Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বদলে যাওয়া
ভোট
রজত চক্রবর্তী

নির্বাচন গ্রামে-গঞ্জে-মফঃস্বলে আগে উৎসবই ছিল। তোরঙ্গ থেকে পাট ভাঙা শাড়ি পরতেন মা-মাসিরা। সেখান থেকে প্রচারে চলে এল ক্যাপশান, ‘গণতন্ত্রের মহান উৎসব নির্বাচন’। এই প্রচারের উল্টোপিঠে ছিল আরও একটি প্রচার। ‘নির্বাচন কোনও উৎসব নয়, আপনার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাবার পদ্ধতি’। নব্বইয়ের দশকে যিনি এই কথাটা প্রচার করেছিলেন তিনি টি এন সেশন। তিনি ছিলেন দেশের চিফ ইলেকশন কমিশনার, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত। ভোট প্রক্রিয়ায় নতুন নতুন পদ্ধতি যোগ করে নির্বাচন কমিশনকে এক উচ্চতর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। সাধারণ মানুষকে ভরসা জুগিয়েছিলেন।

১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিন বছরের মধ্যেই ভাবনাটা তৈরি হয়েছিল যে, গণতন্ত্রের নিয়মানুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি স্বয়ংশাসিত সংস্থা গঠন করা প্রয়োজন। ২১ মার্চ ১৯৫০ সালে গঠিত হল নির্বাচন কমিশন। গর্বের বিষয়, প্রথম নির্বাচন কমিশনার ছিলেন একজন বাঙালি। সুকুমার সেন। তিনিই ভারতে প্রথম নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন। ভারতে নির্বাচন তথা ভোটগ্রহণ প্রথম শুরু হয়েছিল ২৫ অক্টোবর ১৯৫১ সালে। আর শেষ হয়েছিল ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে। চার মাস ধরে চলেছিল ভোটগ্রহণ পর্ব। কারণটা ছিল সরকারি লোকের অপ্রতুলতা। দেশ তখন সবে তৈরি হচ্ছে। স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোট। লোকসভা আর বিধানসভা একসঙ্গে ভোট হয়েছিল দেশজুড়ে। দেশের মানুষ প্রথম নিজেরা নির্বাচন করছে তাদের শাসন ক্ষমতায় কারা বসবে। বিষয়টা যতখানি না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি ছিল সাধারণ মানুষের আবেগ। মজার বিষয় ছিল, ভোটগ্রহণ করার জন্য এক একটি ভোটকর্মীর দল বুথে বুথে ঘুরে ঘুরে ভোটের আয়োজন করত। এক একটি দল, দশ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত এক বুথ থেকে অন্য বুথে গিয়ে গিয়ে ভোট নিয়েছে। প্রায় ৩৬ কোটি ভারতবাসীর মধ্যে সেই প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ১৭.৩২ কোটি ভোটার। স্বাধীন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের সেই উচ্চারণ: আমাদের কৃষকরা চাষের কাজে যে বুদ্ধি প্রয়োগ করে, তা আমাদের বিস্মিত করে, সুতরাং এই দরিদ্র ভারতবাসী সঠিকভাবেই ভোটদান করতে পারবে, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু কমিশন সতর্ক। ভোট দিতে গিয়ে যদি গণ্ডগোল করে ফেলে, সেই আশঙ্কায় এক একজন প্রার্থীর জন্য এক একটি ব্যালট বাক্স ছিল। ব্যালট বাক্সের গায়ে লাগানো থাকত নির্দিষ্ট দলের প্রতীক। বাক্সগুলিও নির্দিষ্ট রঙে রাঙানো থাকত। না, তখনও পর্যন্ত আঙুলের ডগায় বেগুনি কালি লাগাবার ব্যবস্থা ছিল না। ১৯৫৭ সালের ভোটেই দেখা গেল ভোটের কারচুপি। একই ভোটার অন্য অন্য নামে একাধিক ভোট দিচ্ছে। কারচুপি রুখতে তৃতীয় লোকসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ১৯৬২ সালে প্রথম ব্যবহার হল বেগুনি কালির চিহ্ন, তর্জনীতে। বিজ্ঞানী ডঃ এম এল গোয়েল দিল্লির ন্যাশনাল ফিজিকাল ল্যাবরেটরির গবেষণাগারে আবিষ্কার করলেন এক অদ্ভুত ধরনের রাসায়নিক কালি যা রৌদ্রের অতি বেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে এলে চামড়ায় দীর্ঘস্থায়ী দাগ রেখে দেয়। সেই কালির দাগ আঙুলে নিয়ে হাসি হাসি গ্রামীণ ভারতবাসীর ছবি আজও উজ্জ্বল সরকারি প্রচারে। ওই টুকুতেই যেন আটকে গেল নির্বাচন কমিশনের কাজ। ভারতের সাধারণ নাগরিকদের কাছে নির্বাচন কমিশনের অস্তিত্ব ছিল অনেকটা কাগজের বাঘের মতো।

