Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ভোট মানেই তো
স্লোগানের ছড়াছড়ি
কল্যাণ বসু

ভোটের মাঠে হরেক রকমের সুর। স্লোগানে মেলে ছড়ার ছন্দ। গ্রাম-শহরের অলি-গলি ছাপিয়ে রাজপথে মাইকে ভাসে সেই ছন্দময় স্লোগান। চলে স্লোগান নিয়ে শাসক-বিরোধীর আকচা-আকচিও। বহু স্লোগান দাগ কেটে যায় দেশের মাটিতে। বহুকাল টিকে থাকে তার স্মৃতিও। দেশের সৈনিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ১৯৬৫ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর স্লোগান  ‘জয় জওয়ান,  জয় কিষান’  আজও তো কত ইতিহাসের সাক্ষী। ১৯৬৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ও তামাককে একাসনে বসিয়ে ভারতীয় জনসঙ্ঘের তরফে এক অদ্ভুত স্লোগান তোলা হয়েছিল।  ‘জনসঙ্ঘ কো ভোট দো, বিড়ি পিনা ছোড় দো;  বিড়ি মে তামাকু হ্যায়, কংগ্রেসওয়ালা ডাকু হ্যায়।’  সেই সময়ই জনসঙ্ঘ স্লোগান তুলেছিল: ‘কোন করেগা দেশ অখন্ড,  ভারতীয় জনসঙ্ঘ, ভারতীয় জনসঙ্ঘ।’ সেই ষাটের দশকেই উন্নয়নকে মুখ্য হাতিয়ার হিসাবে প্রয়োগ করে রাজনৈতিক প্রচারে এসেছিল কংগ্রেসের আরও এক স্লোগান।  ‘প্রোগ্রেস থ্রু কংগ্রেস’।  অর্থাৎ, কংগ্রেসের হাত ধরেই উন্নয়ন। শিবসেনা কংগ্রেসের এই স্লোগানকে প্রশ্নচিহ্নের মধ্যে দাঁড় করিয়ে দিয়ে স্লোগান তুলেছিল  ‘কংগ্রেস আর প্রোগ্রেস?’
সাতের দশকের কথাই ধরুন। মাত্র দুটি শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। গরিবি হঠাও। এই স্লোগানটাই ৭১-এ ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল। আসমুদ্র হিমাচল ইন্দিরা গান্ধীর কথায় বিশ্বাস করেছিল। এত প্রভাবী স্লোগান ভারতে খুব কমই হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধীর জমানায় তাঁকে এবং কংগ্রেসকে নিয়েই পক্ষে-বিপক্ষে স্লোগানের ফুলঝুড়ি। ষাটের দশকে ভোটের প্রচারে ব্যবহৃত একটা জনপ্রিয় স্লোগান ছিল  ‘ভোট ফর কাফ অ্যান্ড কাউ, ফরগেট অল আদারস নাউ।’  তবে, ইন্দিরা গান্ধীর নিজের স্লোগান  ‘গরিবি হটাও’  সম্ভবত দেশের অন্যতম সেরা। আজও। গরিবি হটাও-এর স্লোগান হল একেবারে পাকা মাথার কাজ। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক স্লোগান এবং অনেক ভেবেচিন্তে এই অমোঘ বাক্যবন্ধ তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের পর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি এই স্লোগান দিয়ে ১৯৭১-এর নির্বাচনে কংগ্রেসের জয় এনে দিয়েছিলেন। তবে  ‘গরিবি হটাও’  ধাঁচে এরপর আরও স্লোগান হয়েছে।  যেমন — জয়প্রকাশ নারায়ণের  ‘ভ্রষ্টাচার হটাও।’  একই স্লোগান নিয়ে মোররাজি দেশাই গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর দুর্নীতি ও তাঁকে হঠানোর দাবিতে অনশনে বসে গেলেন। ইন্দিরা সেই দাবি মেনে নিলেন। স্লোগানও প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল।
