ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
বৈদিক ভিলেজ স্পা রিসর্টে কেক মিক্সিং
এসে গিয়েছে শীতের মরশুম। আর শীত মানেই কেক। কিন্তু কেক তৈরির আগে চাই কেক মিক্সিং। সম্প্রতি বৈদিক ভিলেজ স্পা রিসর্টে কেক মিক্সিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। এটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এক অনুষ্ঠান। বিভিন্ন ধরনের ফল, বাদাম, শস্য, প্রয়োজনীয় মশলা, পনেরোটিরও বেশি ধরনের শুকনো ফল সঠিক অনুপাতে মিশিয়ে রাম, ওয়াইন, ফলের রস এবং সিরাপে ভিজিয়ে রাখা হয়। কেক মিক্সিং এখন বিশ্বজুড়ে একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। প্লাম পুডিং ও ফ্রুট কেক তৈরির এইসব উপকরণ ৬-৮ সপ্তাহ ভিজিয়ে রেখে বড়দিনের আগের দিন বেক করা হয়। ১৯ নভেম্বর ফাউন্টেন ফাউন্ডেশনের বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে এবারের এই মিক্সিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন নীরজ শাহ (এমডি বৈদিক ভিলেজ স্পা রিসর্ট), রাজীব রায়চৌধুরী (সিনিয়র জিএম, বৈদিক ভিলেজ স্পা রিসর্ট), সায়রা শাহ হালিম, রাজলক্ষ্মী শ্যাম, মনোজ মিশিগান, ধীমান দাস, ইন্দ্রনীল দে, সৌভনিক দত্ত, দেবযানী গঙ্গোপাধ্যায়, সুদর্শন চক্রবর্তী প্রমুখ।
শহরে সোডাবটল ওপেনারওয়ালা
কলকাতায় খুলে গেল সোডাবটল ওপেনারওয়ালা। বম্বে ইরানি ক্যাফে অ্যান্ড বারের নবম আউটলেট এটি। মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদের পর কলকাতা হল পঞ্চম শহর যেখানে এই আউটলেট খুলল।
রোম, ভেনিস, প্যারিস, নিউ ইয়র্ক এবং অন্যান্য সমস্ত সংস্কৃতি সচেতন শহরগুলির ক্যাফে কালচারের মতো তৎকালীন বম্বে শহরের নিজস্ব ইরানি ক্যাফে কালচার ছিল। এই ক্যাফেগুলি ছিল বোম্বাইয়ের বিখ্যাত ফুড কালচারের কেন্দ্রবিন্দু। শহরটিকে একটি আলাদা পরিচয় দিয়েছিল এই ধরনের ক্যাফে। দুঃখজনকভাবে এসব প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি। দ্রুত হারিয়ে যাওয়া এই ক্যাফে সংস্কৃতি জিইয়ে রাখার লক্ষ্যে রকমারি সুস্বাদু খাবার, ককটেল এবং অন্যান্য পানীয় ও বেকারি আইটেম এবং ডেজার্টের সম্ভার নিয়ে এসেছে এই প্রতিষ্ঠান। যার সবই সুপ্রাচীন বম্বে ইরানি ক্যাফে কালচারের নস্টালজিয়াকে ফিরিয়ে আনবে।
বম্বের স্ট্রিট ফুড এবং ঐতিহ্যবাহী পার্সি খাবারের দ্বারা অনুপ্রাণিত এই ক্যাফেতে পাবেন বেরি পোলাও, বোহরি কিমা পাও, চিকেন বাইদা রোটি, ভেন্ডি বাজার, শিক পরোটা ইত্যাদি। পারসি মেনুতে রয়েছে ধানশাক, সল্লি চিকেন, প্যাতিও এবং পত্রানি মচ্ছি। পার্সিরা ডিম পছন্দ করেন তাই, মেনুতে রয়েছে রকমারি ডিমের রেসিপি— ক্লাসিক আকুরি থেকে বান অমলেট সবই। এছাড়াও এখানে পার্সি পানীয়ের সম্ভারও পাবেন। সিগনেচার ককটেলগুলির মধ্যে আছে আম পান্না, রাস্পবেরি বিয়ার ককটেল ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে কালা খাট্টা, ক্লাসিক ইরানি চা। এই ব্র্যান্ডটি ইরানিয়ান বেকারি এবং ডেজার্ট মেনুও পরিবেশ করছে। যার মধ্যে পাবেন মাওয়া কেক, ক্যারামেল কাস্টার্ড, বান মাস্কা, খারি, নানখাটাই, শ্রুসবারি বিস্কুট, জিঞ্জার বিস্কুট ইত্যাদি।
আইবিস কলকাতায় কেক মিক্সিং