হঠাৎ নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় কাগজের শিরোনামে একটি নাম। তিরুনেল্লাই নারায়ন আইয়ার সেশন। সংক্ষেপে টি এন সেশন। চেয়ারে বসেই তিনি দেশকে প্রথমেই জানালেন নির্বাচন আচরণবিধি। নতুন কিছু যে করলেন তা নয়! কিন্তু তার প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে মানুষকে সচেতন করা ও মিডিয়ার মাধ্যমে সর্বজনের গোচরে আনার প্রাথমিক কাজটাই করলেন সেশন। রাজনৈতিক দলগুলিকে বোঝালেন কড়াভাবেই। আর জনগণের উদ্দেশে প্রচার করলেন: ভোট কোনও উৎসব নয়, আপনার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাবার পদ্ধতি। অফিসে তাঁর মন্ত্র ছিল, ‘Zero delay, zero deficiency’ । ১৯৫৫ সালের আইএএসের ব্যাচ। বইপ্রিয়, সত্যনিষ্ঠ মানুষটি ভালোবাসতেন জ্যোতিষশাস্ত্র। চর্চাও করতেন। জ্যোতিষীর কথার বিরুদ্ধে গিয়েই দশ মিনিটের আলাপে বিয়ে করেছিলেন জয়ালক্ষ্মীকে, ১৯৫৮ সালে। জয়ালক্ষ্মী তাঁর জীবনের শেষ সময়ে দেওয়া সাক্ষাতকারে তাঁর ষাট বছরের সঙ্গী সেশন সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘সত্যের খাতিরে উনি স্ত্রীকেও ত্যাগ করতে পারেন’। এটা যে কতখানি সত্য তা টি এন সেশনের চাকরি জীবনের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। একরোখা, টানটান, স্পষ্টবাদী মানুষটিকে সাধারণ মানুষ যত বেশি পছন্দ করেছে, তত বেশি অপছন্দ করেছে দেশের রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা। সামলেছেন নানা দায়িত্ব, নানা সময়েই। তিনি তখন মাদ্রাজের পরিবহণ দপ্তরের ডিরেক্টর। বাসের ইঞ্জিন সারানো, খুলে ফেলা ও লাগানো শিখেছিলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাস গুমটিতে, দিনের পর দিন কাটিয়ে। এমনকী, মাঝরাস্তা থেকে বাসে উঠে ড্রাইভারকে পাশে সরিয়ে দিয়ে ৮০ কিমি রাস্তা বাস চালালেন। সমস্যার ভেতরে প্রবেশ করে উৎপাটন করতে চাইতেন। দেশের প্রশাসনিক সর্বোচ্চ পদ, ক্যাবিনেট সচিব হয়েছিলেন। সততা, সাহস ও দক্ষতার সঙ্গে সামলানোর পর যোজনা কমিশনের সদস্য ছিলেন বেশ কিছুদিন। ১৯৯০ সালে চন্দ্রশেখর তখন প্রধানমন্ত্রী (সাত মাসের জন্য)। তিনি টি এন সেশনকে এই দায়িত্বে বসালেন। চিফ ইলেকশন কমিশনার অব ইন্ডিয়া। তখন সুব্রহ্ম্যণম স্বামী ছিলেন আইনমন্ত্রী। সুব্রহ্ম্যণম স্বামী যখন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াচ্ছেন সেই সময় প্রশাসনিক কোর্স করতে গিয়েছিলেন টি এন সেশন। জহুরির চোখ সুব্রহ্ম্যণমের। তাঁর চোখ ভুল করেনি। তিনি প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরকে টি এন সেশনের নাম প্রস্তাব করেন।

