিপছিপে চেহারার চিরকালীন চরিত্র। ‘ব্যোমকেশ’ রজিত কাপুর এখনও দর্শকের চোখে অমলিন। আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত।
বিশদ

02nd  August, 2020
স্যার এডমুন্ড হিলারি
চন্দ্রনাথ দাস

বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ১০১ বছর। তেনজিং নোরগের সঙ্গে প্রথমবার পা রেখেছিলেন পৃথিবীর শীর্ষে। মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের জন্য স্যার এডমুন্ড হিলারিকে মনে রেখেছে এই দুনিয়া। কিন্তু শুধু এক্সপ্লোরার নন, তিনি ছিলেন মাটির খুব কাছাকাছি থাকা এক মানুষ। এভারেস্ট অঞ্চলের প্রতিটা গ্রাম, জনপদের মনে তিনি থেকে গিয়েছেন তাঁদের শিক্ষার, উন্নতির সোপান হিসেবে। শতবর্ষ পার করে ফিরে দেখা সেই ব্যক্তিত্বকে।
বিশদ

26th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
সাফল্যের অপেক্ষায়
ডঃ সমীরণ পান্ডা

ল্যাটিন শব্দ ভ্যাক্কা (vacca) মানে গোরু। আর আঠেরোশো শতাব্দীতে মানুষকে স্মল পক্স বা বসন্ত রোগের থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য গোরুর বসন্ত রোগের গুটি থেকে যে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন বানানো হয়েছিল, সেই প্রয়াসের মধ্যেই জন্ম হয় ‘ভ্যাকসিন’ শব্দটির। 
বিশদ

19th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
আগামী বছরের আগে নয়

ডঃ শেখর চক্রবর্তী : এক ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা...। বিশ্বব্যাপী মহামারী। যা আগাম ঠেকানোর কোনও পথ আমাদের হাতে নেই। আর তাই চেষ্টা চলছে। বিশ্বজুড়ে। থেমে নেই কোনও দেশ। আমরাও না। কিন্তু দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে ভ্যাকসিন তৈরি? অসম্ভব। একেবারেই ভিত্তিহীন এবং বাজে কথা। 
বিশদ

19th  July, 2020
চিম 

করোনাকে দ্রুত জব্দ করার লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাবনা (কনসেপ্ট) নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সেটি হল, চিম (CHIM)। কন্ট্রোল হিউম্যান ইনফেকশন মডেল। এর উদ্দেশ্য হল, ভ্যাকসিন কাজ করছে কি না, তার ফল দ্রুত জেনে নেওয়া।
বিশদ

19th  July, 2020
খড়্গপুর প্ল্যাটফর্মে আর নেই সুশান্ত... 

সোহম কর: সুশান্ত সিং রাজপুতকে তখনও মানব নামেই বেশি চেনে খড়্গপুর... সৌজন্যে ‘পবিত্র রিস্তা’। সেই মানব টিকিট কালেক্টরের পোশাকে খড়্গপুর স্টেশনে। সবাই তো অবাক! তারপর বোঝা গেল, মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকের শ্যুটিংয়ে এই মফস্সল শহরে এসেছেন সুশান্ত। 
বিশদ

05th  July, 2020
ভালো থেকো সুশ 

কৃতী শ্যানন: সুশ, জানতাম মেধাবী মন ছিল তোমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আর সবচেয়ে বড় শত্রুও... কিন্তু একটাই কথা ভেবে আমার ভেতরটা চুরমার হয়ে যাচ্ছে... এমন একটা মুহূর্ত তোমার জীবনে কীভাবে এল যে, বেঁচে থাকার বদলে মৃত্যুটাই সহজ বলে মনে হল! বারবার মনে হচ্ছে ‘ওই মুহূর্তে’ যদি তোমার পাশে কয়েকজন ভালো মানুষ থাকত... যদি তুমি তোমার ভালোবাসার লোকগুলোকে দূরে না সরিয়ে দিতে...  
বিশদ

05th  July, 2020
তোমাকে মিস করব 

শ্রদ্ধা কাপুর: যা ঘটেছে মেনে নিতে পারছি না। এক গভীর শূন্যতা... সুশান্ত! প্রিয় সুশ...! নম্রতা, বুদ্ধিমত্তা... জীবন সম্পর্কে অদম্য কৌতূহল। সবখানে খুঁজে নিত সুন্দরকে। সেটে ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম, ভাবতাম আজ না জানি নতুন কী চমক আছে!
বিশদ

05th  July, 2020
অচেনা তারা 

অন্বেষা দত্ত: আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কখনও আলাপ হওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই আক্ষেপটা আজীবন রয়েই যাবে। তবে সে কথা এখন থাক। আপনি এখন এ পৃথিবীর কেউ নন। কোনওদিন ছিলেন কি?  
বিশদ

