খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এএফপি বলছে, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের আচরণের এই পরিবর্তিত রূপ তারা দেখতে পেয়েছে দেশে দেশে। ফ্রান্সে পত্রিকাগুলোর পৃষ্ঠা ভরে ফেলা হয়েছে হাত না মিলিয়ে করণীয় সম্পর্কে উপদেশ দিয়ে। এতে বলা হয়েছে, শুভেচ্ছা বিনিময়ের অভ্যাস বদলে কী করতে হবে। বিশেষজ্ঞ ফিলিপ লিস্টফসের বক্তব্য, মধ্যবয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে হাত মেলানোর আচরণের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। হাত না মিলিয়ে একজন অপরজনের দিকে শুধু তাকিয়ে থেকেই শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাগরিকদের একে অপরের সঙ্গে ধাতব স্ট্র (স্থানীয় নাম শিমাহাও) ভাগাভাগি না করতে পরামর্শ দিয়েছেন। অভ্যাস পরিবর্তনের বড় একটি উদাহরণ হতে পারে জার্মানির চ্যান্সেলর আঞ্জেলা মার্কেল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্স্ট সিহোফারের মধ্যে একটি ঘটনা। মার্কেল এক অনুষ্ঠানে সিহোফারের সঙ্গে হাত মেলাতে গেলে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। হাত না মিলিয়ে তিনি নিজের কাছেই দু’হাত গুটিয়ে রাখেন। তবে শুভেচ্ছা বিনিময় হিসেবে হাসি উপহার দিতে ভোলেননি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব স্পেনের একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে মেরির ভাস্কর্যে চুমু খাওয়ার ওই অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বসন্তে রোমানিয়ার মার্তিসর উৎসবে একজন পুরুষ একজন মহিলাকে ফুল দিয়ে চুমু খান। এটাই রীতি। তবে এবার তাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘ফুল দাও, কিন্তু চুমু খেও না।’ পোল্যান্ডে গির্জায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় পবিত্র জলে হাত ডোবানোর পরিবর্তে ধর্মীয় ক্রসচিহ্ন প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ইরানে হাত মেলানোর পরিবর্তে ‘পা মেলানোর’ এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে আক্রান্ত দেশগুলোর একটি ইরান। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মাস্ক পরা তিন বন্ধু নিজেদের হাত পকেটে রেখে একে অপরের পায়ের দিকে পা রেখে ঠুক ঠুক শব্দ করে শুভেচ্ছা বিনিময় করছে। একই ধরনের একটি ভিডিও দেখা গিয়েছে লেবাননে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেখানের গায়ক রাঘেব আলামা এবং কৌতুক অভিনেতা মিশেল আবু স্লেমান একে অপরের দিকে পা রেখে ঠুক ঠুক আওয়াজ করছেন। নিউজিল্যান্ডের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে মাওরি শুভেচ্ছা, স্থানীয়ভাবে যা হোংগি নামে পরিচিত, তা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে। মাওরিতে দু’জন একে অপরের নাকে নাক ঠেসে ধরে। আরব আমিরশাহি ও কাতার তাদের নাকে নাক ঠেকিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর রেওয়াজ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য আর কী কী করা এবং নিয়মবিধি মেনে চলা জরুরি, তা নিয়মিত জানাচ্ছে আমাদের দেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থাগুলিও। এখনই সতর্ক হতে হবে আমাদের—সকলকেই। নয়তো ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা চালাতে বিপদ ওত পেতে রয়েছে আমাদের আশপাশেই।