তার আগে সাধারণ মানুষ ভুলেই গিয়েছিল এই কেন্দ্রীয় স্বয়ংশাসিত সংস্থাটির অস্তিত্ব ও গুরুত্ব। একটি স্বয়ংশাসিত সংস্থা তার নিয়মের মধ্যে থেকেও কতখানি কার্যকরী হতে পারে তা দেখালেন শুধু নয়, সংস্থায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন। তখন সংবাদের শিরোনামে রোজ তাঁর নাম। তাঁর সরাসরি কথা বলার সাহস, বাকপটুতা, ক্ষুরধার ব্যঙ্গ তখন ট্রামে-বাসে-ট্রেনের আলোচনার বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলি ক্রমশই খাপ্পা তাঁর আচরণে। আর সেশনের সেই মহান উক্তি, ‘আমি একটি ফুটবলের মতো। যত জোরে লাথি মারবে তত জোরে ঠিকরে আসব’। তাইই ঘটেছিল বাস্তবে। তিনি এবং তাঁর অফিসাররা গোটা দেশের জেলায় জেলায় প্রশাসনিক সভা করলেন। প্রশাসনের যেসব আধিকারিকরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাঁদের বোঝালেন স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা। তিনিই প্রথম হাত দিলেন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে খরচ বেঁধে দেওয়ার প্রয়োগবিধি। সে ক্ষেত্রেও সংবাদ শিরোনামে ছিল তাঁর সেই অসামান্য উক্তি: ‘তু চিজ বড়ি হ্যায় ভ্রষ্ট্ ভ্রষ্ট্’। চটুল হিন্দি সিনেমার গান থেকে সংলাপ উঠে আসত তাঁর কথায়। আর রেভিনিউ সার্ভিসের দক্ষ অফিসারদের নিয়োগ করলেন দেশব্যাপী। রাজনৈতিক দলের প্রতিটি প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে খরচ করার সীমা বেঁধে দেওয়াই শুধু নয়, সেই খরচের সরকারি হিসেব রাখা এবং রাখলেন পুঙ্খানুপুঙ্খ নজরদারি। নির্বাচনের সময় নানারকম টাকা-মদ-উপহার বিলি, যথেচ্ছ গাড়ির ব্যবহার আর মুড়ি-মুরকির মতো টাকা ওড়াবার প্রথা ছিল দেশের প্রায় সব গ্রাম ও অনুন্নত অঞ্চলগুলিতে। কড়া পর্যবেক্ষণ আর কড়া শাস্তির দাওয়াই চালু হল। তিনিই প্রথম চালু করলেন ভিডিওগ্রাফি করে রাখার পদ্বতি। সমস্ত মিটিং, উত্তেজনাপ্রবণ বুথে ভোট গ্রহণ এবং নির্বাচনের সমস্ত ধাপগুলি ভিডিওগ্রাফ করে সংগ্রহে রাখার প্রচলন শুরু করলেন। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল রাজনৈতিক দলগুলি। মডেল কোড অব কন্ডাক্টে লিখিত প্রতিটি আদেশনামা প্রয়োগ করলেন দেশের কোণে কোণে।