05th  July, 2020
স্বামীজির শেষদিন
শংকর

স্বামীজি বলতেন, ‘শরীরটা কিছু নয়, কিন্তু এই শরীরের দ্বারাই তাঁকে লাভ করতে হবে।’ কর্মই ছিল তাঁর ঈশ্বরলাভের পথ। আর কর্মকাণ্ডের বারিধারায় মহাবিশ্বকে সজল করে আচমকা সেই শরীরই ত্যাগ করেছিলেন তিনি। ৪ জুলাই, ১৯০২... ফিরে দেখা স্বামী বিবেকানন্দের শেষের সেদিন।
বিশদ

28th  June, 2020
 নরেনের ঘুড়ি
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

 স্বামীজি যখন প্রথম দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে এলেন, তার অনেক আগে থেকেই তিনি ইউরোপীয় দর্শনশাস্ত্র ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য— তিনি খুঁজছেন, এই পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ এবং জীব জগৎ এল কোথা থেকে। এই জগতের স্রষ্টা কে! আরও কৌতূহল— সাধারণ মানুষ যে ভগবানের কথা বলে, সেই ভগবান কে? তাঁর দর্শন কি পাওয়া যায়! বিশদ

28th  June, 2020
নব নীলাচল মাহেশ 

এবার মন্দিরের ধ্যানঘরে মাসির বাড়ি তৈরি করে জগন্নাথদেবকে নিয়ে যাওয়া হবে। লিখেছেন গুঞ্জন ঘোষ।  বিশদ

21st  June, 2020
অনলাইনে ইসকনের রথোৎসব 

এই প্রথমবার কলকাতার রাজপথ পরিক্রমণ করবে না ইসকনের রথ। করোনার সংক্রমণের জন্য এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। খবরে স্নেহাশিস সাউ।  
বিশদ

21st  June, 2020
একনজরে
অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো অনুষ্ঠানের রং লাগল সুদূর আমেরিকাতেও। সেখানকার ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা রামমন্দিরের একটি ডিজিটাল ছবি নিয়ে ট্যাবলো সাজিয়ে রীতিমতো শহর পরিক্রমা করলেন। ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে, সেগুলির কয়েকটির বাজার বন্ধকালীন দর। ...

অধিনায়ক হিসেবে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অদ্ভুত এক তত্ত্ব মেনে চলেন রোহিত শর্মা। ‘হিটম্যান’ জানিয়েছেন, নেতৃত্বভার কাঁধে থাকলে ড্রেসিং রুমে নিজেকেই সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলে ...

তুফানগঞ্জ পুরসভা তহবিলের অভাবে উন্নয়নমূলক কোনও কাজ করতে পারছে না। করোনা পরিস্থিতিতে মার্চ মাসের শেষসপ্তাহে লকডাউন শুরু হতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

হিরোশিমা দিবস
১৮৬৫ - চার্লি চ্যাপলিনের মা তথা ইংরেজ অভিনেত্রী, গায়িকা ও নৃত্যশিল্পী হান্নাহ চ্যাপলিনের জন্ম
১৮৮১- পেনিসিলিনের আবিষ্কারক ফ্লেমিংয়ের জন্ম
১৯০৫- দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস প্রকাশ করলেন বন্দে মাতরম পত্রিকা
১৯০৬ - বিপিনচন্দ্র পালের সম্পাদনায় বন্দে মাতরম্ (সংবাদপত্র) প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯১৪ - কলকাতা থেকে দৈনিক বসুমতী প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯২৫ - বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৫-হিরোশিমায় পরমাণু বোমা ফেলল আমেরিকা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.১৪ টাকা ৭৫.৮৬ টাকা
পাউন্ড ৯৬.৪৬ টাকা ৯৯.৮৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৪ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৪,৬৭০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫১,৮৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  August, 2020

দিন পঞ্জিকা

২১ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০, তৃতীয়া ৪৭/৩৪ রাত্রি ১২/১৫। শতভিষানক্ষত্র ১৫/১১ দিবা ১১/১৮। সূর্যোদয় ৫/১৩/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ১২/৪৮ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১০/২৪ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ২/৫৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/৫ মধ্যে।
২১ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০, তৃতীয়া রাত্রি ১১/২। শতভিষানক্ষত্র দিবা ১১/২১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৬/১৪। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৭ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ১০/২৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৯ গতে ৬/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/৬ মধ্যে।
১৫ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। বৃষ: ব্যবসায় উন্নতির যোগ আছে। মিথুন: ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
হিরোশিমা দিবস১৮৬৫ - চার্লি চ্যাপলিনের মা তথা ইংরেজ অভিনেত্রী, ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২,৯৫৪
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২,৯৫৪ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

08:56:34 PM

  সুশান্ত মামলা: ৭ জনের নামে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই
সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলায় সিবিআই রিয়া চক্রবর্তী সহ ৭ জনের ...বিশদ

08:40:00 PM

তামিলনাড়ুতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৫,৬৮৪ 
তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৬৮৪ জন। ...বিশদ

07:27:06 PM

উত্তরপ্রদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪,৬৫৮ 
উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৬৫৮ জন। মৃত্যু ...বিশদ

07:04:04 PM