Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুজোয় অনলাইন প্রক্সি
অতনু বিশ্বাস

প্রক্সি তো কত রকমের হয়। কলেজের ক্লাসে হয় আপনি কোনও সহপাঠীর প্রক্সি দিয়েছেন, অথবা আপনার প্রক্সি কেউ দিয়ে দিয়েছে। এর কোনওটাই না হলে কিন্তু কলেজ জীবনের বারো আনাই মাটি। (ষোল আনা লিখেও যত্ন করে কেটে বারো আনা করলাম। মনে হল, আমাদের সমাজ-ব্যবস্থায় কলেজ জীবনে হইহই করে উপভোগ করাটাই মূল উদ্দেশ্য বলে লিখলে বিপদ আছে।) কিন্তু তা বলে পুজোতেও প্রক্সি? সশরীরে উপস্থিত থাকার পরিবর্তে অন্তর্জালে উপস্থিতি। কিন্তু তাও কি সম্ভব? হ্যাঁ, সে রকম ব্যবস্থাই তো হচ্ছে আজকাল। সযত্নে। এবং সাড়ম্বরে। কলকাতার বাছাই করা কিছু পুজোতে।
বিষয়টা একটু খতিয়ে দেখা যাক। সশরীরে না এসেও অনলাইনে পুজোতে অংশ নেবার সুযোগ এতদিন ছিল অবশ্যই। কিন্তু তা সীমাবদ্ধ ছিল বড় বড় মন্দিরের ক্ষেত্রেই। যেমন তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরে, কিংবা সিদ্ধিবিনায়ক গণপতি মন্দিরে। তার দিগন্ত এবার প্রসারিত হল কলকাতার প্রাণের উৎসব দুর্গা পুজোতেও। এইমাত্র। আইডিয়ার গ্লোবালাইজেশন তো এভাবেই হয়। জনগণের চাহিদা এবং সুবিধার সঙ্গে ব্যবসায়ের সুনিপুণ যোগসূত্রের মধ্য দিয়ে। কলকাতার পুজোর ক্ষেত্রে আপাতত এক প্রাইভেট কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় হয়েছে এর শুরু। এদের আকাশপাতায় দেওয়া হয়েছে এই অনলাইনে পুজো উপভোগের সুযোগ। আপাতত চুক্তি হয়েছে কলকাতার তিনটে বড় পুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে। অনলাইনে করা যাবে এই পুজোগুলির দর্শন, পুষ্পাঞ্জলি, এমনকী ডালা এবং প্রণামী দেবার ব্যবস্থাও। আকাশপাতায় এই দর্শন হবে বিনামূল্যে। দর্শন মানে কিন্তু সোজাসাপ্টা শুধুমাত্র প্রতিমা দেখাই নয়। সেখানে রয়েছে ক্যামেরা এবং টেকনোলজির উৎকর্ষের প্রতিশ্রুতি। বাজার অর্থনীতির এটাই শর্ত। আগামী দিনে এক্ষেত্রে তীব্র ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা আসা শুধু হয়তো সময়ের অপেক্ষা। যাই হোক, আকাশপাতায় পুষ্পাঞ্জলিও বিনামূল্যে। ডালা এবং প্রণামী দেওয়া যাবে কার্ডে বা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে। শুধু মিষ্টি হলে ৫০১ টাকা, মিষ্টি আর ফল হলে ১০০১, আর তাতে শাড়ি, আলতা, সিঁদুর যোগ হলে ২১০০। ডালায় ফল, মিষ্টি, শাড়ি, সিঁদুরের সাথে উপভোক্তার নাম ও গোত্র জানাবার ব্যবস্থাও একেবারে পাকা। পুজো বলে কথা। ঠিক যেমনটা হয় আর কী। কলকাতার বাইরের কেউ অর্ডার দিলে ডালা পৌঁছে দেওয়া হবে কলকাতায় তার কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে।