১৯৭৮ সালে কর্ণাটকের চিকমাগালুর উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। সেই নির্বাচনে স্লোগান ছিল  ‘এক শেরনি,  শ লাঙ্গুর,  চিকমাগালুর ভাই চিকমাগালুর।’  এর সৃষ্টিকর্তা ছিলেন কংগ্রেসপন্থী কবি শ্রীকান্ত ভার্মা। সেই ইন্দিরা দেশে জরুরি অবস্থা লাগু করার পর জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন বিরোধী শক্তি তাঁরই স্লোগানের অনুকরণে স্লোগান তুলেছিল  ‘ইন্দিরা হটাও,  দেশ বাঁচাও।’  জরুরি অবস্থার সময় দেবকান্ত বড়ুয়ার  ‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া’  স্লোগানটি কার্যত বুমেরাং হয়ে ফিরেছিল নির্বাচনে। ইন্দিরা খুন হওয়ার পর শোকের হাওয়া তুলে কংগ্রেসের স্লোগান হয়েছিল: ‘যব তক সুরজ চাঁদ রহেগা,  ইন্দিরা তেরা নাম রহেগা।’  ১৯৮৪-র নির্বাচনে বিপুলভাবে জিতেছিল কংগ্রেস। একসময় বিহারের লালুপ্রসাদ যাদবকে উদ্দেশ্য করে তাঁর ভক্তবৃন্দও এই জাতীয় স্লোগান দিয়েছিল:  ‘যব তক রহেগা সমোসে সে আলু, তব তক রহেগা বিহার মে লালু।’
নকশালদের স্লোগানও একসময় যুবসমাজকে আকৃষ্ট করত। যেমন, জনগণ যখনই চায় বস্ত্র ও খাদ্য, সীমান্তে বেজে ওঠে যুদ্ধের বাদ্য। নকশালরাই এই বাংলায় লাঠি ও ট্রিগার-হ্যাপি পুলিসের বিরুদ্ধে তুলেছিল স্লোগান, ‘পুলিস তুমি যতই মারো, মাইনে তোমার একশো বারো’। প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ‘আঙ্কেল ডাঙ্কেল’ বলে স্লোগান তো বামেদেরই দেওয়া।
ভোট তথা রাজনীতির স্লোগান মূলত নেতা-মন্ত্রীর মুখ নিঃসৃত হলেও দেওয়াল লিখনে,  পোস্টারে,  বক্তৃতায়ও নানারকম স্লোগান জন্ম নেয়। সেই সব স্লোগান অনেক সময় আকর্ষণীয় ছড়ার আদলে উঠে আসে। অনেক সময় বিখ্যাত ছড়াকার বা কবির পংক্তিও স্লোগান হিসাবে পরিবেশিত হয়। সেই সব পংক্তি যেমন জাতীয় ইস্যুকে নিয়ে হয়, তেমনই আঞ্চলিক বিষয়ও মুখ্য হয়। নির্ভর করে নির্বাচনের প্রকৃতির উপর অর্থাৎ লোকসভা, বিধানসভা,  পঞ্চায়েত না পৌর নির্বাচন। এরকম অসংখ্য রয়েছে।
স্বাধীনোত্তর সময়ে প্রথম কয়েক দশক রাজনৈতিক দলগুলির প্রতীক নিয়ে ছড়া ছোঁড়াছুড়ি হতো। যেমন,  কংগ্রেস যদি বলত  ‘ভোট দেবেন কোথায়/ জোড়া বলদ যেথায়’,  তাহলে সিপিএম বলত  ‘ভোট দিন বাঁচতে/ তারা হাতুড়ি কাস্তে।’  বামেরা বিদ্রুপ করে বলত  ‘জোড়া বলদের দুধ নেই/ কংগ্রেসেরও ভোট নেই।’  নাছোড় কংগ্রেসও ১৯৬২ সালের চীন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষে সিপিএমের ভূমিকাকে সমালোচনা করে বলেছিল, ‘চীনের চিহ্ন কাস্তে হাতুড়ি/ পাকিস্তানের তারা/ এখনও কি বলতে হবে/ দেশের শত্রু কারা?’
ব্যক্তি আক্রমণ করেও কম বুলি ছাড়া হতো না। ১৯৬৭ সালে খাদ্য আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বামপন্থীরা বলেছিল:  ‘দু’ আনা সের বেগুন কিনে/ মন হল প্রফুল্ল/ বাড়িতে এসে কেটে দেখি সব/ কানা অতুল্য।’  ইন্দিরা গান্ধীকে জুড়ে দিয়ে বলা হতো, ‘ইন্দিরা মাসি বাজায় কাঁসি/ প্রফুল্ল বাজায় ঢোল/ আয় অতুল্য ভাত খাবি আয়/ কানা বেগুনের ঝোল...।’  কংগ্রেসও জ্যোতিবাবুকে জড়িয়ে স্লোগান তুলেছিল:  ‘অনিলা মাসি বাজায় কাঁসি/ জ্যোতি বাজায় ঢোল/ আয় প্রমোদ ভাত খাবি আয়/ মাগুর মাছের ঝোল।’