১৯৯৩ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১,৪৮৮ জন নির্বাচনের প্রার্থীর নাম বাতিল করা হল শুধু নয়, খরচের তথ্য না দেওয়ার জন্য শাস্তিস্বরূপ তিন বছর তাঁরা কোনও নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না বলে ঘোষণা করা হল। সেশন নিজে ৪০,০০০টি কেস পর্যবেক্ষণ করলেন। তার থেকে ১,৪০০ প্রার্থীর ভোটে অংশগ্রহণ বাতিল করেছিলেন। রাজনৈতিক দলগুলির ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত ছিলেন তিনি। সেই সময় রাজনৈতিক দলগুলি নতুন নতুন আদেশনামায় জেরবার। তার পিছনে সদা জাগ্রত জেনারেল অবজার্ভার ও হিসেব দেখার অবজার্ভার। সেশনের কড়া কড়া নির্দেশানামায় প্রশাসন তটস্থ। দাবি উঠেছিল তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার। রাজনৈতিক দলগুলি তখন তাঁর নাম দিয়েছিল, আল-সেশন (অ্যালসেশিয়ান কুকুরের অপভ্রংশ)। টি এন সেশন স্বভাবসুলভ মজা করে এক ইন্টারভিউতে বললেন, ‘আমি একটিও কমা, কোলন, সেমি-কোলন বা ফুলস্টপ যোগ করিনি কোনও আইনে। আমি শুধুমাত্র আইনে যা আছে তার প্রয়োগ করেছি মাত্র’। আসলে ‘অবজার্ভার’ বিষয়টিকেই গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিলেন সেশনই। নির্বাচনের সময় রাজ্যের প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দল ব্যতিব্যস্ত ‘অবজার্ভার’ শব্দেই। দেশজুড়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ‘সেশন’ নামেই ‘সেনসেশন’ শুরু হল। শুরু হল বিষোদ্গার। ‘ডিক্টেটর সেশন’ থেকে শুরু করে ‘পাগল’, ‘পাগলা কুকুর’ নানা অপবাদ তাঁর জুটেছিল। কিন্তু তিনি অনড়। সৎ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষতা তাঁর মন্ত্র। রাজনৈতিক নেতারা, বিশেষত পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্যরা তাঁকে দু’বার সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ১৯৯৩ সালে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে তাঁদের সেই চেষ্টা। তাঁর ক্ষমতা খর্ব করার জন্য সংবিধান সংশোধন করে তিনজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নিয়ম করা হল। সে সংশোধনীতে, নির্বাচন কমিশনের যে কোনও সিদ্ধান্ত কমপক্ষে দু’জনের সহমতে গ্রহণ করার কথা বলা হল। তাঁর সহযোগী দু’জনকে নিয়োগ করা হল। তাঁরা হলেন এম এস গিল এবং সি কৃষ্ণমূর্তি। সেশন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলেন। জিতলেন। এম এস গিল এবং কৃষ্ণমূর্তি তাঁকে সাহায্য করবে, কিন্তু একক সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশনার। এই মর্মে রায় দিল সর্বোচ্চ আদালত। সেশন ফিরে এলেন প্রবল বিক্রমে। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করার লক্ষ্যে। যত জোরে ‘কিক’ করা হল, প্রবল বিক্রমে ‘বাউন্স ব্যাক’ করলেন তত জোরেই।

