Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

 নরেনের ঘুড়ি
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

স্বামীজি যখন প্রথম দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে এলেন, তার অনেক আগে থেকেই তিনি ইউরোপীয় দর্শনশাস্ত্র ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য— তিনি খুঁজছেন, এই পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ এবং জীব জগৎ এল কোথা থেকে। এই জগতের স্রষ্টা কে! আরও কৌতূহল— সাধারণ মানুষ যে ভগবানের কথা বলে, সেই ভগবান কে? তাঁর দর্শন কি পাওয়া যায়!
ধনীর সন্তান। প্রাচুর্যের মধ্যেই বড় হচ্ছেন। পিতা বিশ্বনাথ তাকে সবরকমের স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন। তিনি নিজে গতানুগতিকভাবে ঈশ্বর বিশ্বাসী ছিলেন এমন কথা বলা যায় না। তিনি এক জায়গায় নিজের সম্পর্কে বলেছিলেন— আমি হেডোনিস্ট, অর্থাৎ জীবনের রূপ, রস, গন্ধ উপভোগ করতে চাই। সব ধর্মের তত্ত্বই তিনি জানতেন। তবে সমন্বয়ে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি হাফিজ পড়তেন, সুফি সাধকদের লেখা পড়তেন, আবার শ্রীমদ্ভাগবতের রসও গ্রহণ করতেন। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে ছোট একটি পুস্তিকাও লিখেছিলেন। যেমন লিখেছিলেন ‘সুলোচনা’ নামের একটি উপন্যাস। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতচর্চা করেছিলেন। সঙ্গীত পরিবেশনও করতেন। প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে মজলিস বসাতেন, আর শ্রোতাদের মোগলাই খানা খাওয়াতেন। রন্ধনবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। পুত্র নরেন্দ্রনাথকে দিয়ে চাঁদনি থেকে একটি রান্নার বই আনিয়েছিলেন। মাঝেমাঝে বাড়ির রান্নাঘরের দখল নিয়ে পিতা-পুত্রে মোগলাই পদ রান্না করতেন। তাঁর এক মক্কেল ছিলেন মোগল রমণী। তিনি সময়ে সময়ে এক একটি পদের রান্নার প্রণালী লিখে পাঠাতেন। পুত্র নরেন্দ্রনাথকে তিনি চেয়েছিলেন আদর্শ এক পুরুষ হিসেবে তৈরি করতে। স্বাস্থ্য হবে সুন্দর, চওড়া বুক, মনে দুর্জয় সাহস, সমস্ত বাধা অতিক্রম করার অতি মানবীয় শক্তি। নরেন্দ্রনাথ ব্যায়ামবীর হবেন, কুস্তিগীর হবেন, সাঁতার শিখবেন, শিখবেন রোয়িং, বন্দুক চালানো, ঘোড়ায় চড়া। পুত্রকে তিনি সর্বঅর্থে এক বীর তৈরি করতে চেয়েছিলেন। দিয়েছিলেন স্বাবলম্বী হওয়ার শিক্ষা।
স্বামীজি কিন্তু সঙ্গে এনেছিলেন অতি মানবীয় এক মন। উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন অতি-লৌকিক এক কৌতূহল। তিনি বিচরণ করতেন অনন্তে। ছাত্রজীবন থেকেই অভ্যাস করতেন ধ্যান। বুদ্ধদেবের দর্শন তাঁকে আকৃষ্ট করেছিল। জানতে চাইতেন একটি ক্ষুদ্র জীবনেই কি মহাজীবন শেষ হয়ে যায়! অনন্তের সঙ্গে সান্তের কি কোনও সম্পর্ক আছে! এই জগতের বাইরে পা ফেললে মানুষ যায় কোথায়! এটি কি একটি অলাতচক্র! এ কি কোনও কংসের কারাগার! সেই কারাগারেই কি ভগবান বিষ্ণু আসেন! বুদ্ধদেব যে নির্বাণের কথা বলে গিয়েছেন তা কি নির্বাপিত জীবন প্রদীপ! নাকি চিরপ্রজ্জ্বলিত একটি দীপশিখা! কী বলছেন হাফিজ, রুমি। কী বলছেন কান্ট, হেগেল, হিউম, ডেকার্ট, স্পেনসার। চিন্তার এই স্বাধীনতা তিনি পেয়েছিলেন উত্তরাধিকার সূত্রে। এই পরিবারেরই একজন পূর্বে সন্ন্যাস নিয়ে সংসার ত্যাগী হয়েছেন। রক্তের ধারায় রয়েছে সেই বৈরা঩গ্যের বীজ। কিন্তু নরেন্দ্রনাথ হবেন স্বতন্ত্র এক পথের পথিক। এই দুনিয়ার যাবতীয় যন্ত্রণার উত্তরাধিকারী নীরবে মোক্ষণ করবেন অন্তরের অশ্রুজল। সেই ক্রন্দনে কোনও হাহাকার থাকবে না, থাকবে একটা জ্বলন। গুমরে গুমরে বাজবে অদ্ভুত এক বিদ্রোহের বাঁশি। ব্রাহ্ম হীরালালকে বলবেন, এই বিশ্ব সৃষ্টির অতি উত্তম ব্লু-প্রিন্ট আমার কাছে আছে। যা আমি ঈশ্বরকে দিতে পারি। পরবর্তীকালে তিনি বলবেন, সন্ন্যাস হল মৃত্যুপণ, যে মরতে প্রস্তুত তারই সাজে গেরুয়া ধারণ।