ততদিনে কংগ্রেসের প্রতীক গাই-বাছুরের বদলে হাত হয়েছে। সিপিএমের তরফে কমরেডরা বললেন, ‘শুনলেও হাসি পায়/ কাটা হাতে ভোট চায়।’ কংগ্রেসও স্লোগান তুলেছিল, ‘সিপিএমের তিনটি গুণ/ লুট, দাঙ্গা, মানুষ খুন।’  বামেদের বিরুদ্ধে এও শোনা গেল, ‘দিনের বেলায় কৌটা নাড়ায়/ রাত্রে করে ফিস্ট/ এরাই আবার চেঁচিয়ে বলে/ আমরা কমিউনিস্ট।’
ভ্রান্তিবিলাসী বঙ্গীয় বামেরা তাঁদের সুদীর্ঘ শাসনকালে অজস্র ভুলের যে রেট্রোস্পেক্টিভ তুলে ধরেছিলেন তার অন্যতম একটা হল রবীন্দ্রনাথকে গালমন্দ করা। মার্কস-স্তালিন-লেলিনে যখন আর কাজ হচ্ছিল না এবং বিলম্বিত বোধদয়ে যখন তাঁরা বুঝলেন বঙ্গবাসীর কাছে রবীন্দ্রনাথ দেবতার মতো, তখন বাধ্য হয়ে তাঁরা রবীন্দ্রভজনায় মগ্ন হলেন। এবং এটা স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় অকপটে শুরু করলেন প্রয়াত জননেতা সুভাষ চক্রবর্তী। ‘আমি তোমাদেরই লোক’ প্রচারের প্রাচুর্যে প্রাবল্যে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে সাধারণ মানুষ ভেবেছিল এটা যেন সুভাষ চক্রবর্তীরই স্লোগান। অথচ রবীন্দ্রনাথের  ‘সেঁজুতি’  কাব্যগ্রন্থের  ‘পরিচয়’  কবিতাটির শেষ চারটি লাইন হল— ‘মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক,/  আমি তোমাদেরই লোক/ আর কিছু নয়,/  এই হোক শেষ পরিচয়।’  এমনকী সুভাষ চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর জনসমুদ্র নিয়ে শেষ যাত্রায়ও এই প্রথম দু’টি লাইনই মুখ্য স্লোগান ছিল। বাম জামানার শেষ দিকে এবং বর্তমানে বামেরা এই হৃদয়াকর্ষী স্লোগানটিকে সেভাবে আর ব্যবহার করতে পারল না।
জ্যোতি বসুর পর যিনি মুখ্যমন্ত্রীর আসনটিতে বসেছিলেন সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অবশ্য দুটো বিখ্যাত স্লোগান আছে। প্রথমটি ছিল বাম আমলে পার্টিবাজির সর্বগ্রাসী সংস্কৃতির কারণে সরকারি কর্মচারীদের তলানিতে পৌঁছানো কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর জন্য। আসলে জ্যোতিবাবুর আমলেই তৈরি হওয়া কর্মবিমুখ এই দলবাজমণ্ডলী যখন বুমেরাং হয়ে ফিরেছিল তখন স্বয়ং জ্যোতিবাবু বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, ‘কাকে কাজ করতে বলব, চেয়ারকে?’
আসলে কাজ করার জন্য চেয়ারে যে কাউকে পাওয়া যেত না! বুদ্ধদেববাবুর আমলেও পার্টিজান কর্মচারীবৃন্দ স্বমহিমায় পল্লবিত। তবে জ্যোতিবাবুর মতো স্বগতোক্তি না করে বুদ্ধবাবু সরাসরি বললেন, ‘ডু ইট নাউ।’ রাতারাতি স্লোগান হিট। কাজের কাজ যা-ই হোক না কেন রসিকতার ছলে হলেও বেশ কিছুদিন এই স্লোগান মানুষের মুখে মুখে ঘুরেছে।
বুদ্ধবাবুর দ্বিতীয় স্লোগানটিও বেশ বিখ্যাত হয়েছিল। কারণ সেটাতে গ্রেট লিপ ফরয়ার্ডের মতো একটা উলম্ফনের গল্প ছিল। ক্রমাগত কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া, নতুন শিল্প স্থাপনে মন্দা, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব যখন দীর্ঘ বাম জামানার ব্যর্থতাকে প্রকট করে তুলেছিল তখন ভোট বৈতরণী পার হওয়ার জন্য বাজারে ছাড়া হয়েছিল সেই স্লোগান: ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ।’  কিন্তু শুকনো কথায় যে চিড়ে ভেজেনি,  বামফ্রন্ট সরকারের ভরাডুবি সেটাই প্রমাণ করেছে।
 
