উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
একদা লালদুর্গ হিসেবে পরিচিত মন্তেশ্বরে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৫১২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী সজল পাঁজা। মন্তেশ্বর থেকে সিপিএমকে হঠাতে সজলবাবুর লড়াইকে আজও কর্মীরা মনে রেখেছেন বলে তৃণমূলের দাবি। কিন্তু ভোটে জেতার কয়েকমাস পরই তাঁর অকাল প্রয়াণ ঘটে। এরপর ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয় সজলবাবুর পুত্র সৈকত পাঁজাকে। সেবার তিনি সিপিএম প্রার্থীকে ১লক্ষ ২৭হাজার ১২৭ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। কয়েক মাসের ব্যবধানে ভোটের এই বিশাল ব্যবধানে উচ্ছ্বাস দেখা যায় তৃণমূল শিবিরে। তাই এবারও সেই ব্যবধান ধরে রাখতে মরিয়া তারা। তবে, ওই উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়নি বলে বিরোধীরা দাবি করে।
সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক চৌধুরী হেদায়েতুল্লা বলেন, মন্তেশ্বরে আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট করালে, ফলাফল উল্টে যেত। আমাদের কর্মী সমর্থকরা ভয়ে সেবার ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেননি। তবে এবার লোকসভা ভোটে মানুষের রায় আমাদের পক্ষেই যাবে।
গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় মন্তেশ্বরে তৃণমূল ছাড়া বিরোধীদের অস্তিত্ব চোখে পড়েনি। ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধীরা কোনও আসনই পায়নি। বিরোধীদের কোনও জনপ্রতিনিধি না থাকায় সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেস অনেকটাই ব্যকফুটে রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মন্তেশ্বর ব্লকের ১০টি ও মেমারি-২ ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে রয়েছে মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্র। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর মন্তেশ্বরে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। এলাকায় কিষাণ মান্ডি, মন্তেশ্বর ব্লক হাসপাতালের উন্নয়ন, প্রচুর হাইমাস্ট লাইট, মামুদপুরে ফ্লাড সেন্টার ও কর্মতীর্থ, মাঝেরগ্রামে কমিউনিটি হল। রাস্তার পাশে সুলভ শৌচাগার, মন্তেশ্বর বাসস্ট্যান্ডের পাশে যাত্রী প্রতীক্ষালয়, কুসুমগ্রাম ও মালডাঙা বাসস্ট্যান্ড সংস্কার, পুটশুড়িতে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে খাদ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র। প্রচুর পিচ ও ঢালাই রাস্তা হয়েছে।
তৃণমূল বিধায়ক সৈকত পাঁজা বলেন, মন্তেশ্বরে বিরোধী দলের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। সারা বছর মানুষের আপদে বিপদে ওদের দেখা যায় না। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও সিপিএম মন্তেশ্বরের কোনও উন্নয়ন করতে পারেনি। আমি ও আমাদের দলের কর্মীরা ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনছি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা বলছি। এবারও আমাদের প্রার্থী এই এলাকা থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।
অন্যদিকে, এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে এসএস আলুওয়ালিয়ার নাম ঘোষণা হতে দেরি হওয়ায় সুবিধা হয়েছে তৃণমূলের। এলাকার অধিকাংশ কর্মী সমর্থকরা তাকে দেখেনি বলে অভিযোগ। ১১ এপ্রিল বিজেপি প্রার্থী মন্তেশ্বরে ভোট প্রচারে এসেছিলেন। স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুপ্রকাশ মণ্ডল বলেন, এবার বিজেপির হাওয়া ভালো। সাধারণ মানুষ খুশি হয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই এলাকা থেকে বিজেপি প্রার্থী ভালো ভোট পাবেন।
মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আজিজুল শেখ বলেন, শুধুমাত্র ব্লক থেকে আমরা প্রার্থীকে ৪০ হাজারের বেশি ভোটে জেতাব। এই এলাকায় বিজেপি, সিপিএমের কোনও স্থান নেই।