কেক মিক্সিং শীতের মরশুমে উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে। সম্প্রতি কলকাতা রাজারহাটের আইবিস হোটেল করোনার যাবতীয় নিরাপত্তা বিধি মেনে কেক-মিশ্রণ অনুষ্ঠান উদযাপন করেছে। অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা, ফলক রশিদ রায়, নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার সুদর্শন চক্রবর্তী, লোকসঙ্গীত শিল্পী দীপান্বিতা আচার্য, ফ্যাশন ডিজাইনার ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা রেসপন্স গ্রুপের ডিরেক্টর গুরবীর আলুওয়ালিয়া, ইজি নোট প্রাইভেট লিমিটেডের শালিনী বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, আইবিস কলকাতা রাজারহাটের জেনারেল ম্যানেজার অজিত জোস বলেন, ‘কেক মিক্সিং বড়দিনের উৎসব শুরুর ঐতিহ্য। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ফল ও মশলাকে সুরার মিশ্রণে রেখে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। তারপর বড়দিনের আগে তৈরি করা হয় কেক। এই অনুষ্ঠানটিকে সৌভাগ্য এবং আনন্দময় সময়ের শুভসূচনা বলে মনে করা হয়।’
লর্ড অব দ্য ড্রিংকসে পিৎজা ফেস্ট
সাউথ সিটি মল-এ লর্ড অব দ্য ড্রিংকসে ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে পিৎজা ফেস্ট। দুর্দান্ত সুস্বাদু পিৎজার অসাধারণ সব মেনু পাবেন এখানে। যা আপনি আগে চেখেই দেখেননি কখনও, দাবি সংস্থার। মেনুতে পাবেন কাসুন্দি পনির পিৎজা (ঘরে তৈরি কাসুন্দি আর কটেজ চিজ সহ) দাম ৪৭৫ টাকা, গন্ধরাজ চিকেন পিৎজা (গন্ধরাজ লেবুর রসে ভেজানো চিকেন আর মোজারেলা চিজ সহ) দাম ৫২৫ টাকা, ট্যাংরা চিলি চিকেন পিৎজা (ট্যাংরা এলাকার রন্ধনশৈলীতে তৈরি চিকেন, চিজ, স্প্রিং অনিয়ন সহ) দাম ৫৩৫ টাকা, কষা মাংস পিৎজা (বিভিন্ন মশলা, ইয়োগার্টে ম্যারিনেট করা মাটন, ধনেপাতা, গ্রিলড অনিয়ন, আর মোজারেলা সহ) দাম ৬২৫ টাকা, ডাব চিংড়ি পিৎজা (চিংড়ি আর নারকেলের মিশ্রণে তৈরি চিজ, কাসুন্দি সহযোগে এই রেসিপি এক্কেবারে বাঙালিয়ানায় ভরপুর) দাম ৬৭৫ টাকা, চকোলেট সন্দেশ পিৎজা (শেফস স্পেশাল রেসিপির এই পিৎজা খাওয়ার শেষে বাঙালিদের মিষ্টি মুখের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম) দাম ৪৪৫ টাকা। উপরি পাওনা, এই ফেস্টিভ্যালে বিভিন্ন স্বাদের পিৎজার সঙ্গে থাকছে দারুণ পিৎজা ক্রাস্ট, জিভে জল আনা পিৎজা স্যস, এবং মুখরোচক টপিং।
লর্ড অফ দ্য ড্রিঙ্কস প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে।
জে ডব্লু ম্যারিয়টে কেক মিক্সিং
বাইবেলের সময় থেকেই কেক মিক্সিং ছিল ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক প্রথা। বড়দিনের এক মাস আগেই শুরু হয়ে যায় কেক মিক্সিং। তাই প্রতি বছরের মতো এবারেও কলকাতার জে ডব্লু ম্যারিয়ট হোটেল আয়োজন করেছিল কেক মিক্সিংয়ের।
কেক বেক করার অনেক আগে, বিভিন্ন উপাদান যেমন ড্রাই ফ্রুটস, চেরি, বাদাম, খেজুরকে ব্র্যান্ডি, রাম এবং ওয়াইনের মতো সুরায় জারিত করা হয়। তারপর ক্রিসমাসের আগের দিন তৈরি করা হয় সুস্বাদু কেক। জে ডব্লু ম্যারিয়ট কলকাতা হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার সুমিত সুরি জানান, ‘কেক মিক্সিং খুবই ঐতিহ্যশালী এক রীতি। এই প্রথা এখন অতিথি এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে ক্রিসমাস কেক বেক করার আনন্দ নিয়ে এসেছে।’