দেশে কংগ্রেস সরকারের আমলে মুদ্রাস্ফীতিকে বড় করে দেখাতে তদানীন্তন জনসঙ্ঘের তরফে যে মজার স্লোগানটি দেওয়া হয়েছিল সেটি হল:  ‘ইয়ে দেখো ইন্দিরা কি খেল,  খা গায়ি সাক্কার পি গায়ি তেল।’  ১৯৮৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে নিষ্প্রভ করে দিয়েছিল ভি পি সিংয়ের  ‘গলি গলি মে শোর হ্যা,  রাজীব গান্ধী চোর হ্যা’  স্লোগান। সেই সময় ওই স্লোগান তো মানুষের মুখে মুখে ফিরত। এই বফর্সের জন্য সরকার হারাতে হয়েছিল রাজীবকে। এই স্লোগান তার জন্য অনেকটা দায়ী।
কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপির উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে নানা রকম স্লোগানেরও জন্ম হয়।  ‘জয় শ্রীরাম’ তো আসমুদ্র হিমাচল জুড়ে বিভিন্ন সময় কম্পন তৈরি করে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দ্বারা হিন্দুত্বের জিগির তোলা স্লোগান ‘বাচ্চা বাচ্চা রাম কা,  জন্মভূমিকা কামকা’, ‘মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে’ ধ্বনিতে তো গোটা দেশ মুখরিত হয়ে ওঠে।
ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি বরাবর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। অযোধ্যার বিতর্কিত মসজিদ ধ্বংসের পর সেই রাজ্যের রাজনীতি যখন  ‘শ্রী রাম’  ধ্বনিতে মুখর তখন মুলায়াম সিং যাদব ও কাঁসিরাম এক জোট হয়ে সরকার গড়েছিলেন। সেই সময় শোনা গিয়েছিল আর এক স্লোগান:  ‘মিলে মুলায়েম কাঁসিরাম,  হাওয়া হো যায়ে জয় শ্রী রাম।’ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস হাতিয়ার করেছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের স্লোগান: ‘জাত পর না পাত পর,  মোহর লাগেগি হাত পর।’ আর অটলবিহারী বাজপেয়িকে সামনে রেখে বিজেপির স্লোগান ছিল: ‘বারি বারি সবকি বারি, আপকি বারি অটলবিহারি।’
আবার বাজপেয়িজির সময়ে সবচেয়ে ফ্লপ স্লোগান হল ‘ইন্ডিয়া শাইনিং।’ ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাজপেয়ি সরকারের দেশের উন্নতির জয়গাঁথা প্রচার হিসেবে বিজেপি সেই স্লোগান তুলেছিল। এতে হিতে বিপরীত হয়েছিল। শুধু নয় ‘কংগ্রেস কা হাত, আম আদমি কা সাথ’, সোনিয়া গান্ধীর এই স্লোগানও  ‘ইন্ডিয়া শাইনিং’-কে টক্কর দিয়েছিল।
২০০৭ সালে ভারতীয় সিনেমার মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনকে জড়িয়ে স্লোগানের বাজার জমে উঠেছিল। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির প্রশংসা করে বচ্চনজি স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘ইউপি মে হ্যায় দম,  কিউকি জুরুম হ্যায় ইহাঁ কম।’ উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন কমিশন বচ্চনজির ব্যাখ্যা চেয়ে তাঁকে নোটিসও পাঠিয়েছিল। যাই হোক, কংগ্রেস এই স্লোগানের পাল্টা দিয়ে বলেছিল: ‘ইউপিমে থা দম, লেকিন কাহাঁ পৌঁছ গায়ে হাম।’
২০১৪ সালের বিজেপির স্লোগান ছিল অব কি বার মোদি সরকার। এই স্লোগান ঝড় তুলেছিল আসমুদ্রহিমাচলে। ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল বিজেপির স্লোগান। যার ফলস্বরূপ তিন দশক পর অকংগ্রেসি কোনও দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লির কুর্সি দখল করে। জনপ্রিয়  ‘আচ্ছে দিন আয়েঙ্গে’  স্লোগানটিও দোসর হয়েছিল সেইসময়। দিল্লির মসনদ দখলের জন্য আর একটা স্লোগান ছিল  ‘মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্নন্যান্স।’ পদ্ম শিবির স্লোগান তুলেছিল, ঘর ঘর মোদি। হর ঘর মোদি...। আর একটা বিখ্যাত তাঁর নির্বাচনী স্লোগান:  ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ।’  আসলে নরেন্দ্র মোদি স্লোগান তৈরিতে মাস্টার। বহু এবং বিচিত্রগামী তাঁর স্লোগান। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় বসে স্লোগান দিলেন  ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’। দেশের কোম্পানিগুলোকে ডাক দেওয়া হল যাতে পণ্য দেশে উৎপন্ন করে গোটা বিশ্বে বিক্রি করতে উদ্যোগী হয়।
পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্তি?  স্বজনপোষণ থেকে রেহাই?  দুর্নীতি-মূল্যবৃদ্ধি-কুশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই?  রোজগার-নিরাপত্তা-শিক্ষা-স্বাস্থ্য-উন্নয়ন? মোদির মতে, সব কিছুরই দাওয়াই একটাই।  ‘ভোট ফর ইন্ডিয়া’। দেশের জন্য ভোট দিন, দলের জন্য নয়। এখন অবশ্য অনেক সময়ই পেশাদাররা স্লোগান তৈরি করেন। আপ কি বার মোদি সরকার,  সম্ভবত তারই ফসল ছিল। যেমন ধরুন এবার বিজেপি স্লোগান তুলেছে, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। অর্থাৎ, পারলে  একমাত্র মোদিই পারেন। বালাকোটে হানার পর দেশভক্তির আবেগকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের সেই রণকৌশল।
উনিশের লোকসভা ভোট শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন বিজেপির নির্বাচনী স্লোগান হবে, ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’। নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে এই স্লোগানের কথা উল্লেখ করে একটি ভিডিও পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইটে লেখেন, ‘আপনাদের চৌকিদার নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে শক্ত হাতে দেশের হাল ধরে আছে। কিন্তু আমি একা নই। যাঁরা সমাজের নোংরা পরিষ্কার করেন,  দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেন, তাঁরা প্রত্যেকে চৌকিদার। যাঁরা প্রতি মুহূর্তে দেশের উন্নতির জন্য পরিশ্রম করেন,  তাঁরা প্রত্যেকে চৌকিদার। আজকে,  প্রত্যেক ভারতীয় বলছেন,  ম্যায় ভি চৌকিদার।’
যদিও এই চৌকিদার প্রসঙ্গেই বিরোধীদের সবথেকে বেশি সমালোচনার মুখে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বারবার মোদিকে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়।’  সম্প্রতি এক সভা থেকে রাফাল চুক্তির কথা তুলে এনে মোদির উদ্দেশে তোপ দাগেন রাহুল গান্ধী। বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে চৌকিদার বলেছিলেন তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তিনি বলেছিলেন কংগ্রেস মুক্ত ভারত বানাবেন। আজকে ‘আচ্ছে দিন আয়েঙ্গে’  স্লোগান পরিবর্তন হয়ে  ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’  স্লোগান হয়ে গিয়েছে।’
আমাদের রাজ্যের জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনেও ছড়িয়ে অসংখ্য বর্ণময় স্লোগান। ২০০১ সালে তাঁর বিখ্যাত স্লোগান  ‘উল্টে দিন, পাল্টে দিন’  বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরির ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাড়া জাগিয়েছিল। ২০০৫ সাল নাগাদ জনগণকে ভরসা জুগিয়ে ভোট বাক্সে প্রতিফলন ঘটানোর ডাক দিয়ে বললেন, ‘চুপচাপ ফুলে ছাপ।’  সেই স্লোগানও আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার মুখে মুখে ফিরেছে। ২০০৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে তাঁর স্লোগান:  ‘হয় এবার, নয় নেভার।’  কিন্তু সেই বছরও ব্যর্থ মনোরথ। অবশেষে ২০১১-র স্লোগান:  ‘বদলা নয়, বদল চাই।’  পশ্চিমবঙ্গবাসী বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলেন একটা স্লোগান কীভাবে পূর্ণতা পায়। তবে, মমতার শ্রেষ্ঠ স্লোগান সম্ভবত ‘মা-মাটি-মানুষ।’  সিপিএমের নেতারা ব্যঙ্গ করে একে যাত্রাপালার সঙ্গে মেলাবার চেষ্টা করলে কী হবে,  এ রাজ্যের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে গিয়েছে এই স্লোগান।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন স্লোগান কী?  কলকাতার পুলিস কমিশনার বনাম সিবিআই দ্বৈরথে জন্ম নেওয়া মমতার ধর্না মঞ্চে ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটারে বড় করে লেখা ছিল  ‘সেভ ইন্ডিয়া।’  এই স্লোগানটির জন্মদাত্রী এবং মোদি তথা বিজেপি বিরোধিতাকে সর্বভারতীয় করে তোলার অন্যতম কারিগর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্লোগানটিকে প্রসারিত করে আর একটা সোজা-সাপটা স্লোগান দিয়েছেন: ‘দেশ বাঁচানা হ্যায় তো মোদিজিকো ভাগানা হ্যায়।’  এর সংক্ষেপিত ভাষ্য অবশ্য তাঁর একাধিক ভাষণে আগেই পেয়েছি। ‘মোদি হটাও দেশ বাঁচাও’।  তবে ২০১৯-এর নির্বাচনে তাঁর মূল স্লোগান  ‘দু’হাজার ঊনিশ,  বিজেপি ফিনিশ।’ 
31st  March, 2019
শতবর্ষে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগে একটি প্রতিবাদ সভায় জেনারেল ডায়ার বিনা প্ররোচনায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন। এ বছর ওই হত্যাকাণ্ডের ১০০ বছর। সেদিনের ঘটনা স্মরণ করলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
বিশদ