ভোটার আইডি কার্ড। ভারতের নির্বাচন ইতিহাসে একটি মাইল-ফলক। ভোটার সুরক্ষার নব বিধান। নির্বাচন কমিশনারের সর্বোচ্চ পদে আসীন হওয়ার পরেই যে বিষয়গুলি চিহ্নিত করেছিলেন সেশন, তারমধ্যে অন্যতম ছিল নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং ভোটারদের নির্দ্দিষ্ট পরিচয়পত্র তৈরি করা। তার সঙ্গে ছিল নির্বাচন কেন্দ্র পুনর্গঠন (Delimitation) এবং ভোটার তালিকা ঝাড়াই-বাছাই। বাধাদান ও আপত্তি এসেছিল সব রাজনৈতিক স্তর থেকেই। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল এই গরিব দেশে এই কাজে অনর্থক অর্থ অপচয় করছেন সেশন। আর এই অর্থ অপচয়ের অপবাদকে অগ্রাধিকার দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল সবকটি দল। যখন সেশন ঘোষণা করলেন, ভারতের সকল ভোটারদের জন্য ছবিসহ ভোটার পরিচয়পত্র তৈরি করতে হবে সরকারকে। আর তা হবে নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে। ১৯৯৩ সালের মাঝামাঝি সময়ের এই ঘোষণা জানানো হল কেন্দ্রীয় সরকারকে। আঠারো মাস কেটে গেল সরকার ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে কোনও আইন প্রণয়ন করল না। সরকারের কোনও গরজ লক্ষ্য করলেন না সেশন। কোনও রাজনৈতিক দলেরও কোনও গরজ দেখা গেল না। অবশেষে সেশনের ঘোষণা, ‘…if voter identity cards were not issued, no election would be held after January 1, 1995.’ তাই করলেন তিনি। দেশের নানা প্রান্তে বিধানসভা ও লোকসভার উপনির্বাচনগুলি আটকে রইল। সেশন অনড়। শেষ পর্যন্ত আবার সুপ্রিম কোর্টে গেল বিষয়টি। নির্বাচন বন্ধ রাখা যায় না। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিল সেশনের EPIC বা Electoral Photo Identity Card-এর পক্ষে। দেশজুড়ে শুরু হল ভোটার আইডি কার্ড তৈরির ধুম। বুথে বুথে লাইন। ছবি উঠছে একের পর এক ভোটারদের। কর্মযজ্ঞ। ভোটার কার্ড। ১৯৯৬ সালে সেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই ভারতের প্রায় দু’কোটি ভোটারের ভোটার কার্ডের কাজ শেষ করেছিলেন সেশন। তারপর তো ইতিহাস। আধার কার্ড আসার আগে ভোটার কার্ড ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকত্বের প্রমাণ। এখনও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণ মানুষের কাছে টি এন সেশন অত্যন্ত জনপ্রিয় এক মানুষের নাম, কিন্তু রাজনীতির মানুষদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা কতটা তলানিতে ঠেকেছিল তার প্রমাণ পেলেন সেশন নিজেই। ১৯৯৭ সাল। দেশের দশম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। কংগ্রেসের প্রার্থী, কে আর নারায়ণন আর নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালেন টি এন সেশন। চাকরি তাঁর শেষ। স্বপ্ন তাঁর, দেশকে তৈরি করবেন। আবার শুরু করলেন ঘুরে বেড়ানো একা। একক সৈনিক। যে বাড়িতে একসময় সাংবাদিকরা ভিড় করে থাকত, সেশন নিজে হাতে পরিবেশন করতেন ইডলি-ধোসা আর বাটার মিল্ক, সেই বাড়ি থেকে সরে গিয়েছে সংবাদমাধ্যমের নজর। একা সেশন প্রত্যেক রাজ্যের প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কাছে গিয়েছিলেন। প্রত্যেকের কাছে তিনি চেয়েছিলেন আশীর্বাদ, শুভেচ্ছা ও সমর্থন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি দেশকে দূর্নীতি মুক্ত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কোনও রাজনৈতিক দল তাঁকে সমর্থন করেনি। কোনও নেতার সমর্থন পাননি তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হলেন কে আর নারায়ণন। মোট ভোটার ছিল ৪,৮৪৮ জন। কে আর নারায়ণন পেয়েছিলেন ৪,২৩১টি ভোট আর সেশন পেয়েছিলেন মাত্র ২৪০টি ভোট। পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪টি ভোটের মধ্যে নারায়ণন পেয়েছিলেন ২৭২ জনের সমর্থন আর সেশন পেয়েছিলেন ৫ জনের ভোট। বোঝাই যায় সরকার বা বিরোধী, সকল রাজনীতির কারবারিদের কাছে কতটা অপ্রিয় ছিলেন তিনি। সবাই বক্তৃতার মঞ্চে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচনের দাবি করে বটে, কিন্তু কোনও দল কি চায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক?