দক্ষিণেশ্বরে সাধক, গুপ্ত যোগী শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কাছে এলেন এক কলেজি যুবক। তিনি যা খুঁজছেন তা কোনও দর্শনে নেই, ব্রাহ্ম সমাজে নেই, রামমোহন বা দেবেন্দ্র ঠাকুরের কাছেও নেই। এই গোলাকার বৃহৎ শালগ্রাম- সম জগতের আড়ালে কে আছেন? মহাশয়! আপনি কি ঈশ্বর দেখেছেন? আমি আপনার ওই মন্দিরের মা কালী অথবা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর— এঁদের সম্পর্কে কিছুই জানতে চাই না। আমি অসীম, অনন্তের খবর চাই। আমি বেদ পাঠ করেছি। অতীত ঋষিদের চিন্তার সঙ্গে পরিচিত। কঠোপনিষদ আমার প্রিয় গ্রন্থ। কিন্তু যমরাজ নচিকেতাকে বলতে পারেননি, মৃত্যুর পর মানুষ কোথায় যায়! আমি সেই বালক নচিকেতা। আমি নরেন্দ্রনাথ দত্ত, আমার পিতা একজন বিখ্যাত অ্যাটর্নি বিশ্বনাথ দত্ত, আমার মা ভুবনেশ্বরী। সেদিন এতকথা তাঁকে বলতে হয়নি। ঠাকুর জানতেন কে এসেছে! কেন এসেছে! তিনি জানতেন, একে আসতেই হবে! তিনি মৃদু হেসে অশান্ত যুবকটিকে গ্রহণ করেছিলেন। সেদিন তাঁর মধ্যে যে স্নেহের প্রকাশ ঘটেছিল তাতে দত্ত নরেন্দ্রনাথ এতটাই অভিভূত হয়েছিলেন, যা তিনি আর ভুলতেই পারেননি। শটকা কলে ব্যাধেরা যেমন পাখি ধরে, শ্রীরামকৃষ্ণ এই গরুড় পক্ষীটিকে তাঁর বিশাল স্নেহের বিরাট খাঁচায় চিরকালের জন্য ধরে ফেললেন।
নচিকেতা মৃত্যুর রহস্য জানতে চেয়েছিলেন। পিতা বিশ্বনাথ দত্ত হঠাৎ মারা গিয়ে এই নচিকেতাকে জানিয়ে গেলেন—তোমার জীবনে শোকের কোনও অবকাশ নেই। অশ্রু বিসর্জনের শৌখিনতাও থাকবে না। আমার উত্তরাধিকার হল অভাব আর এই পরিবারটির বিশাল বোঝা। তুমি আমার জ্যেষ্ঠ পুত্র, কাঁধে তুলে নাও সংসারের এই স্থূল ভার। পিতার মৃত্যু যেন হাতুড়ির আঘাত। নরেন্দ্রনাথ যেন অগ্নিতে লাল করা একখণ্ড লোহা। প্রথম মৃত্যু তাঁকে যে শিক্ষা দিয়েছিল, সেই শিক্ষা পরবর্তীকালে কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা তাঁর জানা ছিল না।
নরেন্দ্রনাথের দুই পিতা। জাগতিক পিতা চলে গেলেন। দক্ষিণেশ্বরে দু’হাত বাড়িয়ে বসে আছেন তাঁর আধ্যাত্মিক পিতা। তিনি নরেন্দ্রনাথকে তৈরি করছেন ইন্দ্রের বজ্রের মতো করে। বেদান্তি নরেন্দ্রনাথ মৃত্যকে দেখতে শিখেছেন অন্য চোখে। জীবনের ক্ষয় নেই লয় আছে। জলের বিন্দু জলেতেই মিলায়, যা আজ আছে এখানে, কাল তা ফিরে যাবে সেখানে। প্রশ্ন ছিল ভগবান কোথায়? গুরু বুকে আঘাত করে শিখিয়ে গেলেন, ভগবান এখানে।
ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ যথেষ্ট সময় দিলেন তাঁর না থাকাটাকে সহনীয় করার জন্য। দিলেন সেবার সুযোগ। নরেন্দ্রনাথ এবং পরবর্তীকালে যে যুবকরা রামকৃষ্ণ সঙ্ঘ তৈরি করবেন, তাঁদের দলনেতা হয়ে কাশীপুর উদ্যান বাটীতে গুরুর সেবায় নিয়োজিত হলেন। মাঝেমাঝে সকলকে সচেতন করতে লাগলেন—এই দেহটি চলে যাবে, আয় যত পারি সেবা করি। সেবাই ধর্ম। আর যত পারি গ্রহণ করি গুরুর শিক্ষা, গুরুর দর্শন। জেনে রাখ শোকের কোনও অবকাশ নেই। গতি থমকে যাবে কিছুক্ষণের জন্যে, কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণের রথ চলতেই থাকবে। আমরা ধরে রাখব সেই রথের রশি। রথের চারটি চাকা— ধর্ম, অর্থ, কাম আর মোক্ষ।
ঠাকুর চলে গেলেন। নরেন্দ্রনাথের কাঁধে দিয়ে গেলেন একটি নতুন যুগের ভার। দিয়ে গেলেন একটি ধর্ম—যা সমস্ত ধর্মের সমন্বিত রূপ। একটি সংগঠন তৈরি করতে হবে, যে যুবকদল তাঁর বাঁশি শুনে গৃহত্যাগ করেছেন তাঁদের আশ্রয় দিতে হবে, তাঁদের পরিচালিত করতে হবে শ্রীরামকৃষ্ণের আদর্শের পথে। দূর, দূর, বহু দূরে যেতে হবে। নরেন্দ্রনাথের দুঃখ কোথায়? পুরোটাই তো দায়িত্ব।
একটি চিত্র চোখের সামনে ভাসছে—নরেন্দ্রনাথ নীল আকাশে বিরাট একটা ঘুড়ি তুলেছেন, হাতে লাটাই আর সুতো। কলে বাঁধা সেই ঘুড়ি উড়ছে, আর দক্ষিণেশ্বরের পঞ্চবটীতে গান হচ্ছে—শ্যামা মা উড়াচ্ছে ঘুড়ি ভবসাগর বাজার মাঝে। নরেন্দ্রনাথের হাতে লাটাই, আর ওই নীল আকশের বুকে শ্রীরামকৃষ্ণ- ঘুড়ি বাতাসে সাঁতার কাটছে।
28th  June, 2020
ফিরে দেখা ব্যোমকেশ 