প্রচেষ্টাটায় বেশ চমক আছে নিঃসন্দেহে। পুজোতে এই অনলাইন প্রক্সির ইতিবৃত্ত যে প্রবাসী এবং অনাবাসী বাঙালিদের কলকাতার পুজোর আওতায় আনার একটা প্রচেষ্টা, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে একে প্রবাসী কিংবা অনাবাসীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে, তার কোনও বাধ্যবাধকতা অবশ্যই নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে যাঁরা বৃদ্ধ, অসুস্থ, অশক্ত, ভিড়ভাট্টায় পুজো প্যান্ডেলে ঘুরতে অসমর্থ, তাঁরাও তো দিব্যি ভার্চুয়াল পুজোর শরিক হতে পারেন। আর শুধু যাঁরা অসমর্থ তাঁরাই বা কেন, যাঁরা ভিড়ের স্রোতে অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাঁরাও কেন নন? কে আটকাচ্ছে?
এটা প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তি যে কতটা বিস্তৃত হয়েছে, এবং প্রতি মুহূর্তে ছড়িয়ে চলেছে তার ডানা, তার হদিশ পাওয়াই মুশকিল। সত্যি বলতে কী, টেকনোলজির যা রমরমা, স্বশিক্ষার মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেমন দুর্বার গতিতে ছাপিয়ে নিয়ে চলেছে নিজেকেই, ভবিষ্যতে এই ভার্চুয়াল জগতের পুজোয় কী কী অবাক-করা অজানা বিপ্লব আসতে চলেছে, তা অনুমান করাও অসম্ভব। এমন হতেই পারে যে, ভার্চুয়াল জগতে আয়োজন হবে নানা ধরনের ভার্চুয়াল পুজোর। তাদের ঘিরে চলবে শিল্পিত সব প্রতিযোগিতাও। এভাবে সব মিলিয়ে এক স্বপ্নের আবেশ তৈরি হলেই বা ঠেকাচ্ছে কে! নানা ধরনের ভার্চুয়াল অ্যাডভেঞ্চার রিয়েলিটি গেমের রমরমা এখন। সেখানে সিমুলেটরের সাহায্যে ত্রিমাত্রিক জগতে এমন সব আবেশ তৈরি হয় যে, মনে হবে আমি আপনিই যেন বাস্তবে সেই সব অ্যাডভেঞ্চারের খেলোয়াড়। যেন কখনও পাহাড় এবং উপত্যকার মাঝখান দিয়ে পিছলে চলেছি আমি, কিংবা শূন্যে বা সমুদ্রে ঝাঁপ দেবার বিপজ্জনক খেলায় মেতেছি। আজকের টেকনোলজিতে সম্ভব এ সবই। তাই সেভাবেই পুজোর কলকাতায় সশরীরে কয়েক লক্ষ লোকের শরিক হওয়ার আবেশ তৈরি করাও অবশ্যই সম্ভব। অনলাইনের পুজোর টেকনোলজিকে আরও বিস্তৃত করা যায় সহজেই। আনা যায় স্পেশাল এফেক্ট। যাতে মনে হবে লক্ষ লক্ষ লোকের সঙ্গে আলো-ঝলসানো পুজো প্যান্ডেলগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছি আমিও। এইসব টেকনোলজির ব্যবহার তাই আসতে পারে অচিরেই। ক্রমে এমন দিনও কি আসতে পারে যে, যত লোক বাস্তবে ঘুরে ঘুরে পুজো দেখবে তার চাইতে বেশি পুজো উপভোগ করবে ভার্চুয়াল দুনিয়ায়? আমি হয়তো একটু বেশিই ভেবে ফেলছি। এবং বড্ড তাড়াতাড়ি। তবে অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের নানা অ্যাপ নিয়ে নানা কোম্পানি ব্যবসায়ের প্রতিযোগিতায় নামবে, এটা একান্তই সম্ভব। আর তাই পুজো উপভোগ এবং সেই সঙ্গে পুজোর অর্থনীতিতেও নতুন নতুন মোড় আসবে, সেটাই বাস্তব। অদূর ভবিষ্যতেই পুজো উদ্যোক্তাদের পুজোর খরচ জোগানের একটা বিকল্প পথ খুলে যেতে পারে এইসব ভার্চুয়াল পুজোর উপভোগ এবং পুজো পরিক্রমার মধ্যও দিয়ে। টেকনোলজির হাত ধরে বদলায় সমাজ, পরিবর্তিত হয় তার জীবনধারার স্টাইল। আর সেই সঙ্গে বদলে যায় অর্থনীতির ছন্দ আর বিন্যাস। তার রূপরেখা আর দিক।
কল্পনাকে আর একটু বিস্তৃত করা যাক। ক্রমে এই অনলাইন প্রক্সির আওতায় কিন্তু আসতে পারে আরও অনেক কিছুই। ধরা যাক, আমার হাওয়াইয়ের সমুদ্র তীরে বসে হাওয়া খেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু সময়, সুযোগ, অর্থ, শারীরিক পরিস্থিতি, ইত্যাদি কোনও না কোনও কারণে যাওয়া অসম্ভব। কিন্তু অনলাইনে এমনই কোনও আকাশপাতায় গিয়ে ফিস্‌ অ্যান্ড চিপ্‌স খেতে খেতে সমুদ্রের ঢেউ গোনা তো এক চুটকিতেই করা সম্ভব। ভার্চুয়াল ট্যুরিজম তাই এখন সহজেই হাতের নাগালে। এবং ভার্চুয়ালি হাতের নাগালে আসতে পারে এমন আরও অনেক কিছুই।
আচ্ছা, সে যখন হবে তো দেখা যাবে। আপাতত অনলাইনে পুজোর স্তোত্রটুকু শোনা সম্ভব, এবং সেটা এই পুজোতেই, এটুকু অন্তত বোঝা গেল। অনলাইনে হাজিরা দেওয়া সম্ভব পুজো মণ্ডপে, দেখা সম্ভব আরতি, অঞ্জলি, দেওয়া যাবে প্রণামী বা পাওয়া যাবে প্রসাদ। শুরুতে এই বা কম কীসে?
তবু, আমরা যারা আগের প্রজন্মের ট্র্যাডিশনাল লোকজন, তাদের হৃদয়ের গোপন কোণে একটু কেমন কেমন ভাব থেকেই যায় এই অনলাইনের ভার্চুয়াল পুজোর ধামাকার মধ্যেও। ব্যাপারটা খুলেই বলি। কৈলাসেও খাসা ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চয়ই আছে, তা সে ৫জি হোক বা ৮জি। পুজোর সময় প্যাচপ্যাচে বৃষ্টির আশঙ্কা, বউবাজারে মেট্রোর ধস, যাদবপুরে শোরগোল, আর ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতির সম্মিলিত ফলশ্রুতিতে মা দুর্গা বা তাঁর সন্তান-সন্ততির কেউ, নিদেন অসুরটাও যদি এবার বলে বসে, ‘‘সেই কবে থেকে ফি-বছর পুজোর ভিড়ভাট্টায় গিয়ে গিয়ে বড্ড ক্লান্ত হয়ে গেছি। এবারে আর মর্ত্যে না হয় নাই গেলাম। ইন্টারনেটেই বরং হাজিরার প্রক্সিটা দিয়ে দেওয়া যাক। ভার্চুয়ালি।’’ তবে?
ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতার রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত 
29th  September, 2019
এক কাপ চায়ে 
অতনু বিশ্বাস