তাই তো গোটা দেশে আজও চলতেই থাকে চাপান-উতোরের রাজনীতি। চলতেই থাকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার স্বাধীনতাকে হরণ করার তাল-বেতাল রাজনীতি। এক অদ্ভুত লুকোচুরি খেলা চলে নির্বাচন কমিশান ও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। নিত্যনতুন প্রদ্ধতির উদ্ভাবন কি এই সমস্যার সমাধান আনতে পারবে? নাকি এই সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে স্বয়ংশাসিত সংস্থা আসলে প্রকারান্তরে থেকে যাবে শাসকের শাসিত সংস্থা হিসেবে? প্রশ্নগুলো সহজ। উত্তরের অপেক্ষায় প্রায় নব্বই কোটি ভোটার। যাঁরা বুথে বুথে রোদ-জল-ধোঁয়া-বারুদ-রক্তচোখ উপেক্ষা করে দাঁড়াবেন নিজের ভোট নিজে দিতে। তর্জনীর নখের উপর দিয়ে বেগুনি রেখায় ঝরে পড়বে তাদের ঝকঝকে হাসি। কোটি, অযুত, নিযুত সরল উজ্জ্বল চোখ তাকিয়ে আছে অবাধ, নিরপেক্ষ, ও শান্তিপূর্ণ ১৭ তম লোকসভা ভোটের দিকে।
24th  March, 2019
শতবর্ষে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগে একটি প্রতিবাদ সভায় জেনারেল ডায়ার বিনা প্ররোচনায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন। এ বছর ওই হত্যাকাণ্ডের ১০০ বছর। সেদিনের ঘটনা স্মরণ করলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
বিশদ

14th  April, 2019
প্রথম ভোট
সমৃদ্ধ দত্ত

সকলেই চাইছে লাঙল। ১৯৫১ সালের ১ জুলাই। রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন মিটিং ডেকেছেন। নির্বাচনী প্রতীক বন্টন করা হবে। প্রতিটি দলকে বলা হয়েছিল আপনারা নিজেদের পছন্দমতো প্রতীক নিয়ে আসবেন সঙ্গে করে। সেটা প্রথমে জমা নেওয়া হবে। তারপর স্থির করা হবে কাকে কোন প্রতীক দেওয়া যায়। কিন্তু, মিটিং শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। কারণ প্রায় সিংহভাগ দলেরই পছন্দ লাঙল। কেন?
বিশদ

07th  April, 2019
সিনেমার রাজনীতি
শাম্ব মণ্ডল

সেদিন পোডিয়ামে উঠেই শ্রোতাদের চমকে দিয়ে একটা ডায়লগ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি: ‘হাও ইজ দ্য জোশ?’ এক মুহূর্ত দেরি না করে শ্রোতাদের মধ্যে থেকে সমস্বরে উত্তর এসেছিল ‘হাই স্যর!’ যিনি ডায়লগটা শ্রোতাদের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২০ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়ান সিনেমা-র উদ্বোধনে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখেও তখন ‘উরি’র ক্রেজ।
বিশদ

31st  March, 2019
ভোট মানেই তো
স্লোগানের ছড়াছড়ি
কল্যাণ বসু

ভোটের মাঠে হরেক রকমের সুর। স্লোগানে মেলে ছড়ার ছন্দ। গ্রাম-শহরের অলি-গলি ছাপিয়ে রাজপথে মাইকে ভাসে সেই ছন্দময় স্লোগান। চলে স্লোগান নিয়ে শাসক-বিরোধীর আকচা-আকচিও। বহু স্লোগান দাগ কেটে যায় দেশের মাটিতে। বহুকাল টিকে থাকে তার স্মৃতিও। দেশের সৈনিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ১৯৬৫ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর স্লোগান ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’ আজও তো কত ইতিহাসের সাক্ষী। 
বিশদ

31st  March, 2019
স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভারতের ভোট
ব্যবস্থার রূপকার সুকুমার সেন
অভিজিৎ দাস

রাস্তাঘাটের দুর্বিষহ দশা। কোথাও আবার রাস্তাই নেই। বিস্তর ঝক্কি পেরিয়ে প্রত্যন্ত গাঁ-গঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছনো। দেশের সিংহভাগ জায়গা টেলি যোগাযোগের বাইরে। এখনও বাকি পড়ে রয়েছে বহু কাজ। তার মধ্যেই বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি হল। তাতে চোখ বুলিয়ে আঁতকে উঠলেন এক বঙ্গসন্তান।
বিশদ