14th  April, 2019
প্রথম ভোট
সমৃদ্ধ দত্ত

সকলেই চাইছে লাঙল। ১৯৫১ সালের ১ জুলাই। রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন মিটিং ডেকেছেন। নির্বাচনী প্রতীক বন্টন করা হবে। প্রতিটি দলকে বলা হয়েছিল আপনারা নিজেদের পছন্দমতো প্রতীক নিয়ে আসবেন সঙ্গে করে। সেটা প্রথমে জমা নেওয়া হবে। তারপর স্থির করা হবে কাকে কোন প্রতীক দেওয়া যায়। কিন্তু, মিটিং শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। কারণ প্রায় সিংহভাগ দলেরই পছন্দ লাঙল। কেন?
বিশদ

07th  April, 2019
সিনেমার রাজনীতি
শাম্ব মণ্ডল

সেদিন পোডিয়ামে উঠেই শ্রোতাদের চমকে দিয়ে একটা ডায়লগ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি: ‘হাও ইজ দ্য জোশ?’ এক মুহূর্ত দেরি না করে শ্রোতাদের মধ্যে থেকে সমস্বরে উত্তর এসেছিল ‘হাই স্যর!’ যিনি ডায়লগটা শ্রোতাদের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২০ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়ান সিনেমা-র উদ্বোধনে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখেও তখন ‘উরি’র ক্রেজ।
বিশদ

31st  March, 2019
স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভারতের ভোট
ব্যবস্থার রূপকার সুকুমার সেন
অভিজিৎ দাস

রাস্তাঘাটের দুর্বিষহ দশা। কোথাও আবার রাস্তাই নেই। বিস্তর ঝক্কি পেরিয়ে প্রত্যন্ত গাঁ-গঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছনো। দেশের সিংহভাগ জায়গা টেলি যোগাযোগের বাইরে। এখনও বাকি পড়ে রয়েছে বহু কাজ। তার মধ্যেই বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি হল। তাতে চোখ বুলিয়ে আঁতকে উঠলেন এক বঙ্গসন্তান।
বিশদ