আবীর চট্টোপাধ্যায়: সত্যের প্রতি নিষ্ঠা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা। এই দু’টোর কম্বিনেশনের নাম সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী। এমন কোনও মানুষ সামনে থাকলে ভালো লাগে। নাই বা হলেন তিনি রক্তমাংসের কেউ। তাঁকে দেখে, তাঁকে ‘পড়ে’ মনে হয়, যদি এমনটা হতে পারতাম... যদি এভাবে কেউ গাইড করত! এই আশ্রয়টাই হয়ে উঠেছে ব্যোমকেশ। 
বিশদ

02nd  August, 2020
হাতে খড়ি ধুতি পরায় 

দূরদর্শনে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের সেই সিরিয়ালে যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছিলেন ব্যোমকেশ। সেই বাঙালিয়ানা, সেই সংসারী অথচ ক্ষুরধার মস্তিষ্কের ছিপছিপে চেহারার চিরকালীন চরিত্র। ‘ব্যোমকেশ’ রজিত কাপুর এখনও দর্শকের চোখে অমলিন। আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত।
বিশদ

02nd  August, 2020
স্যার এডমুন্ড হিলারি
চন্দ্রনাথ দাস

বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ১০১ বছর। তেনজিং নোরগের সঙ্গে প্রথমবার পা রেখেছিলেন পৃথিবীর শীর্ষে। মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের জন্য স্যার এডমুন্ড হিলারিকে মনে রেখেছে এই দুনিয়া। কিন্তু শুধু এক্সপ্লোরার নন, তিনি ছিলেন মাটির খুব কাছাকাছি থাকা এক মানুষ। এভারেস্ট অঞ্চলের প্রতিটা গ্রাম, জনপদের মনে তিনি থেকে গিয়েছেন তাঁদের শিক্ষার, উন্নতির সোপান হিসেবে। শতবর্ষ পার করে ফিরে দেখা সেই ব্যক্তিত্বকে।
বিশদ