24th  March, 2019
লাগল যে দোল
সন্দীপন বিশ্বাস

বসন্তের প্রকৃতিজুড়ে রংয়ের ঝরনাধারা। শিমুলে, পলাশে সে কী শিহরণ! হৃদয়জুড়ে জেগে ওঠে আকুলতা। রাধার হৃদয়েও জাগে তীব্র প্রত্যাশা। তাঁর মন যেন বলে ওঠে, মাধব, তুমি কোথায়! আমার এই শ্যামহীন বিবর্ণতা মুছে দাও তুমি তোমার স্পর্শে। তোমার স্পর্শেই আছে পৃথিবীর অনন্ত রং। সেসব ছড়িয়ে পড়ুক আমার শরীরে, অন্তরে।
বিশদ

17th  March, 2019
পুরাণে ও ইতিহাসে হোলি

আমরা বলি দোল। উত্তর ভারতের লোকেরা বলেন হোলি। এই হোলি শব্দটি এসেছে হোলিকা থেকেই। হোলিকা হল পুরাণের এক চরিত্র। সে ছিল দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর বোন। স্বভাবে সে ছিল অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির। হিরণ্যকশিপু ছিলেন বিষ্ণুর বিরোধী। তাঁর ছেলে প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুর পরম ভক্ত।  বিশদ

17th  March, 2019
বেলুড় মঠে দোল

ফাগুন সেজে ওঠে পলাশের রংয়ে। শীতের শুষ্কতা এবং গ্রীষ্মের রুক্ষতার মাঝে এ এক নির্মল প্রাকৃতিক আনন্দের সময়কাল। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হয় রং খেলা। অন্যান্য জায়গার মতো বেলুড় মঠেও দোল খেলা হয়। সকলে ফাগের আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু সেই মেতে ওঠাটার ভিতরে মিশে থাকে অন্য এক তাৎপর্য।
বিশদ

17th  March, 2019
 ওয়ার রুম

গোটা ভারত উত্তাল। পাকিস্তানকে জবাব দিতে হবে। মুখের মতো। সাউথ ব্লক। ভারত তথা দিল্লির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং। এটাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স চিফদের অফিস, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর অজিত দোভালের দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চেম্বার। সেকেন্ড ফ্লোর।
বিশদ

10th  March, 2019
অপারেশন বালাকোট
সমৃদ্ধ দত্ত

ডাল লেকের উল্টোদিকের হোটেলের পাশেই সরু রাস্তাটা একটু উপরের দিকে চলে যাচ্ছে। ওটা দিয়ে উঠে দেখা যাবে একজন হাকিমের চেম্বার। সেটারই পিছনে ঘর। কাঠের। মকসুদ যাবে চা আনতে। ছেলেটা অনন্তনাগের। খুবই ভালো। কাশ্মীরিয়াতের আদর্শ একেবারে মনের মধ্যে শিকড়ের মতো প্রোথিত। বিশদ

10th  March, 2019
এবার টার্গেট
মাসুদ আজহার
মৃন্ময় চন্দ

 পড়াশোনার ব্যাপ্তি ক্লাস এইট, লিখে ফেলেছে আটটি বই। সম্পাদনা করে বহুল প্রচারিত একটি ধর্মীয় পত্রিকা। বরাবরই লাদেনের স্নেহ ও আস্থাভাজন। যুদ্ধ করতে গিয়েছে সোমালিয়ায়। মেদবহুল শরীর। গানের গলা ভারী মিষ্টি। সাপের মতই কুটিল-হিংস্র সে। দীর্ঘদিনের সহচরকে হিলহিলে জিঘাংসায় খুন করতে দুবার ভাবে না। ঠিকা নিয়েছে সে, এই বিশ্বকে তারই মত মৌলবাদী মুসলিমের পেলব সুশীতল বাসভূমি করে তুলবে। বিধর্মী কাফের সাফ করে। রেহাই পাবে না এমনকী মুক্তমনা মুসলিমরাও।
বিশদ

03rd  March, 2019
বদলা চাই
প্রীতম দাশগুপ্ত

 জানুয়ারির এক গভীর রাত। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবে শ করল জনা দশেক জঙ্গি। নেতৃত্বে মহম্মদ উমের। সম্পর্কে জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো। প্রত্যেক জঙ্গির হাতেই অত্যাধুনিক অস্ত্র। বিস্ফোরক। এই দলের সঙ্গে যোগ দেয় আব্দুল রশিদ গাজি ওরফে কামরান।
বিশদ