24th  March, 2019
বদলে যাওয়া
ভোট
রজত চক্রবর্তী

 নির্বাচন গ্রামে-গঞ্জে-মফঃস্বলে আগে উৎসবই ছিল। তোরঙ্গ থেকে পাট ভাঙা শাড়ি পরতেন মা-মাসিরা। সেখান থেকে প্রচারে চলে এল ক্যাপশান, ‘গণতন্ত্রের মহান উৎসব নির্বাচন’। এই প্রচারের উল্টোপিঠে ছিল আরও একটি প্রচার। ‘নির্বাচন কোনও উৎসব নয়, আপনার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাবার পদ্ধতি’।
বিশদ

24th  March, 2019
লাগল যে দোল
সন্দীপন বিশ্বাস

বসন্তের প্রকৃতিজুড়ে রংয়ের ঝরনাধারা। শিমুলে, পলাশে সে কী শিহরণ! হৃদয়জুড়ে জেগে ওঠে আকুলতা। রাধার হৃদয়েও জাগে তীব্র প্রত্যাশা। তাঁর মন যেন বলে ওঠে, মাধব, তুমি কোথায়! আমার এই শ্যামহীন বিবর্ণতা মুছে দাও তুমি তোমার স্পর্শে। তোমার স্পর্শেই আছে পৃথিবীর অনন্ত রং। সেসব ছড়িয়ে পড়ুক আমার শরীরে, অন্তরে।
বিশদ

17th  March, 2019
পুরাণে ও ইতিহাসে হোলি

আমরা বলি দোল। উত্তর ভারতের লোকেরা বলেন হোলি। এই হোলি শব্দটি এসেছে হোলিকা থেকেই। হোলিকা হল পুরাণের এক চরিত্র। সে ছিল দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর বোন। স্বভাবে সে ছিল অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির। হিরণ্যকশিপু ছিলেন বিষ্ণুর বিরোধী। তাঁর ছেলে প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুর পরম ভক্ত।  বিশদ

17th  March, 2019
বেলুড় মঠে দোল

ফাগুন সেজে ওঠে পলাশের রংয়ে। শীতের শুষ্কতা এবং গ্রীষ্মের রুক্ষতার মাঝে এ এক নির্মল প্রাকৃতিক আনন্দের সময়কাল। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হয় রং খেলা। অন্যান্য জায়গার মতো বেলুড় মঠেও দোল খেলা হয়। সকলে ফাগের আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু সেই মেতে ওঠাটার ভিতরে মিশে থাকে অন্য এক তাৎপর্য।
বিশদ

17th  March, 2019
 ওয়ার রুম

গোটা ভারত উত্তাল। পাকিস্তানকে জবাব দিতে হবে। মুখের মতো। সাউথ ব্লক। ভারত তথা দিল্লির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং। এটাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স চিফদের অফিস, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর অজিত দোভালের দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চেম্বার। সেকেন্ড ফ্লোর।
বিশদ

10th  March, 2019
অপারেশন বালাকোট
সমৃদ্ধ দত্ত

ডাল লেকের উল্টোদিকের হোটেলের পাশেই সরু রাস্তাটা একটু উপরের দিকে চলে যাচ্ছে। ওটা দিয়ে উঠে দেখা যাবে একজন হাকিমের চেম্বার। সেটারই পিছনে ঘর। কাঠের। মকসুদ যাবে চা আনতে। ছেলেটা অনন্তনাগের। খুবই ভালো। কাশ্মীরিয়াতের আদর্শ একেবারে মনের মধ্যে শিকড়ের মতো প্রোথিত। বিশদ

10th  March, 2019
এবার টার্গেট
মাসুদ আজহার
মৃন্ময় চন্দ

 পড়াশোনার ব্যাপ্তি ক্লাস এইট, লিখে ফেলেছে আটটি বই। সম্পাদনা করে বহুল প্রচারিত একটি ধর্মীয় পত্রিকা। বরাবরই লাদেনের স্নেহ ও আস্থাভাজন। যুদ্ধ করতে গিয়েছে সোমালিয়ায়। মেদবহুল শরীর। গানের গলা ভারী মিষ্টি। সাপের মতই কুটিল-হিংস্র সে। দীর্ঘদিনের সহচরকে হিলহিলে জিঘাংসায় খুন করতে দুবার ভাবে না। ঠিকা নিয়েছে সে, এই বিশ্বকে তারই মত মৌলবাদী মুসলিমের পেলব সুশীতল বাসভূমি করে তুলবে। বিধর্মী কাফের সাফ করে। রেহাই পাবে না এমনকী মুক্তমনা মুসলিমরাও।
বিশদ