এক কাপ চা, কত গল্প বলে সকাল, বিকেল, সন্ধে বেলা...।
এ গানের লিরিকের মতোই চা নিয়ে এবং চায়ের টেবিলে গল্পেরও কোনও শেষ নেই। এক কাপ চায়ে আমেজ আছে নিশ্চয়ই। দার্শনিক কিংবা কবি এক কাপ চায়ে খুঁজে পেতে পারে জীবনের জয়ধ্বনি, অবরুদ্ধ আবেগ, অনাবিল অনুভূতি, মুক্তির আনন্দ কিংবা উল্লাস। এমনকী গণতন্ত্রও।  
বিশদ

জল সঙ্কট নিরসনে: শারদীয়া দুর্গোৎসবের বার্তা
জয়ন্ত কুশারী
 

শারদীয়া দুর্গোৎসব বাঙালির প্রধান উৎসব। বাঙালি দুর্গোৎসবকে কলিযুগের অশ্বমেধযজ্ঞ বলে মনে করেন। দেবীপুরাণের পুজো প্রকরণেও এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে—অশ্বমেধমবাপ্নোতি ভক্তিনা সুরসত্তমঃ, মহানবম্যাং পূজেয়ং সর্বকামপ্রদায়িকা।
বিশদ

05th  October, 2019
‘দিদিকে বলো’ কোনও ম্যাজিক নয়
তন্ময় মল্লিক
 

প্রশান্ত কিশোরের ‘দিদিকে বলো’ দাওয়াই তৃণমূল কংগ্রেসকে কতটা বেনিফিট দেবে, তা জানা যাবে ২০২১ সালে। কিন্তু বঙ্গ রাজনীতিতে ‘পিকে’ যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বিধায়কদের দলীয় কর্মীর বাড়িতে নিশিযাপন, মানুষের মুখোমুখি হওয়ার টোটকায় অনেক বিধায়ক মাটিতে আছাড় খাচ্ছেন। কৃতকর্মের জবাবদিহি করতে না পারলেই অভিমান সীমা অতিক্রম করছে।  
বিশদ

05th  October, 2019
বাঙালির গল্প সম্প্রীতির গল্প
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়

এই লেখায় হিন্দু-মুসলমান—শব্দ দুটি ব্যবহারের কোনও দরকারই পড়ল না। শব্দ দুটির মধ্যে বাঙালি-সত্তার ভাঙনের একটা গন্ধ। তাই ‘বাঙালি’ শব্দটি দিয়েই দিব্যি কাজ চলে যায়। উৎসব সমাসন্ন। তাই আবেগে ভেসে গিয়ে কথাটি বলছি এমন নয়, যা সত্যি তা-ই বলছি।  
বিশদ

04th  October, 2019
বাঙালির দ্বিচারিতা
সমৃদ্ধ দত্ত

মহাত্মা গান্ধীর সবথেকে বড় শক্তি হল, যারা তাঁকে মন থেকে অপছন্দ করে কিংবা তাঁর সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থানকে আদর্শগতভাবে গ্রহণযোগ্য মনে করে না, তারা নিজেরা কিন্তু আন্দোলনে নেমে অজান্তে সেই গান্ধীকেই অনুসরণ করে।  
বিশদ

04th  October, 2019
নয়ন ভুলানো এলে
মেরুনীল দাশগুপ্ত

এবার সব কিছুর পরও কোথায় যেন একটা কিন্তুর কাঁটা ফুটছে, ফুটেই চলেছে! ফলে, জমজমাট পুজোর মজার আবহটা যেন এখনও ঠিক জমাট বাঁধতেই পারছে না। কী সেই কাঁটা? এনআরসি? বাজারদর? কাজ হারানো? মাসের পর মাস বেতনবিহীনতা, অভাব? দেশ জুড়ে হাজার হাজার লাখ লাখের কাজ হারানোর আতঙ্ক? —তালিকা শেষ হবার নয়। ক’দিন আগে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যের পুজো উদ্বোধনে এসে ফের একবার এনআরসি লাগু করার সন্দেশ দিয়ে গেলেন। উদ্বাস্তু নয় অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধেই যে খড়্গহস্ত হবে এনআরসি সেটা অমিতজিরা বোঝানোর পরও বঙ্গজনের আতঙ্ক যে কাটছে না!  
বিশদ