26th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
সাফল্যের অপেক্ষায়
ডঃ সমীরণ পান্ডা

ল্যাটিন শব্দ ভ্যাক্কা (vacca) মানে গোরু। আর আঠেরোশো শতাব্দীতে মানুষকে স্মল পক্স বা বসন্ত রোগের থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য গোরুর বসন্ত রোগের গুটি থেকে যে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন বানানো হয়েছিল, সেই প্রয়াসের মধ্যেই জন্ম হয় ‘ভ্যাকসিন’ শব্দটির। 
বিশদ

19th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
আগামী বছরের আগে নয়

ডঃ শেখর চক্রবর্তী : এক ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা...। বিশ্বব্যাপী মহামারী। যা আগাম ঠেকানোর কোনও পথ আমাদের হাতে নেই। আর তাই চেষ্টা চলছে। বিশ্বজুড়ে। থেমে নেই কোনও দেশ। আমরাও না। কিন্তু দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে ভ্যাকসিন তৈরি? অসম্ভব। একেবারেই ভিত্তিহীন এবং বাজে কথা। 
বিশদ

19th  July, 2020
চিম 

করোনাকে দ্রুত জব্দ করার লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাবনা (কনসেপ্ট) নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সেটি হল, চিম (CHIM)। কন্ট্রোল হিউম্যান ইনফেকশন মডেল। এর উদ্দেশ্য হল, ভ্যাকসিন কাজ করছে কি না, তার ফল দ্রুত জেনে নেওয়া।
বিশদ

19th  July, 2020
মন্বন্তর ২৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

পেটে ভাত নেই... কিন্তু রাজস্ব যে দিতেই হবে! কোম্পানির কোষাগার ভরতে না পারলে গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি। একদিকে দুর্ভিক্ষে, কলেরায় উজাড় হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তখনই ফুলেফেঁপে উঠেছে বণিকের ঝুলি। তাদের মানদণ্ডের আঘাতে বাংলার নিয়তি ছিল একটাই... মৃত্যু। ফিরে দেখা ২৫০ বছর আগের সেই অভিশপ্ত মন্বন্তরকে।
বিশদ

12th  July, 2020
খড়্গপুর প্ল্যাটফর্মে আর নেই সুশান্ত... 

সোহম কর: সুশান্ত সিং রাজপুতকে তখনও মানব নামেই বেশি চেনে খড়্গপুর... সৌজন্যে ‘পবিত্র রিস্তা’। সেই মানব টিকিট কালেক্টরের পোশাকে খড়্গপুর স্টেশনে। সবাই তো অবাক! তারপর বোঝা গেল, মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকের শ্যুটিংয়ে এই মফস্সল শহরে এসেছেন সুশান্ত। 
বিশদ

05th  July, 2020
ভালো থেকো সুশ 

কৃতী শ্যানন: সুশ, জানতাম মেধাবী মন ছিল তোমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আর সবচেয়ে বড় শত্রুও... কিন্তু একটাই কথা ভেবে আমার ভেতরটা চুরমার হয়ে যাচ্ছে... এমন একটা মুহূর্ত তোমার জীবনে কীভাবে এল যে, বেঁচে থাকার বদলে মৃত্যুটাই সহজ বলে মনে হল! বারবার মনে হচ্ছে ‘ওই মুহূর্তে’ যদি তোমার পাশে কয়েকজন ভালো মানুষ থাকত... যদি তুমি তোমার ভালোবাসার লোকগুলোকে দূরে না সরিয়ে দিতে...  
বিশদ

05th  July, 2020
তোমাকে মিস করব 

শ্রদ্ধা কাপুর: যা ঘটেছে মেনে নিতে পারছি না। এক গভীর শূন্যতা... সুশান্ত! প্রিয় সুশ...! নম্রতা, বুদ্ধিমত্তা... জীবন সম্পর্কে অদম্য কৌতূহল। সবখানে খুঁজে নিত সুন্দরকে। সেটে ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম, ভাবতাম আজ না জানি নতুন কী চমক আছে!
বিশদ

05th  July, 2020
অচেনা তারা 

অন্বেষা দত্ত: আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কখনও আলাপ হওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই আক্ষেপটা আজীবন রয়েই যাবে। তবে সে কথা এখন থাক। আপনি এখন এ পৃথিবীর কেউ নন। কোনওদিন ছিলেন কি?  
বিশদ