03rd  March, 2019
বদলা চাই
প্রীতম দাশগুপ্ত

 জানুয়ারির এক গভীর রাত। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবে শ করল জনা দশেক জঙ্গি। নেতৃত্বে মহম্মদ উমের। সম্পর্কে জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো। প্রত্যেক জঙ্গির হাতেই অত্যাধুনিক অস্ত্র। বিস্ফোরক। এই দলের সঙ্গে যোগ দেয় আব্দুল রশিদ গাজি ওরফে কামরান।
বিশদ

24th  February, 2019
৫০ বছর পেরিয়ে
রাজধানি এক্সপ্রেস
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রিয় স্তুতি,
একটু আগেই ট্রেন ছেড়েছে। টু টায়ারে টিকিট কনফার্মড হয়েছে অবশেষে। আপার বার্থে বসে এই চিঠি লিখছি। সবেমাত্র জলের বোতল দিয়ে গেল ক্যাটারিং স্টাফ রোগা ছেলেটি। মাথায় কালো ক্যাপ। নাম আনন্দ। একটা কথা মনে পড়ল ট্রেনে বসে। সত্যজিৎ রায় কতটা পারফেকশনের শিখরচুড়ায় অবস্থান করতেন তার হাজারো ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ হয়েছে।
বিশদ

17th  February, 2019
ভগবতী ভারতী 
সন্দীপন বিশ্বাস

এক অস্থিরতার মধ্যে দিন কাটছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের। মনের গভীরে তাঁর অনুরণন তুলেছে রামায়ণ মহাকাব্য। তাকে তিনি নবভাষ্যে উপস্থাপিত করতে চান। তা কি সম্ভব! কিন্তু তাঁকে সেই কাব্যকথা নব জাগরণের আলোকে ভাস্বর করে তুলতেই হবে।  বিশদ

10th  February, 2019
একনজরে
লিসবন, ১৮ এপ্রিল (পিটিআই): পর্তুগালে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ২৯ জন জার্মান পর্যটকের। এছাড়াও জখম হয়েছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যস্থল মাদিরা দ্বীপে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে।  ...

 নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল: দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পান্ডিয়া ব্রাদার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৫ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। পঞ্চম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ২৬ বলে তোলেন ৫৪ রান। হার্দিক ১৫ বলে দু’টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার ...

 সুখেন্দু পাল  লাউদোহা, বিএনএ: দেশে প্রকৃত আচ্ছে দিন আনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার ডাক দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অরূপ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার তিনি পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের লাউদোহার জামগড়া গ্রামে জনসভা করেন। এদিন থেকেই অরূপবাবু পশ্চিম বর্ধমানে ...

বিএনএ, কাঁচরাপাড়া: বৃহস্পতিবার ভোরে কাঁচরাপাড়া স্টেশনের কাছে বিবেকানন্দ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লেগে মার্কেটের ১৬৭টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকল বাহিনীর উদাসীনতার জন্য আগুন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু,
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার,
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম,
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু,
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২ 

17th  April, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৬ টাকা ৯২.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.০৭ টাকা ৮০.০২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৩৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৩২ অপঃ ৪/৪২। চিত্রা ৩৫/৩০ রাত্রি ৭/৩০। সূ উ ৫/১৭/৩৬, অ ৫/৫৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে অস্তাবধি, বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
প্রাচীন পঞ্জিকা: ৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৪৩/৪৯ অপঃ ৪/৪৭/৪৩। চিত্রানক্ষত্র রাত্রি ৩৬/২৭/৩৮ রাত্রি ৭/৫৩/১৪, সূ উ ৫/১৮/১১, অ ৫/৫৫/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৪০ গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৭/৩১ গতে ১০/২/১১ মধ্যে, কালবেলা ১০/২/১১ গতে ১১/৩৬/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৬/১১ গতে ১০/১১/৩১ মধ্যে। 
১৩ শাবান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম। বৃষ: প্রেমে সফলতা প্রাপ্তি। মিথুন: শ্বশুরবাড়ির সূত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম ...বিশদ

07:03:20 PM

কেকেআরকে ২১৪ রানের টার্গেট দিল বেঙ্গালুরু  

09:44:38 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ১২২/২(১৫ ওভার) 

09:14:28 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ৭০/২(১০ ওভার) 

08:53:00 PM

টসে জিতে ফিল্ডিং নিল কেকেআর

07:35:32 PM