03rd  October, 2019
মহাত্মা গান্ধীর জীবনদর্শন অনুসরণীয়
মোহন ভাগবত

ভারতের আধুনিক ইতিহাস তথা স্বাধীন ভারতের উত্থানের কাহিনীতে যেসব মহান ব্যক্তির নাম চিরকালের জন্য লেখা হয়ে আছে, যা সেই সনাতন কাল থেকে চলে আসা ভারতের ঐতিহাসিক গাথার এক একটি অধ্যায় হয়ে যাবে, পূজ্য মহাত্মা গান্ধীর নাম তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ভারতবর্ষ আধ্যাত্মিক দেশ এবং আধ্যাত্মিকতার ভিত্তিতেই তার উত্থান হবে।  
বিশদ

02nd  October, 2019
দুর্গাপুজোর আঙিনায় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ
চৈতন্যময় নন্দ 

বঙ্গাব্দ ১২৭৭। রানি রাসমণি নেই। পরিবারের কর্তা জামাতা মথুরমোহন বিশ্বাস। ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেব এসেছেন জানবাজারে দুর্গাপুজো উপলক্ষে। ঠাকুরের উপস্থিতিতে সেই বাড়ি তখন আনন্দস্রোতে প্রবাহিত হয়ে আনন্দধামে পরিণত।   বিশদ

01st  October, 2019
এনআরসি: বাঙালির নয়া আতঙ্ক এবং অপমান
হারাধন চৌধুরী 

বাঙালির যেন আতঙ্ক-লগ্নে জন্ম। একটা আতঙ্ক যায়, আবার একটা এসে জোটে। নতুন আতঙ্কের নাম এনআরসি। এনআরসি-আতঙ্ক গ্রাস করেছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিকেও। বাঙালিকে নতুন করে নাগরিকত্বের পরীক্ষায় বসতে হবে।   বিশদ

01st  October, 2019
গান্ধী, পৃথিবী, পরিবেশ
রঞ্জন সেন

এনভায়রনমেন্ট, ইকোলজি এসব কথা গান্ধী কোন দিন ব্যবহার না করলেও তাঁর চিন্তা চেতনা ও কাজের একটা বড় এলাকা জুড়ে রয়েছে পরিবেশ। গ্রাম স্বরাজ থেকে অহিংসা, চরকা থেকে স্বনির্ভরতা কোন কিছুই যেন পরিবেশ ছাড়া সম্পূর্ণ হয়না। অথচ ঘোষিত পরিবেশবাদী বলতে যা বোঝায় তা তিনি কোনদিনই ছিলেন না। 
বিশদ

30th  September, 2019
মা দুর্গা ও মেয়ে দুর্গা
গৌরী বন্দ্যোপাধ্যায়

দুর্গাপুজো এলে কখনও কখনও একটা ছোট মেয়ের কথা মনে পড়ে যে তার বাবার সঙ্গে ঠাকুর গড়া দেখতে বাঙালি আখড়ায় যেত। ঠাকুর গড়া দেখতে যাবার সূত্রে পুজোর অনেক আগেই তার মনে এক পুজো পুজো ভাব এসে যেত। আখড়ায় সার বেঁধে বহু প্রতিমা গড়া হতো। কলকাতার কারিগর এসে সেখানে প্রতিমা গড়তেন। মেয়েটির চোখের সামনে খড়বাঁধা কাঠামোয় মাটি চাপত, রং পড়ত ও ধীরে ধীরে সপরিবারে মা দুর্গা রূপ পরিগ্রহ করতেন। ... প্রতিমার অঙ্গে ক্রমে বস্ত্র ও আভরণ উঠত, তাঁর দশহস্তে, আয়ুধগুলি স্থান পেত। সেই প্রতিমায় যখন পুজো হতো তখন তাতে প্রাণের যোগ ঘটত। 
বিশদ