05th  July, 2020
স্বামীজির শেষদিন
শংকর

স্বামীজি বলতেন, ‘শরীরটা কিছু নয়, কিন্তু এই শরীরের দ্বারাই তাঁকে লাভ করতে হবে।’ কর্মই ছিল তাঁর ঈশ্বরলাভের পথ। আর কর্মকাণ্ডের বারিধারায় মহাবিশ্বকে সজল করে আচমকা সেই শরীরই ত্যাগ করেছিলেন তিনি। ৪ জুলাই, ১৯০২... ফিরে দেখা স্বামী বিবেকানন্দের শেষের সেদিন।
বিশদ

28th  June, 2020
নব নীলাচল মাহেশ 

এবার মন্দিরের ধ্যানঘরে মাসির বাড়ি তৈরি করে জগন্নাথদেবকে নিয়ে যাওয়া হবে। লিখেছেন গুঞ্জন ঘোষ।  বিশদ

21st  June, 2020
অনলাইনে ইসকনের রথোৎসব 

এই প্রথমবার কলকাতার রাজপথ পরিক্রমণ করবে না ইসকনের রথ। করোনার সংক্রমণের জন্য এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। খবরে স্নেহাশিস সাউ।  
বিশদ

21st  June, 2020
একনজরে
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে, সেগুলির কয়েকটির বাজার বন্ধকালীন দর। ...

অধিনায়ক হিসেবে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অদ্ভুত এক তত্ত্ব মেনে চলেন রোহিত শর্মা। ‘হিটম্যান’ জানিয়েছেন, নেতৃত্বভার কাঁধে থাকলে ড্রেসিং রুমে নিজেকেই সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলে ...

তুফানগঞ্জ পুরসভা তহবিলের অভাবে উন্নয়নমূলক কোনও কাজ করতে পারছে না। করোনা পরিস্থিতিতে মার্চ মাসের শেষসপ্তাহে লকডাউন শুরু হতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।  ...

ভিসা ও অন্যান্য নথির মেয়াদ ফুরনোয় সৌদি আরবে এখন জেলবন্দি রয়েছেন প্রায় ৪৫০ জন ভারতীয়। তার মধ্যে অনেকেই এই বাংলার আদি বাসিন্দা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

হিরোশিমা দিবস
১৮৬৫ - চার্লি চ্যাপলিনের মা তথা ইংরেজ অভিনেত্রী, গায়িকা ও নৃত্যশিল্পী হান্নাহ চ্যাপলিনের জন্ম
১৮৮১- পেনিসিলিনের আবিষ্কারক ফ্লেমিংয়ের জন্ম
১৯০৫- দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস প্রকাশ করলেন বন্দে মাতরম পত্রিকা
১৯০৬ - বিপিনচন্দ্র পালের সম্পাদনায় বন্দে মাতরম্ (সংবাদপত্র) প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯১৪ - কলকাতা থেকে দৈনিক বসুমতী প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯২৫ - বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৫-হিরোশিমায় পরমাণু বোমা ফেলল আমেরিকা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.১৪ টাকা ৭৫.৮৬ টাকা
পাউন্ড ৯৬.৪৬ টাকা ৯৯.৮৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৪ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৪,৬৭০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫১,৮৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  August, 2020

দিন পঞ্জিকা

২১ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০, তৃতীয়া ৪৭/৩৪ রাত্রি ১২/১৫। শতভিষানক্ষত্র ১৫/১১ দিবা ১১/১৮। সূর্যোদয় ৫/১৩/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ১২/৪৮ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১০/২৪ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ২/৫৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/৫ মধ্যে।
২১ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০, তৃতীয়া রাত্রি ১১/২। শতভিষানক্ষত্র দিবা ১১/২১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৬/১৪। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৭ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ১০/২৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৯ গতে ৬/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/৬ মধ্যে।
১৫ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। বৃষ: ব্যবসায় উন্নতির যোগ আছে। মিথুন: ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
হিরোশিমা দিবস১৮৬৫ - চার্লি চ্যাপলিনের মা তথা ইংরেজ অভিনেত্রী, ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২,৯৫৪
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২,৯৫৪ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

08:56:34 PM

  সুশান্ত মামলা: ৭ জনের নামে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই
সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলায় সিবিআই রিয়া চক্রবর্তী সহ ৭ জনের ...বিশদ

08:40:00 PM

তামিলনাড়ুতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৫,৬৮৪ 
তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৬৮৪ জন। ...বিশদ

07:27:06 PM

উত্তরপ্রদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪,৬৫৮ 
উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৬৫৮ জন। মৃত্যু ...বিশদ

07:04:04 PM