উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান বিধানসভা এলাকা। ওই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তিনটি ব্লকের মধ্যে অন্যতম বান্দোয়ান ব্লক। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, শাসকদলের জেলা নেতারা কার্যত পুরুলিয়া জেলা চষে বেড়ালেও তাঁদের কেউ এখনও পর্যন্ত বান্দোয়ানের দিকে পা বাড়াননি। স্বয়ং জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতও এখনও বান্দোয়ান এলাকায় একবারের জন্যও প্রচারে যাননি। সভাধিপতি থেকে শুরু করে জেলা যুব সভাপতি বা জেলার তৃণমূলের প্রথম সারির কোনও মুখকে বান্দোয়ানে দলের প্রচারে দেখা যায়নি। রাজ্য নেতারাও একাধিকবার পুরুলিয়া জেলায় এলেও জঙ্গলমহলের বান্দোয়ানে তাঁদের কাউকে ভোট প্রচারে দেখা যায়নি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে রাজ্য ও জেলা নেতারা এখনও পর্যন্ত বন্দোয়ানে না পৌঁছলেও ওই এলাকায় ভোট প্রচারে কোনও খামতি নেই বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। বান্দোয়ানের তৃণমূল বিধায়ক এবং ব্লক ও অঞ্চলের তৃণমূল নেতাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই জঙ্গলঘেরা আদিবাসী অধ্যুষিত বান্দোয়ানে শাসকদলের প্রচার চলছে জোর কদমে।
এবিষয়ে বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন বলেন, জেলা সভাপতি সহ জেলার কোনও নেতা এখনও পর্যন্ত বান্দোয়ানে আসেননি একথা সত্য। তবে এতে জল্পনা বা বান্দোয়ানকে ব্রাত্য করে রাখার মতো কোনও বিষয় নিশ্চিতভাবেই নেই। বান্দোয়ান প্রত্যন্ত এলাকা হলেও এলাকায় তৃণমূলের বুথ ভিত্তিক সংগঠন মজবুত রয়েছে। বান্দোয়ানের ব্লক কমিটির প্রায় প্রত্যেকে এবং অঞ্চল সভাপতি এবং অন্যান্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নিজের নিজের এলাকায় দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন প্রচারের কাজে। ঝাড়গ্রামের প্রার্থী বীরবাহা সোরেন টুডু ইতিমধ্যে একদিন প্রচারে এসেছিলেন। তবে দেওয়াল লিখন সম্পন্ন হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত বুথ ভিত্তিক বৈঠক এবং কর্মিসভাতেই জোর দেওয়া হয়েছে। প্রচারে এখনও পর্যন্ত বড় কোনও কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। তবে আগামী ২৫ এপ্রিল বড় মিছিল করা হবে।
এবিষয়ে বান্দোয়ানের তৃণমূল যুব সভাপতি জগদীশ মাহাত বলেন, জেলা নেতারা প্রচারে এলে কর্মীরা বাড়তি উৎসাহ পায়, একথা ঠিক। তবে বান্দোয়ানে জেলা নেতাদের অনুপস্থিতিতেও জোর কদমে প্রচার চলছে। বিধায়ক এবং ব্লকের অন্যান্য নেতারা গ্রামে গ্রামে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে চুটিয়ে প্রচার করছেন। জঙ্গল এলাকায় শান্তি এবং উন্নয়নের কাজের নিরিখেই ভোটের প্রচারের কাজ চলছে।
যদিও জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাত বলেন, জেলা থেকেই সমস্ত প্রচারের কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামী ২৫ তারিখ আমি নিজে ওখানকার মিছিলে উপস্থিত থাকব।
অন্যদিকে, বান্দোয়ান এলাকায় প্রচারের বিষয়ে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রম বলেন, বান্দোয়ানে একবার কর্মী বৈঠক করেছিলাম। জেলা ও স্থানীয় নেতারাই প্রচারের কাজ দেখছেন। প্রচারের তালিকা তৈরি হলে ফের প্রচারে যাব।
এবিষয়ে সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রম বলেন, ইতিমধ্যে দু’বার বান্দোয়ানে প্রচারে গিয়েছিলাম। আমি আবারও ওই এলাকায় প্রচারে যাব। তবে নিত্যদিনের প্রচারের কাজ স্থানীয় নেতৃত্বই পরিচালনা করছে।