24th  February, 2019
৫০ বছর পেরিয়ে
রাজধানি এক্সপ্রেস
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রিয় স্তুতি,
একটু আগেই ট্রেন ছেড়েছে। টু টায়ারে টিকিট কনফার্মড হয়েছে অবশেষে। আপার বার্থে বসে এই চিঠি লিখছি। সবেমাত্র জলের বোতল দিয়ে গেল ক্যাটারিং স্টাফ রোগা ছেলেটি। মাথায় কালো ক্যাপ। নাম আনন্দ। একটা কথা মনে পড়ল ট্রেনে বসে। সত্যজিৎ রায় কতটা পারফেকশনের শিখরচুড়ায় অবস্থান করতেন তার হাজারো ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ হয়েছে।
বিশদ

17th  February, 2019
ভগবতী ভারতী 
সন্দীপন বিশ্বাস

এক অস্থিরতার মধ্যে দিন কাটছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের। মনের গভীরে তাঁর অনুরণন তুলেছে রামায়ণ মহাকাব্য। তাকে তিনি নবভাষ্যে উপস্থাপিত করতে চান। তা কি সম্ভব! কিন্তু তাঁকে সেই কাব্যকথা নব জাগরণের আলোকে ভাস্বর করে তুলতেই হবে।  বিশদ

10th  February, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বৃহস্পতিবার নবদ্বীপের গ্রামীণ এলাকায় রোড-শো করে ভোটপ্রচার করলেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এদিন সকাল ৮টা থেকে হুডখোলা জিপে চেপে মায়াপুর থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। বাইকে চেপে প্রচুর কর্মী-সমর্থক প্রার্থীর সঙ্গে রোড-শোয়ে শামিল হন। ...

  সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: বৃহস্পতিবার নির্বিঘ্নে ই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল মেখলিগঞ্জ মহকুমায়। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার দু’টি ব্লক মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে পড়েছে। ...

লিসবন, ১৮ এপ্রিল (পিটিআই): পর্তুগালে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ২৯ জন জার্মান পর্যটকের। এছাড়াও জখম হয়েছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যস্থল মাদিরা দ্বীপে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে।  ...

নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল (পিটিআই): অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী ক্রিশ্চিয়ান মিচেলের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। পরিবারের সঙ্গে ইস্টার উৎসব উদযাপন করতে সাতদিনের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছিলেন মিচেল।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু,
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার,
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম,
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু,
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২ 

17th  April, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৬ টাকা ৯২.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.০৭ টাকা ৮০.০২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৩৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৩২ অপঃ ৪/৪২। চিত্রা ৩৫/৩০ রাত্রি ৭/৩০। সূ উ ৫/১৭/৩৬, অ ৫/৫৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে অস্তাবধি, বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
প্রাচীন পঞ্জিকা: ৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৪৩/৪৯ অপঃ ৪/৪৭/৪৩। চিত্রানক্ষত্র রাত্রি ৩৬/২৭/৩৮ রাত্রি ৭/৫৩/১৪, সূ উ ৫/১৮/১১, অ ৫/৫৫/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৪০ গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৭/৩১ গতে ১০/২/১১ মধ্যে, কালবেলা ১০/২/১১ গতে ১১/৩৬/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৬/১১ গতে ১০/১১/৩১ মধ্যে। 
১৩ শাবান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম। বৃষ: প্রেমে সফলতা প্রাপ্তি। মিথুন: শ্বশুরবাড়ির সূত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম ...বিশদ

07:03:20 PM

কেকেআরকে ২১৪ রানের টার্গেট দিল বেঙ্গালুরু  

09:44:38 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ১২২/২(১৫ ওভার) 

09:14:28 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ৭০/২(১০ ওভার) 

08:53:00 PM

টসে জিতে ফিল্ডিং নিল কেকেআর

07:35:32 PM