30th  September, 2019
পুজো এসে গেল
শুভা দত্ত

দিন গোনা শেষ। বছরভর প্রতীক্ষার অবসান। গতকাল মহালয়ার ভোর ফুটতেই এবারের দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গেল। আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো, মানে মহামায়া বন্দনার উদ্‌যোগ-আয়োজনের ফাইনাল রাউন্ড। আর সেইসঙ্গেই বাঙালির সংবৎসরের সবচেয়ে বড় উৎসব—শারদোৎসবের ঢাকেও কার্যত কাঠি পড়ে গেল। শহর মহানগর থেকে গ্রাম গ্রামান্ত পাড়ায়-পাড়ায় মাঠে-ঘাটে, পথে-রাজপথে এবার শুরু হয়ে যাবে পুজোর প্রতিমা-মণ্ডপের উদ্বোধন। 
বিশদ

29th  September, 2019
একনজরে
জম্মু, ৯ অক্টোবর (পিটিআই): আরও একবার নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাকিস্তান। বুধবার পুঞ্চের কৃষ্ণঘাঁটি ও বালাকোট সেক্টরে সারারাত ধরে গুলি চালায় পাক সেনা। ভারতীয় সেনা চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি তারা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকেও টার্গেট করে। ...

স্টকহোম, ৯ অক্টোবর (এপি ও এএফপি): লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরির স্বীকৃতি। ২০১৯ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার জিতে নিলেন তিন বিজ্ঞানী। আমেরিকার জন গুডএনাফ, ব্রিটেনের স্ট্যানলি হোয়াটিংহ্যাম ও জাপানের আরিকা ইয়োশিনো। বুধবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের তরফে একথা জানানো হল।  ...

পুনে, ৯ অক্টোবর: ভারতের মাটিতে ‘টিম ইন্ডিয়া’কে হারানো কতটা কঠিন, তা বিলক্ষণ টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কারণ, প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দলের ৫০২ রানের ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুজো যত এগিয়েছে, ততই কমেছে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা। সিইএসসি সূত্রের খবর, মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় এবং মাঝে-মধ্যে বৃষ্টির জেরে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ক্রমশ কমেছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম
১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু দত্তের মৃত্যু
২০১১: গজল গায়ক জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭২.০৪ টাকা
পাউন্ড ৮৫.৩৯ টাকা ৮৮.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৬.৬০ টাকা ৭৯.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৩ রাত্রি ৭/৫২। শতভিষা ৫১/৩৮ রাত্রি ২/১৪। সূ উ ৫/৩৪/৩৩, অ ৫/১৩/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ২/৫৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/১৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২২ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৭/৪২ রাত্রি ৭/৫৩/৫২। শতভিষা ৫৪/১৮/১৬ রাত্রি ৩/১৮/৫, সূ উ ৫/৩৪/৪৭, অ ৫/১৪/৪৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৩/৪৭/১৭ গতে ৫/১৪/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ২/১৯/৪৭ গতে ৩/৪৭/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২৪/৪৭ গতে ১২/৫৭/১৭ মধ্যে। 
মোসলেম: ১০ শফর 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: ব্যবসায় বেশি বিনিয়োগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
মানসিক স্বাস্থ্য দিবস১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু ...বিশদ

07:03:20 PM

২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন পোল্যান্ডের ওলগা তোকারজুক এবং ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পাবেন অস্ট্রিয়ার পিটার হ্যান্ডকা

05:15:00 PM

দ্বিতীয় টেস্ট, প্রথম দিন: ভারত ২৭৩/৩ 

04:43:00 PM

সিউড়ি বাজারপাড়ায় পরিত্যক্ত দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল, চাঞ্চল্য 

04:27:12 PM

মুর্শিদাবাদে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী বৃদ্ধ 
রোগ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে ...বিশদ

03:34:00 PM